1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজআফ্রিকা

গাবনে সেনা অভ্যুত্থান, প্রেসিডেন্ট গৃহবন্দি

৩১ আগস্ট ২০২৩

মধ্য আফ্রিকার আরো একটি দেশে সেনা বিদ্রোহ। টেলিভিশন বিবৃতিতে সেনা জানিয়েছে, রাষ্ট্রক্ষমতা তারা দখল করেছে।

গাবনে সেনা অভ্যুত্থান
নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দিল গাবনের সেনা বাহিনীছবি: Desirey Minkoh/Afrikimages/IMAGO

বুধবার গাবনের সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ একদল অফিসার টেলিভিশনে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানেই তারা ঘোষণা করেছেন, প্রেসিডেন্ট আলি বংগকে বিশ্বাসঘাতকতার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারি সমস্ত দপ্তর দখল করা হয়েছে। সেনা দেশের ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে।

গাবনের রাজধানী লিব্রেভিলে এদিন বেশ কয়েকবার গুলির আওয়াজ শোনা যায়। বস্তুত, এদিনই দেশের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে প্রেসিডেন্ট আলি বংগ ৬৪ দশমিক দুই সাত শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন।

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরেই সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে নেয়। সেনার তরফে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট সুরক্ষিত আছেন। তাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। তার সঙ্গে পরিবারের অন্য সদস্য এবং চিকিৎসকেরা আছেন। বংগের প্রধান পরামর্শদাতা তার ছেলে নউরেদ্দিন বংগ ভ্যালেন্টিন। তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সেনা জানিয়েছে, সমস্ত সরকারি দপ্তর অধিগ্রহণ করেছে সেনা। বিদ্রোহী সেনার মধ্যে পুলিশ, সেনা, প্রেসিডেন্টের গার্ড, আধাসামরিক বাহিনীর অফিসার সকলেই আছেন। উচ্চপদস্থ অফিসার থেকে সাধারণ জওয়ান, সকলেই এই বিদ্রোহে যোগ দিয়েছে।

এদিকে বংগ তার বাসভবন থেকে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, কীভাবে কী ঘটে গেল, তিনি বুঝেই উঠতে পারছেন না। তিনি চান এর বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠুক। নিজের কর্মী সমর্থকদের আওয়াজ তোলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এর ফলে সেনার সঙ্গে বংগ সমর্থকদের সংঘর্ষ শুরু হতে পারে।

তবে নির্বাচনের সময় থেকেই গোটা দেশজুড়ে যথেষ্ট উত্তেজনা ছিল। যে প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হয়েছে, তা গণতান্ত্রিক নয় বলে একাধিক সংবাদমাধ্যমে খবর হয়েছে। কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম একে অযৌক্তিক এবং অবিশ্বাস্য বলে অভিহিত করেছেন। সম্পূর্ণ জালিয়াতি করে বংগ নির্বাচন জিতেছেন বলে বিরোধীপক্ষ অভিয়োগ তুলেছে।

বিভিন্ন দেশের প্রতিক্রিয়া

জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, গুতেরেস এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন। যেভাবে সেনাক্ষমতা দখল করেছে, জাতিসংঘ তার বিরোধিতা করেছে।

জার্মানির তরফেও এই ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে। তবে একইসঙ্গে জার্মানি জানিয়েছে, যে কায়দায় সেখানে নির্বাচন হয়েছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। সামগ্রিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জার্মানি জানিয়েছে।

ফ্রান্স দীর্ঘদিন ধরে দেশটিকে শাসন করেছে। এখনো ফ্রান্সের গুরুত্বপূর্ণ খনি সংস্থাগুলি গাবনে কাজ করে। সাময়িক সময়ের জন্য তাদের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফ্রান্স সমস্ত নাগরিককে দেশে ফেরার কথা বলেছে। পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এসজি/জিএইচ (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ