1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গান গাইলে রোগীদের শরীর-মনের উন্নতি হয়

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সুন্দর গান শুনলে কার না মন ভালো হয়? একাধিক গবেষণা অনুযায়ী গান গাইলে শরীর-মন-স্বাস্থ্যেরও উপকার হয়৷ এমনকি কঠিন রোগের চিকিৎসার সময়েও রোগীদের দিয়ে গান গাওয়াচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷

BdTD | Norwegen Oslo | Kjell Elvis versucht den längsten Elvis Presley Gesang Marathon zu gewinnen
ছবি: Getty Images/AFP/NTB Scanpix/F. Hagen

ইয়োসেফিনে ও তার মা স্পিচ থেরাপিস্টের কাছে যাচ্ছেন৷ জন্মের সময়েই তার হৃৎপিণ্ডে ত্রুটি ধরা পড়েছিল৷ ফলে স্বাভাবিক বিকাশে বিলম্ব ঘটছে৷ একেবারে শিশু বয়স থেকেই ইয়োসেফিনে থেরাপির জন্য এফা ক্যোস্টার্সের কাছে আসছে৷ তিনি বলেন, ‘‘ইয়োসেফিনের মতো অনেক শিশুর জন্য গানের মাধ্যমে থেরাপি অনেক সহজ হয়৷ কারণ খেলাচ্ছলে এমন অনুশীলন মোটেই থেরাপির মতো মনে হয় না৷ গান গাইলে সুর ও তালের মাধ্যমে মস্তিষ্কের অনেক অংশ সত্যি সক্রিয় হয়ে ওঠে৷ একদিকে সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ সেগুলি মস্তিষ্কের অ্যাকুস্টিক, অডিটিভ, ভিশুয়াল ও মোটরের মতো অংশ৷ বিশেষ করে শিশুদের থেরাপির সময় এগুলি অত্যন্ত কাজে লাগে, কারণ এর মাধ্যমে তাদের মনোনিবেশ করার ক্ষমতা সত্যি বেড়ে যায়, তারা আরও দ্রুত সাড়া দেয়৷ শব্দভাণ্ডার বাড়ানোর মতো থেরাপির ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া কাজে লাগানো হয়৷’’

এদিকে শিয়াল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে৷ গানের মধ্যেই সেই গল্প বলা হচ্ছে৷ ইয়োসেফিনে গোটা বিষয়টা বেশ উপভোগ করছে৷ এফা ক্যোস্টার্স এ প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দিলেন, ‘‘গান গাইতে হলে কিছু শব্দ ও পংক্তি মনে রাখতে হয়৷ গানে একই অংশ বার বার ফিরে আসে বলে নতুন শব্দ ভালো করে শেখানো যায়৷’’

তবে শুধু ইয়োসেফিনের মতো কম বয়সি রোগীর ক্ষেত্রেই গান কাজে লাগে না৷ একের পর এক হাসপাতালে গান গাওয়ার থেরাপির চল বেড়ে চলেছে৷ গান গেয়ে কারো মনে আনন্দ হয়, তারুণ্য জেগে ওঠে৷ অনেকের মন হালকা হয়ে যায়৷

গান গাওয়ার মাধ্যমে চিকিৎসার সময়ে রোগীদের মনোযোগ অন্য বিষয়ে সরিয়ে নেওয়া যায়, তাদের মনে সাহস জোগানো যায়৷ এর বাড়তি কিছু সুবিধাও রয়েছে৷ ক্যানসার বিশেষজ্ঞ প্রোফেসর মাইকে ডে ভিট মনে করেন, ‘‘আসলে গান গাইলে সব রোগীরই উপকার হয়৷ বিশেষ করে যে সব রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য তো বটেই৷ গান গাওয়ার সময় গভীর শ্বাস নিতে হয়৷ অনেক সময় জুড়ে নিঃশ্বাস বের করতে হয়, শ্বাসপ্রশ্বাস ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়৷’’

বিশেষ করে ফুসফুস ক্যানসারের রোগীদের জন্য প্রোফেসর ডে ভিট গানের থেরাপি প্রয়োগ করতে চান৷ প্রো. ডে ভিট বলেন, ‘‘আমি এমন অনেক রোগীকে চিনি, টিউমারের কারণে অনেক মানুষের সঙ্গে গান গাইতে যাদের বেশ ভয় করে৷ তারা নিজেদের এবং বাকিদের কণ্ঠ শোনে৷ এমন সমবেত অনুভূতির ফলে তাদের মন থেকে ভয় দূর হয়৷ সংগীতের সার্বিক অভিজ্ঞতার মধ্যে তারা নিজেদের দুর্বলতা ভুলে যায়৷ অসাধারণ ব্যাপার৷’’

অসংখ্য গবেষণায় একই ফল উঠে এসেছে৷ গান গাইলে আমাদের স্বাস্থ্য নানাভাবে উপকৃত হয়৷

অ্যানি হফমান/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ