1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাদ্দাফি পুত্র সাইফ আল-ইসলাম আটক

১৯ নভেম্বর ২০১১

লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি আটক ও নিহত হওয়ার প্রায় এক মাস পর আটক হলেন তাঁর ছেলে সাইফ আল-ইসলাম৷ লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের শহর আল ওবারি থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে লিবিয়ার জাতীয় পরিষদের নেতৃ্বৃন্দ৷

গাদ্দাফির উত্তরসূরি হওয়ার কথা ছিল সাইফেরছবি: AL ARABIYA

১৯৭২ সালে জন্ম গাদ্দাফির সাত ছেলে-মেয়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছেলে সাইফ আল-ইসলামের৷ গাদ্দাফির পর লিবিয়ার শাসন ক্ষমতায় আরোহণের সম্ভাবনা ছিল সাইফের৷ কিন্তু সেসব কিছুই আজ অতীত৷ ২০ অক্টোবর বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়েন গাদ্দাফি৷ আটক হওয়ার অল্প কিছু পরই বিদ্রোহীদের গুলিতে তিনি প্রাণ হারান৷ কিন্তু রাজধানী ত্রিপোলি বিদ্রোহীদের হাতে চলে যাওয়ার পর থেকেই কোন খোঁজ মেলেনি পুত্র সাইফের৷ গাদ্দাফির মৃত্যুর পর নাইজারে গিয়ে আশ্রয় নেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছিল সাইফ এবং গাদ্দাফির অপর সহযোগী সাবেক গোয়েন্দা প্রধান আব্দুল্লাহ আল সানুসির৷ তবে সর্বশেষ খবর অনুসারে সানুসি মালি'তে আশ্রয় নিয়েছেন৷ আর শনিবার বিদ্রোহী যোদ্ধাদের হাতে আটক হলেন সাইফ৷

ত্রিপোলির পতনের পর সাংবাদিকদের সামনে সাইফছবি: dapd

লিবিয়ার জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদের বিচার মন্ত্রী মোহাম্মাদ আল আলাগি জানিয়েছেন, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের মরুময় অঞ্চল থেকে সাইফকে আটক করা হয়েছে৷ এছাড়া বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জিন্তান ব্রিগেডের কমান্ডার বাশির আল তালায়েব গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সাইফকে তাঁর দুই সহযোগীসহ আটক করা হয়েছে৷ নাইজারে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় সাইফকে ধরা হয় বলেও উল্লেখ করেন তালায়েব৷ জানা গেছে, সাইফকে প্রথমে হেলিকপ্টারে করে জিন্তান শহরে নিয়ে যাওয়া হবে৷ পরে তাঁকে রাজধানী ত্রিপোলিতে স্থানান্তরিত করা হবে৷ একটি সূত্র জানিয়েছে, লিবিয়ায় কয়েকদিনের মধ্যে সরকার গঠন করা হলে তারপরই সাইফকে ত্রিপোলিতে সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে৷

উল্লেখ্য, লিবিয়ায় সাম্প্রতিক গাদ্দাফি বিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যা-নির্যাতন ও মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে গত ২৭ জুন গাদ্দাফি, সাইফ এবং আল সানুসির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত আইসিসি৷ সম্প্রতি আইসিসি'র কৌঁসুলি লুইস মোরেনো ওকাম্পো জানিয়েছিলেন যে, আইসিসি'র কাছে সাইফের আত্মসমর্পণের ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে৷ এছাড়া গাদ্দাফি প্রশাসনের মানবতা বিরোধী অপরাধের বাস্তব প্রমাণ দেখতে আইসিসি'র একটি তদন্ত দল লিবিয়া সফর করেছে৷ তবে সাইফকে লিবিয়ার নাকি আইসিসি'র আইনের আওতায় বিচার করা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ কারণ এনটিসি এ ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত নিবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ