1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গুগলের ছাঁচে কোন দেশের নারীরা যেমন

৯ মার্চ ২০২১

পূর্ব ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার নারীরা যৌন আবেদনময়ী ও ডেটিং ভালোবাসে৷ অন্যদিকে পশ্চিম ইউরোপের নারীরা রাজনীতি বা খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত৷ গুগলে দেশ ধরে নারীদের ছবি খোঁজা হলে কারো মনে এমন ধারণাই জন্মাবে৷

ছবি: Screenshots DW

যেকোন কিছু জানতে বা ছবি দেখতে সচরাচর মানুষ গুগলে অনুসন্ধান করেন৷ নারীদের ছবি অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিনটির অ্যালগরিদম কেমন সেটি জানতে ২০ হাজার ছবি ও ওয়েবসাইটের তথ্য বিশ্লেষণ করেছে ডয়চে ভেলে৷ তাতে গুগলের অ্যালগরিদমের কিছু একপাক্ষিক আচরণ লক্ষ্য করা গেছে৷

ইমেজ বা ছবি অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ‘ব্রাজিলিয়ান উইমেন’, ‘থাই উইমেন’ অথবা ‘ইউক্রেনিয়ান উইমেন’ লিখে সার্চে নারীদের যে ফলাফল আসে বা তাদেরকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয় তা ‘আমেরিকান উইমেন’ বা ‘জার্মান উইমেন’ এর সার্চের ফলাফলের চেয়ে আলাদা৷

যেমন ‘জার্মান উইমেন’ এর ক্ষেত্রে সাধারণত রাজনীতিবিদ ও অ্যাথলিটদের ছবি বেশি দেখা যায়৷ অন্যদিকে ‘ডমিনিকান’ অথবা ‘ব্রাজিলিয়ান উইম্যান’ এর সার্চে নারীদের কম বয়সী সাঁতারের পোশাক পরা ও যৌন আবেদনময়ী ভঙ্গিমায় দেখায়৷

ডেটার বিশ্লেষণে না গিয়ে খালি চোখেও এই পার্থক্যটি সহজেই ধরা পড়ে৷

কয়েক হাজার ছবির বিশ্লেষণের জন্য গুগলের ক্লাউড ভিশন সেইফসার্চ সফটওয়্যারটি ব্যবহার করেছে ডয়চে ভেলে৷ এর মাধ্যমে যৌনতা অথবা অন্য আপত্তিকর ইমেজকে শনাক্ত করা যায়৷ এ ধরনের ছবির সংজ্ঞায়নে গুগল যে শব্দগুলো যুক্ত করেছে তার মধ্যে রয়েছে, ‘‘স্বল্প পোশাক, প্রায় নগ্ন অবস্থা, অশ্লীল বা উত্তেজনাপূর্ণ ভঙ্গিমা কিংবা শরীরের সংবেদনশীল অংশের কাছের ছবি৷’’

ডেটা বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডমিনিকান রিপাবলিক ও ব্রাজিলের নারীদের নিয়ে গুগলের সার্চের ৪০ ভাগ ছবি এই ধরনের৷ এই হার ২০ শতাংশের উপরে থাইল্যান্ড, ইউক্রেন, চেক রিপাবলিক, ফিলিপাইন্স ও কলম্বিয়ার ক্ষেত্রেও৷ যেখানে আমেরিকার নারীদের ক্ষেত্রে তা মাত্র হার চার শতাংশ ও জার্মানির নারীদের মধ্যে পাঁচ শতাংশ৷

অর্থাৎ, দক্ষিণ আমেরিকাসহ পূর্ব ইউরোপ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর ক্ষেত্রে নারীদের একটি নির্দিষ্ট ধাঁচে উপস্থাপন করছে গুগল৷ সার্চের ফলাফলে আসা এই ছবিগুলোর বর্ণনা বা ওয়েবসাইটের সঙ্গে যেসব শব্দ থাকছে তার মধ্যে রয়েছে, ‘ম্যারি’, ‘ডেটিং’, ‘সেক্স’ বা ‘হটেস্ট’৷ বিশ্লেষণে দেখা যায় ‘ইউক্রেনিয়ান উইমেন’ এর সার্চের ফলাফলে আসা প্রথম ১০০টি ছবির মধ্যে ৬১টি লিংকই এমন কোন না কোন কনটেন্টের সঙ্গে সম্পর্কিত৷ চেক রিপাবলিক, মলদোভা এবং রোমানিয়ার ক্ষেত্রেও প্রায় একই চিত্র দেখা যায়৷ দক্ষিণ আমেরিকা বা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্যেও এই প্রবণতা দেখা গেছে৷

বিপরীত দিক থেকে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর ক্ষেত্রে এমন চিত্র খুব একটা দেখা যায় না৷ জার্মান নারীদের ক্ষেত্রে প্রথম ১০০ টি ছবির সঙ্গে মাত্র ১৬ টি কনটেন্টকে আপত্তিকর হিসেবে চিহ্নিত করা যায়৷ আর ফরাসি নারীদের ছবি অনুসন্ধানে এই হার ছয় শতাংশ৷

ছবির অনুসন্ধানে গুগলের অ্যালগরিদমের এমন পক্ষপাতমূলক ফলাফলের বিষয়ে গুগলের প্রেস অফিসে এই সংক্রান্ত প্রশ্নের একটি তালিকা পাঠানো হয় ডয়চে ভেলের পক্ষ থেকে৷ কিন্তু এই বিষয়ে বিস্তারিত জবাব তারা দেয়নি৷ এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, সার্চের ফলাফলে ‘খোলামেলা কিংবা বিরক্তিকর’ কনটেন্ট আসতে পারে যা নারীদের নিয়ে ওয়েবে থাকা নেতিবাচক ও একপাক্ষিক ধারণা তুলে ধরতে পারে৷ প্রতিষ্ঠানটি বলছে ইন্টারনেটে যেইভাবে তথ্য সাজানো তার কারণেই সার্চের ফলাফলে এই ধরনের কনটেন্ট আসে৷  এই ব্যবস্থা পরিবর্তনে সমাধান খোঁজার কাজ চলছে উল্লেখ করলেও এই বিস্তারিত কিছু আর তারা জানায়নি৷

রড্রিগো মেনেগাট শুয়িনস্কি/এফএস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ