আপনার প্রিয় দল বিশ্বকাপে খেলছে, আপনি বসে আছেন স্টেডিয়ামে – এমন একটা অনুভূতি পেতে কার না ইচ্ছে করে? ঘরে বসে এই অভিজ্ঞতা পেতে আপনাকে সাহায্য করবে গুগল গ্লাস৷
ছবি: picture alliance/ZUMA Press
বিজ্ঞাপন
স্পোর্টস দলগুলো এবং সম্প্রচার কোম্পানিগুলো বেশি বেশি দর্শক টানার জন্য নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন, গুগল গ্লাস আর পিছিয়ে থাকে কেন? তারাও তাই ঝাঁপিয়ে পড়েছে স্পোর্টসকে গুগল গ্লাসের মাধ্যমে কী ভাবে সমন্বয় করা যায় তা নিয়ে৷
আর এটি প্রথম ব্যবহার করবে অ্যামেরিকান ফুটবল দল ফিলাডেলফিয়া ঈগলস৷ স্পোর্টসডেস্ক মিডিয়া-র প্রতিষ্ঠাতা এরিক ফার্নান্দেজ বলেছেন, ‘‘আমি যখন দলগুলোর সাথে কথা বলে জানতে চাইলাম তারা কী ধরনের প্রযুক্তি চাইছে, তারা জানালো তাদের প্রথম চাহিদা গুগল গ্লাস এবং দ্বিতীয়টি স্ন্যাপ চ্যাট৷ ২০১২ সালের এপ্রিলে বিস্ময়কর এই চশমার ধারণা দিয়ে বিশ্বে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল গুগল৷ সম্প্রতি তারা এটা বাজারে এনেছে যার দাম ১,৫০০ ডলার৷ গুগল গ্লাসের ব্যবসা উন্নয়ন প্রধান এরিক জনসেন বললেন, ‘‘ভক্তরা এই গ্লাস দিয়ে খেলা দেখার সময় এমন অভিজ্ঞতা পাবে যা আগে কখনো হয়নি৷''
[No title]
This browser does not support the audio element.
আর খেলা চলতে থাকার সময় কোনো ফেসবুক ও টুইটার পোস্ট দেখতে হলে খালি একটা সুইচ টিপতে হবে, স্ক্রিনের একপাশেই সবশেষ টুইট বা পোস্টটি দেখা যাবে, ফলে খেলার কোনো অংশ মিস হওয়ার সম্ভাবনা নেই৷ খেলা দেখা এবং সেইসাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে সমন্বয়ের ব্যাপারটি জানতে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১,০০০ মার্কিন নাগরিকের উপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে৷ ইন্ডিয়ানাপোলিস বাস্কেটবল দলের শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানালেন, ‘কোনো খেলাকে কী ভাবে আরো জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া যায় এবং জনগণের সাথে নিজেকে ফোনের মাধ্যমে সমন্বয় করতে পারে সেটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য৷'
মেসি-নেইমার সমানে সমান
রাশিয়া বিশ্বকাপেও সবাই তাঁদের দিকে তাকিয়ে৷ মেসি আর নেইমার৷ চলুন ২০১৪ বিশ্বকাপে তাদের কয়েকটি ম্যাজিক দেখে নিই ছবিঘরে৷
ছবি: Pedro Ugarte/AFP/Getty Images
শুরুতেই নেইমার
২০১৪ বিশ্বকাপে তারকার দ্যুতি কিন্তু প্রথমে নেইমারই দেখিয়েছেন৷ আসর শুরু হয়েছিল ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচ দিয়ে৷ আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়লেও পরে নেইমারের গোলেই ম্যাচে ফিরেছিল ব্রাজিল৷ গোল করার পর নেইমারের উল্লাস৷
ছবি: Reuters
আবার নেইমার
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেদিন শুধু ব্রাজিলকে ম্যাচে ফেরাননি, আরেক গোল করে জয়ের দ্বারপ্রান্তেও নিয়ে গিয়েছিলেন নেইমার৷ গোলটি হয়েছিল পেনাল্টি থেকে৷ ছবিতে ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক স্টিপে প্লেটিকোসাকে নেইমারের শট রোখার ব্যর্থ চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Reuters
মেসির শুরু
বিশ্বকাপ ২০১০ শুধু হতাশাই দিয়েছিল লিওনেল মেসিকে৷ সে আসরে আর্জেন্টিনা তো প্রত্যাশা মতো খেলতে পারেইনি, মেসিও পাননি বলার মতো কোনো সাফল্য৷ মেসির মতো খেলোয়াড় সেবার একটা গোলও পাননি, ভাবা যায়! ২০১৪-তে কিন্তু গোলখরা কাটাতে বেশি সময় নেননি৷ রিও ডি জেনেরোয় নিজেদের প্রথম ম্যাচে বসনিয়াকে ২-১ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা৷ দু’গোলের মধ্যে একটি ছিল মেসির৷
ছবি: Reuters
ত্রাণকর্তা মেসি
দ্বিতীয় ম্যাচে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ছিল ইরান৷ সহজ জয়ই ছিল প্রত্যাশিত৷ কিন্তু ইরান কোমর বেঁধে নামে গোল না খাওয়ার লড়াইয়ে৷ মেসি ছিলেন বলে রক্ষা৷ তাঁর একমাত্র গোলেই সেদিন জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা৷ মেসির শট থেকে বল যাচ্ছে জালে, আপ্রাণ চেষ্টা করেও কিছু করতে করতে পারলেন না গোলরক্ষক আলী রেজা হাঘিঘি, শেষ রক্ষা হলো না ইরানের৷
ছবি: Reuters
নেইমার-নির্ভর ব্রাজিল
মেসি ছাড়া আর্জেন্টিনা প্রায় অচল – এটা এখন প্রায় প্রতিষ্ঠিত সত্য৷ ব্রাজিল দলে নেইমারের গুরুত্বও এখন এরকম৷ মেক্সিকোর বিপক্ষে নেইমার গোল পাননি৷ ব্রাজিলকে সেই ম্যাচ ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে৷ গ্রুপ পর্বে পাঁচ বারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের শেষ ম্যাচটি ছিল ক্যামেরুনের বিপক্ষে৷ এ ম্যাচেও নেইমারের গোলেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা৷
ছবি: Reuters
আবার জোড়া গোল
ক্রোয়েশিয়ার মতো ক্যামেরুনের বিপক্ষেও এক গোল করে সন্তুষ্ট থাকেননি নেইমার৷ এ ম্যাচেও জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা৷ কোচ স্কলারি অবশ্য নকআউট পর্বের কথা ভেবে দলের সেরা তারকাকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেননি৷ দু’গোল করার পরই তুলে নেন নেইমারকে৷
ছবি: AFP/Getty Images
মেসি মানেই গোল
‘এফ’ গ্রুপে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে মেসির গোলেই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা৷ তারপরও থামেননি আর্জেন্টাইন সুপারস্টার৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মেসি-ম্যাজিক
আর্জেন্টিনাকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল নাইজেরিয়া৷ ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পরের মিনিটেই মুসার গোলে সমতা ফেরায় তারা৷ তারপর আবার মেসি-ম্যাজিক৷ ফ্রি-কিক থেকে গোল করে আবার আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে নেন এই ফুটবলার৷ ছবিতে মেসির ফ্রি কিক নেয়ার দৃশ্য, বাঁক খেয়ে বল যাচ্ছে গোল পোস্টের দিকে৷
ছবি: Pedro Ugarte/AFP/Getty Images
8 ছবি1 | 8
‘গুগল গ্লাস'নামে পরিচিত এই বস্তুটি আসলে মোবাইল কম্পিউটার আর চশমার মিলিত এক রূপ৷ এই চশমাটি দিয়ে ছবি তোলা, ইন্টারনেট ব্যবহার, ভিডিও রেকর্ড করা, এসএমএস পাঠানো – সব কাজ করা যায়৷ অর্থাৎ স্মার্টফোন দিয়ে যা করা সম্ভব, তা-ই করা যায় চোখে পরা এই চশমাটি দিয়ে৷
সাধারণের ব্যবহারের জন্য বাজারে ছাড়ার আগে গুগলের এই চশমাটি ব্যবহার করেছিলেন নির্বাচিত কিছু ব্যক্তি, যার মধ্যে রয়েছেন সফটওয়্যার ডেভেলপার, প্রোগ্রামার ইত্যাদি৷ ইউনিভার্সিটি অফ আলাবামা অ্যাট বার্মিংহামের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগে সহকারী অধ্যাপক রাগিব হাসানও গুগল গ্লাস নিয়ে কাজ করছেন৷
তাঁর মতে কেবল অডিও, ভিডিও ও কম্পিউটারের কাজ নয় – কোনো একটি রাস্তায় চলার সময় সেটার প্রতিটি কোণে কী আছে তা আপনাকে জানিয়ে দেবে চশমাটি৷ এর মাধ্যমে ধারণা করা যায় প্রতিটি মুহূর্ত৷ রাগিব হাসান অবশ্য কম্পিউটারের তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুগল গ্লাস নিয়ে কাজ করছেন৷