ইউরোপে ব্যবসা করে কর এড়িয়ে যাবার দিন শেষ হয়ে গেছে, এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ৷ ইইউ শীর্ষ নেতারা ডিজিটাল যুগের জন্য ইউরোপকে প্রস্তুত করে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷
বিজ্ঞাপন
ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেতারা ডিজিটাল যুগে ইউরোপের ভবিষ্যৎ রূপরেখা স্থির করতে শুক্রবার এস্টোনিয়ার রাজধানী টালিন-এ মিলিত হচ্ছেন৷ প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতির মাঝে প্রতিযোগিতার বাজারে ইউরোপের অবস্থান মজবুত করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর৷ সরকারি, বেসরকারি ক্ষেত্র থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও যাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে পারে, সেই লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেবার তোড়জোড় করছে৷ উল্লেখ্য, এ ক্ষেত্রে এস্টোনিয়া এর মধ্যেই বিপুল সাফল্য অর্জন করেছে৷
শরণার্থীর ঢল, আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকট, পপুলিস্টদের উত্থান, কাঠামোগত দুর্বলতাসহ একাধিক সমস্যায় জর্জরিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ তবে একাধিক সংস্কারের মাধ্যমে ব্রেক্সিট-পরবর্তী যুগে ইইউ-কে শক্তিশালী করে তোলার প্রস্তাব দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও মাক্রোঁর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন৷
এসব প্রস্তাব কার্যকর করতে আগামী দুই সপ্তাহ ধরে আলাপ-আলোচনার পর ইউরোপীয় কমিশন কিছু স্পষ্ট লক্ষ্যমাত্রা স্থির করবে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে৷
শুক্রবার ইইউ নেতারা ডিজিটাল অর্থনীতি ও সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করছেন৷ গুগল ও ফেসবুকের মতো বহুজাতিক ডিজিটাল কোম্পানি এতকাল যেভাবে ইউরোপে কর এড়িয়ে ব্যবসা করে চলেছে, সেই ব্যবস্থায় ইতি টানতে চান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ৷ ইইউর মধ্যে তাদের যে আয় হচ্ছে, তার উপর কর চাপাতে চান তিনি৷ উল্লেখ্য, ইউরোপে গুগল, এয়ারবিএনবিসহ একাধিক কোম্পানির বিরুদ্ধে এর মধ্যেই কর ফাঁকি সংক্রান্ত মামলা চালানো হয়েছে৷
তবে আয়ারল্যান্ডের মতো ছোট দেশগুলি এই প্রস্তাব প্রতিরোধ করছে, কারণ করের নিম্ন হারের মাধ্যমে তারা এতকাল বড় ডিজিটাল কোম্পানিগুলিকে আকর্ষণ করতে পেরেছে৷ বিদায়ী দেশ ব্রিটেনও মনে করে, মূলত মার্কিন ডিজিটাল কোম্পানিগুলির উপর ইউরোপে কর চাপালে মার্কিন প্রশাসন রুষ্ট হয়ে পালটা পদক্ষেপ নিতে পারে৷
বিলিয়নেয়ার পাঁচ তরুণের কথা
ফোর্বস ম্যাগাজিন ধনী ব্যক্তিদের তালিকা তৈরির জন্য সুপরিচিত৷ তরুণ বিত্তশালীদের নিয়েও তালিকা তৈরি করে তারা৷ ছবিঘরে থাকছে এমনই পাঁচজন তরুণ সম্পদশালীর কথা৷
ছবি: Getty Images/AFP/T. A. Clary
মার্ক জাকারবার্গ
তাঁকে কে চেনেন না? ফেসবুকের নাম কে শোনেননি? ৩১ বছর বয়সি ফেসবুকের এই প্রতিষ্ঠাতার সম্পদের পরিমাণ ৩৩.৪ বিলিয়ন ডলার৷ তাই তিনি যে শুধু সবচেয়ে ধনী তরুণ তাই নন, বিশ্বের সবচেয়ে বিত্তশালীদের তালিকায় তাঁর নাম পাওয়া যাবে ১৬ নম্বরে৷
ছবি: picture alliance/dpa/A. Dalmau
ডাস্টিন মস্কোভিৎস
ফেসবুক প্রতিষ্ঠার সময় ছিলেন সাকারবার্গের সঙ্গে৷ এমনকি ২০০৮ সাল পর্যন্ত পুরোপুরি ফেসবুক কোম্পানিতেই ছিলেন৷ এরপর বের হয়ে ‘আসানা’ নামের আরেকটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন৷ ই-মেল ছাড়াই টিমওয়ার্ক চালানোর ওয়েব ও মোবাইল অ্যাপ আসানা৷ ফেসবুকে এখনও কিছু শেয়ার আছে মস্কোভিৎসের৷ সাকারবার্গের চেয়ে আট দিনের ছোট মস্কোভিৎসের সম্পদের পরিমাণ ৭.৯ বিলিয়ন ডলার৷ সাকারবার্গের মতোই হার্ভার্ডে পড়াশোনা শেষ না করা মানুষ তিনি৷
ছবি: Getty Images for TechCrunch/A. Diaz
এলিজাবেথ হোমস
চাচা মারা যান ক্যানসারে৷ সেই থেকে রক্ত পরীক্ষা নিয়ে তাঁর কাজ শুরু৷ ১৯ বছর বয়সে স্ট্যানফোর্ডে পড়ার সময় ‘থেরানোস’ নামের কোম্পানি গড়ে তোলেন হোমস৷ তাঁর কোম্পানি কম খরচে ও অল্প সময়ে রক্ত পরীক্ষার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে৷ ৩১ বছর বয়সি হোমসের সম্পদের পরিমাণ ৪.৫ বিলিয়ন ডলার৷
ছবি: Steve Jennings/Getty Images for TechCrunch
ইভান স্পিগেল
স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহার করেন অনেকেই৷ স্পিগেল এই অ্যাপের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা৷ ২০১১ সালে তৈরি করা অ্যাপটি প্রতিদিন প্রায় ১০০ মিলিয়ন মানুষ ব্যবহার করে৷ যুক্তরাষ্ট্রের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর প্রায় ৬০ শতাংশের মোবাইলে এই অ্যাপ ডাউনলোড করা আছে৷ ফোর্বসের হিসেব অনুযায়ী, স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট ২৫ বছর বয়সি স্পিগেলের সম্পদের পরিমাণ দেড় বিলিয়ন ডলার৷