২০১৯ সালে বাংলাদেশে গুগলে যাদেরকে সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয়েছে তার মধ্যে ১০ নম্বরে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি৷ ট্রেন্ডসের গ্রাফে তাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখা গেছে ছয় জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি সময়ে৷

গুগল ট্রেন্ডসে নয় নম্বরে আছেন সঙ্গীত শিল্পী আরমান আলিফ৷ বছরজুড়েই গুগলে তাকে খুঁজেছেন ভক্তরা৷ তার নামে সবচেয়ে বেশি সার্চ হয়েছে রাজশাহী বিভাগ থেকে৷

ট্রেন্ডসে আট নম্বরে রয়েছেন ক্যানাডিয়ান অভিনেতা, প্রযোজক ও সঙ্গীত শিল্পী কিয়ানু রিভস৷ তিনি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলেন ৯-১৫ জুন৷

গত বছরে গুগল ট্রেন্ডসের সেরা দশে ছিলেন ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন৷ তাঁকে বেশি খোঁজা হয়েছে ১০-১৬ নভেম্বর৷ এছাড়া জুনে বিশ্বকাপ চলাকালে তাকে নিয়ে আগ্রহ ছিল বাংলাদেশিদের৷

ট্রেন্ডসে মিঠুনের উপরে রয়েছেন আরেক ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম৷ বিশ্বকাপ, ভারত সফরসহ বছরজুড়েই গুগলে তাকে খুঁজেছেন আগ্রহীরা৷

গুগল ট্রেন্ডসে পাঁচে রয়েছেন সঙ্গীত শিল্পী সামজ ভাই৷ গত জুন থেকে শুরু করে বছরজুড়েই আগ্রহ ছিল ইন্টারনেটে তাকে নিয়ে৷

বাংলাদেশে গুগল ট্রেন্ডসে শীর্ষদের মধ্যে আছেন ভারতীয় অভিনেত্রী সারা আলী খানও৷ তার অবস্থান চতুর্থ৷ তার নামে সবচেয়ে বেশি সার্চ হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে৷

বিপিএলে নজরকাড়া পারফরমেন্সের পর ২০১৮ সালে বাংলাদেশে টি টোয়েন্টি দলে জায়গা পান ২০ বছর বয়সী ক্রিকেটার আফিফ হোসেন৷ গত বছর গুগলে তাকে নিয়ে তুমুল আগ্রহে ছিল ৮-১৪ সেপ্টেম্বর সময়টাতে৷

গুগল ট্রেন্ডসে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন ক্রিকেটার মোহাম্মদ নাঈম৷ মূলত সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সার্চই তাকে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে৷

২০১৯ সালটা নিজের করে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান৷ মাঠের পারফরমেন্স থেকে শুরু করে ক্রিকেটারদের বিদ্রোহের নেতৃত্ব কিংবা আইসিসির নিষেধাজ্ঞা বছর জুড়েই তিনি ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে৷ বাংলাদেশ থেকে সার্চে তিনিই ছিলেন তাই গুগল ট্রেন্ডসের শীর্ষে৷

২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে যেসব ব্যক্তিদের সার্চ করা হয়েছে গুগলে তাদের মধ্যে শীর্ষে ছিলেন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কোলিন্ডা গ্রাবার-কিটারোভিচ৷ এরপর ছিলেন ভারতীয় অভিনেত্রী প্রিয়া প্রকাশ ভারিয়ার, ব্রিটিশ রাজকুমারী মেগান মার্কেল৷ চতুর্থ অবস্থানে ছিলেন পর্ন অভিনেত্রী মিয়া খলিফা আর পঞ্চম সানি লিওন৷ ফুটবলার এমবাপ্পে, পর্ন অভিনেত্রী মিয়া মালকোভা, শিল্পী নিক জোনাস, খালেদা জিয়া ও হিরো আলমও ছিলেন তালিকায়৷

অনলাইনে গেম যারা খেলেন তাঁদের কাছে জনপ্রিয় এটি৷ এর মাধ্যমে একজন গেমার আরেকজনের সাথে যোগাযোগ করে থাকে৷ এতে বন্ধুতালিকা বানানোর সুযোগও রয়েছে৷ স্ট্যাটিস্টা ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে ডিসকর্ডের মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা হলো ২৫০ মিলিয়ন, অর্থাৎ ২৫ কোটি৷

অনেকেই হয়তো পিন্টারেস্টের নাম শুনেছেন৷ বিশ্বব্যাপী এর গ্রাহক সংখ্যা ২৬৫ মিলিয়ন (২৬ কোটি ৫০ লাখ)৷

কেউ কেউ বলেন, দ্রুত কোনো ইমেজ পাঠাতে এ মাধ্যমটি খুব সহায়ক৷ এর মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৯৪ মিলিয়ন (২৯ কোটি ৪০ লাখ)৷

এটি একটি চাইনিজ মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট৷ ব্যবহারকারী কিন্তু কম নয়—৪৬৫ মিলিয়ন (৪৬ কোটি ৫০ লাখ)৷

রেড্ডিট হলো অ্যামেরিকান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, যা মূলত বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট সংরক্ষণ, আদান-প্রদানের জন্য অনেকের কাছেই প্রিয়৷ এর মধ্য দিয়ে আপনি চালিয়ে যেতে পারেন সামাজিক আলোচনাও৷ বিশ্বব্যাপী মোট ৩৩০ মিলিয়ন লোক এ মাধ্যমটি ব্যবহার করে৷

নামটা বেশ কিউট না? চাইনিজ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টেনসেন্টের মালিকানাধীন একটি ইনস্ট্যান্ট মেসেজ সার্ভিস এটি ৷ প্রায় ২০ বছর আগে চালু হওয়া এ মাধ্যমটির সারা বিশ্বে ৮২৩ মিলিয়ন, অর্থাৎ ৮২ কোটি ৩০ লাখ ব্যবহারকারী রয়েছে৷

উত্তরটি হয়তো সবার জানা৷ সবার শীর্ষে ফেসবুক৷ চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত সারা বিশ্বে এ মাধ্যমটির মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা হলো ২৩৫০ মিলিয়ন, অর্থাৎ ২৩৫ কোটি!

ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ইউটিউব৷ এর মোট ব্যবহারকারী দুই হাজার মিলিয়ন বা দুইশ’ কোটি৷