মিথ্যা বলেছেন, এই দাবিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণ ছিঁড়ে ফেলেন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি৷
বিজ্ঞাপন
হোয়াইট হাউসে মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ১ ঘন্টা ১৮ মিনিটের ভাষণ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷ তাঁর বক্তৃতার অনেকটা জুড়ে ছিল তাঁর আগের প্রেসিডেন্টদের সমালোচনা৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার আগে আসা নেতাদের মতো আমি কথা দিয়ে কথা ভাঙি না৷''
তাঁর বিরুদ্ধে চলমান ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া নিয়ে একটিও বাক্যব্যয় করেননি তিনি৷ কিন্তু, অ্যামেরিকার অন্যতম ক্ষমতাশালী ডেমোক্র্যাট নেত্রী, বর্তমান হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির প্রতি তাঁর বিরক্তি লক্ষণীয় ছিল৷ সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্সকেও বক্তব্যে খোঁটা দেন ট্রাম্প৷
পেলোসির সাথে কি শুধুই বিবাদ?
ভাষণ শুরুর আগে পেলোসির বাড়িয়ে দেওয়া হাত প্রত্যাখ্যান করে মঞ্চের দিকে এগিয়ে যান ট্রাম্প৷ পরে, ট্রাম্পের একাধিক দাবিকে প্রকাশ্যে মিথ্যা বলে দাগান পেলোসি৷
জার্মান শিল্পীর চোখে ‘রাজনীতি ও উসকানি’
শিল্পী জাক টিলি থ্রি-ডি ক্যারিকেচারের জন্য বিখ্যাত৷ বিশাল সব বিদ্রুপাত্মক ছবি জন্ম নেয় তার এবং তার সতীর্থদের ত্রি-মাত্রিক শিল্পদক্ষতায়৷ জার্মান এই শিল্পীর ছবির প্রদর্শনী চলছে ড্যুসেলডর্ফ শহরে৷ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Greenpeace/Maria Feck
মাস্টার অব থ্রি-ডি ক্যারিকেচার
জাক টিলির ছবি আঁকার মাধ্যম ত্রি-মাত্রিক প্রযুক্তি৷ এর মাধ্যমে যে ছবিগুলো হয় তাতে এক বা দু’জন ব্যক্তি শুধু নয়, তাদের ব্যক্তিত্ব, পরিপার্শ্ব এবং দর্শনও ফুটে ওঠে৷
ছবি: Laura Thorenz
ব্রেক্সিট-দৈত্য
জাক টিলি ড্যুসেলডর্ফের প্রদর্শনীর শিরোনাম দিয়েছেন, ‘‘রাজনীতি এবং উসকানি’’৷ ডাব্লল এক্সএল, অর্থাৎ খুব বড় আকারের ক্যারিকেচারের মেলা বসেছে সেখানে৷ মূলত এবারের কার্নিভাল শোভাযাত্রার চরিত্রগুলোর থ্রি-ডি ভার্সনই স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে৷ এই ছবিতে ব্রেক্সিটের কুশীলব দেখানো হয়েছে দৈত্যের মতো করে৷
ছবি: DW/G. Reucher
বড় হও, ট্রাম্প
২০১৫ সালের জলবায়ু সম্মেলনে প্যারিস চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ান ডনাল্ড ট্রাম্প৷ তাকে তাই শিশু বানিয়ে ডায়পার পরিয়ে দিয়েছেন টিলি৷ নিয়ে ২০১৭ সালে হামবুর্গে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে পরিবেশবাদীদের বিক্ষোভ মিছিলেও দেখা গেছে সাত মিটার উচ্চতার এই শিল্পকর্ম৷
ছবি: Greenpeace/Maria Feck
‘গ্রেট’ গ্রেটা
সুইডেনের কিশোরী পরিবেশবাদী গ্রেটা ট্যুনবার্গের সমর্থক জাক টিলি৷ ২০১৯ সালে তাকে নিয়ে এই ক্যারিকেচারটি এমনভাবে এঁকেছেন যাতে দেখেই বোঝা যায় আগের প্রজন্মের ওপর রেগেমেগে তাদের কান ধরে বলছেন, ‘‘পরিবেশ বিপর্যয় রুখতে এবার একটা কিছু করো!’’
ছবি: Jacques Tilly
ম্যার্কেল এবং শরণার্থীর স্রোত
এটি আঁকা হয়েছিল ২০১৬ সালে৷ সিরিয়া থেকে ১০ লাখের মতো শরণার্থী এসে জার্মানির রাজনীতিতে তখন তোলপাড়ের জন্ম দিয়েছে৷ তাদের স্বাগত জানিয়ে ম্যার্কেল তখন মহাবিপদে৷ ছবিতে তাই জার্মান চ্যান্সেলর শরণার্থীদের স্রোতে উল্টাতে থাকা নৌকার যাত্রী৷ প্রায় উল্টে যাওয়া নৌকাতেও কিন্তু অবিচল তিনি!
ছবি: DW/G. Reucher
শুঁয়োপোকা খায় গণতন্ত্র
এই ছবিতে ফুটে উঠেছে কিছু দেশে গণতন্ত্রের দুরবস্থা৷ গণতন্ত্র এখানে একটা সবুজ পাতা আর তা খেয়ে শেষ করছে পুটিন, এর্দোয়ান, অর্বান, কাচিনস্কি এবং ট্রাম্পের শুঁয়োপোকা৷
ছবি: Jacques Tilly
ব্লন্ড ইজ দ্য নিউ ব্রাউন
জার্মানিতে ধূসর হচ্ছে ডানপন্থি দল বা ভাবাদর্শের রং৷ জাক টিলি সবসময়ই ডানপন্থিদের সমালোচনামুখর৷ এই ছবিতে বিশ্বের বড় এবং আলোচিত ডানপন্থিদের তুলে ধরেছেন ‘ব্লন্ড ইজ দ্য নিউ ব্রাউন’ নামে৷ হিটলারের পাশে তাই সগর্বে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে নেদারল্যান্ডসের গ্যের্ড ভিল্ডার্স, ফ্রান্সের লঁ পেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডনাল্ড ট্রাম্পকে৷ তিনজনেরই সোনালি চুল৷
ছবি: Hojabr Riahi
বিদ্রুপ অমর
২০১৫ সালে ফ্রান্সের বিদ্রুপ ম্যাগাজিন শার্লি হেবদো-তে হামলার পর সবার মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ জার্মানিতে কার্নিভাল শোভাযাত্রায় বিদ্রুপাত্মক ছবি, প্ল্যাকার্ড কমতে থাকে৷ ভীত জনগণ অভয় এবং হামলাকারীদের উদ্দেশ্যে তাই জাক টিলির বার্তা, ‘‘বিদ্রুপকে হত্যা করা যায় না৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Gambarini
8 ছবি1 | 8
চার মাস আগে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সাথে একটি বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান পেলোসি৷ তারপর দুজনের এটাই ছিল প্রথম সাক্ষাৎ৷
অনিবন্ধিত অভিবাসীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান বিষয়ে ডেমোক্র্যাট অবস্থানের সমালোচনা করেন ট্রাম্প৷ সেই সময় তাঁর বক্তব্য মিথ্যা, তা আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন পেলোসি৷
ট্রাম্পের ভাষণ যখন প্রায় শেষ, তখনই উঠে দাঁড়িয়ে সেই বক্তব্যের একটি কপি ছিঁড়ে ফেলেন তিনি৷ পরে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘ওই মূহুর্তে আমার কাছে আর যা যা করণীয় ছিল, তার মধ্যে এটাই ছিল সবচেয়ে সভ্য প্রতিক্রিয়া৷''
এদিকে, মঙ্গলবার ট্রাম্প ও পেলোসির মধ্যে শুধুই দ্বিমতই লক্ষণীয় ছিল না৷ অবকাঠামোয় লগ্নি বিষয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যকে সমর্থন করে হাততালি দেন পেলোসি৷ এবিষয়ে দীর্ঘ দিন ধরে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট গোষ্ঠী একসাথে কাজ করে আসছে বলেই পেলোসির এমন আচরণ, মনে করছেন অনেকে৷
ট্রাম্পের ভাষণের প্রত্যুত্তরে মিশিগানের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি গ্রেচেন হুইটমার অবশ্য ট্রাম্পের সমালোচনার চেয়ে ডেমোক্র্যাটদের সাফল্যেই জোর দেন৷ পেলোসির মত প্রকাশ্য-বিবাদে না জড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টা খুবই সহজ৷ আমরা মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে চাইছি৷ আর রিপাবলিকানরা তা কেড়ে নিতে চাইছে৷''