গুজরাটের ভেঙে পড়া সেতুতে টেন্ডার ছাড়াই মেরামতির কাজ
১ নভেম্বর ২০২২
গুজরাটের মোরবিতে সাতমাস ধরে সেতু বন্ধ রেখে মেরামতির কাজ চলেছে। অথচ, কোনো টেন্ডার ছাড়াই মেরামতির দায়িত্ব দেয়া হয় একটি সংস্থাকে।
বিজ্ঞাপন
ওরেভা বলে যে সংস্থা এই মেরামতি করেছে, তারা একশ বছরের বেশি পুরনো এই সেতুর পুরনো তারগুলিও বদল করেনি। যার ফলে সেতুটি অতজন মানুষের চাপ সহ্য করতে পারেনি এবং দুর্ঘটনা হয়েছে। ৪৭টি বাচ্চা সহ ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মোরবি পুরসভা এই কাজের দায়িত্ব ওরেভাকে দিয়েছিল। এনডিটিভি জানাচ্ছে, চুক্তিপত্র অনুযায়ী, কোনো টেন্ডার ডাকা হয়নি। মেরামতির পর দেখা যাচ্ছে, যে তারগুলি সেতুটিকে ধরে রেখেছিল, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি তার পুরনোই থেকে গেছে। সেগুলি বদলানো হয়নি। অথচ, এই তারগুলি বদল করা দরকার ছিল।
ফরেনসিক ল্যাবরেটরি জানিয়েছে, প্রচুর মানুষের ভার সেতুটি সহ্য করতে পারেনি। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা সেতুর নীচ থেকে লোহার স্যাম্পেলও কেটে নিয়ে গেছেন পরীক্ষা করার জন্য।
সেতুটি ভেঙে পড়ার আগের ফুটেজ থেকে দেখা যাচ্ছে. একদল মানুষ ছবি তুলছেন এবং অন্যরা সেতুটিকে দোলাবার চেষ্টা করছেন। তখন চাপ সহ্য করতে না পেরে তার ছিঁড়ে যায় ও সেতুটি ভেঙে পড়ে।
মোদী-রাজ্য গুজরাটে সেতু ভেঙে মৃত ১৩৪
গুজরাটের মোরবিতে ভেঙে পড়েছে ১৪০ বছর পুরনো সেতু। মৃত ১৩৪ জন। ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ছবি: AA/picture alliance
কীভাবে হলো?
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার সময় ব্রিজের উপর প্রায় চারশ মানুষ ছিলেন। ভিড়ের চাপ সম্ভবত নিতে পারেনি ওই সেতু। কিছু মানুষ ছোটাছুটিও করছিলেন। দেওয়ালির পরের রোববার। ফলে অনেকেই বাড়ি এসেছিলেন। আর এই সেতুটিই ছিল আকর্ষণের কেন্দ্র।
ছবি: Rajesh Ambaliya/AP Photo/picture alliance
মেরামতির পর খুলেছিল
সাতমাস ধরে ব্রিজের মেরামতি চলছিল। সম্প্রতি মেরামতি শেষ করে সেতুটি গত ২৬ অক্টোবর খুলে দেয়া হয়। পুরসভার প্রধান জানিয়েছেন, খোলার আগে তাদের কাছ থেকে অনুমতি নেয়া হয়নি। সরকারি টেন্ডার পেয়ে একটি বেসরকারি সংস্থা সেতুর মেরামতি করেছিল। অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর দায় এড়ানোর চেষ্টা শুরু হয়ে গেছে।
ছবি: K K Productions/AP Photo/picture alliance
ভয়ংকর পরিস্থিতি
সেতুটি ভেঙে পড়ার পর শতাধিক মানুষ জলে পড়ে যান। কিছু মানুষ দড়ি ধরে ঝুলতে থাকেন। কেউ সেতু থেকে লাফিয়ে সাঁতার কেটে তীরে আসার চেষ্টা করেন। তীর থেকে অনেকে জলে ঝাঁপ দেন ডুবতে থাকা মানুষদের উদ্ধারের জন্য।
ছবি: AA/picture alliance
সেতুতে থাকা মানুষের বক্তব্য
সেই সময় সেতুতে থাকা একজনের বক্তব্য, প্রচুর মানুষ সেতুতে চড়েছিলেন। হঠাৎই সেতু ভেঙে পড়ে। তিনি আহত হয়েছেন। তবে আঘাত খুব গুরুতর নয়। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, সেতু ভেঙে মানুষ নদীতে পড়েন। তারা একে অপরের উপর পড়েন বলে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।
ছবি: AA/picture alliance
মোদীর রোড শো বাতিল
গুজরাটে ডিসেম্বরে বিধানসভা নির্বাচনের কথা। তাই প্রচার এখন তুঙ্গে। এই অবস্থায় সেতু ভেঙে পড়া নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী তার প্রস্তাবিত রোড শো বাতিল করেছেন। তিনি নিহতদের পরিবরাকে দুই লাখ টাকা দেয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী রাতেই ঘটনাস্থলে গেছেন। বিরোধীরা ঘটনার জন্য সরকারের দিকে আঙুল তুলেছে।
ছবি: Sergei Bobylev/Sputnik/Kremlin Pool Photo/AP/picture alliance
5 ছবি1 | 5
পুরসভার প্রধান এখন বলছেন, সেতুটি খুলে দেয়ার আগে তাদের জানানো হয়নি। কোম্পানি ফিটনেস সার্টিফিকেটও নেয়নি। এনডিটিভি জানাচ্ছে, ওরেভা এই কাজটি দেবপ্রকাশ সলিউশন নামে একটি কোম্পানিকে আউটসোর্স করে দিয়েছিল। নতুন করে খুলে দেয়ার আগে সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, তারা দুই কোটি টাকায় সেতুর পুরো নবীকরণ করেছেন।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, একটি ঘড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানিকে কী করে সেতুর মেরামতির কাজ দেয়া হলো। ওরেভা একটি ঘড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা বলে অভিযোগ।
বিশ্বনেতাদের শোক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী লাপিদ-সহ বহু রাষ্ট্রনেতা গুজরাটের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন।
বাইডেন একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ''জিল ও আমার হৃদয় ভারতের স্বজন হারানো পরিবারের সঙ্গে আছে। সেতু ভেঙে পড়ে এতগুলি জীবন অকালে চলে গেল। অ্যামেরিকা ও ভারতের জনগণের মধ্যে একটা অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক আছে। আমরা ভারতের জনগণের পাশে আছি।''
কলকাতার ব্রিজ: ভাঙছে চাঙড়, গজাচ্ছে বটগাছ, বাড়ছে ফাটল
তিন বছর আগে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট সেতু। বিশেষজ্ঞ কমিটি বলেছিল, ২০টি ব্রিজ সারানো দরকার। কিছু সারানো হয়েছে। কলকাতার সেতু ঘুরে দেখে ডিডাব্লিউ-র বিশেষ ছবিঘর।
ছবি: Subrata Goswami/DW
মা উড়ালপুলে বটগাছ
বাইপাসে পার্ক সার্কাস কানেকটরের উপর তৈরি হয়েছে এই সেতু। কলকাতা তথা রাজ্যের দীর্ঘতম উড়ালপুল। দশ কিলোমিটার লম্বা এই উড়ালপুলের গায়ে দেখা গেল বটগাছের চারা গজিয়ে গেছে। যা সেতুর ক্ষতি করতে পারে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
উল্টোডাঙা সেতুতে ফাটল
আট বছর আগে ভেঙে পড়েছিল এই ব্রিজের একাংশ। বহুদিন বন্ধ ছিল উড়ালপুলের একাংশ। তারপর সারানো হয়েছে। হাইটবার লাগানো হয়েছে। বড় গাড়ি উঠতে দেয়া হয় না। এই ব্রিজেও ফাটল চোখে পড়েছে। বৃহস্পতিবার মেরামতির জন্য উড়ালপুল বন্ধ ছিল।
ছবি: Subrata Goswami/DW
বিজন সেতুর বেহাল স্থিতি
কসবায় এই সেতুটির অবস্থা বছর পাঁচেক আগে বেশ খারাপ ছিল। তারপর সারাই হয়েছে। সিমেন্ট ও রঙের প্রলেপ পড়েছিল। কিন্তু আবার এই সেতুর অবস্থা খারাপ হচ্ছে। বেরিয়ে পড়ছে কংক্রিটের কঙ্কাল।
ছবি: Subrata Goswami/DW
সোনারপুর রেল ওভারব্রিজ
ব্রিজের শুরুতে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করা গাড়ি রাখে। ব্রিজের নীচে মাছের আড়ত। বেশ নোংরা। এর ফলে ব্রিজের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট।
ছবি: Subrata Goswami/DW
শিয়ালদহ ফ্লাইওভার
সরকারি নাম বিদ্যাপতি সেতু। ব্রিজের নীচে বিশাল বাজার। কোনো গাড়ি চলে না। ১৯৭৮ সালে তৈরি এই ব্রিজ মেট্রো রেলের সুড়ঙ্গ তৈরির জন্য চারদিন বন্ধ রাখা হয়েছিল। আগে এখানে ট্রাম চলতো। তাও এখন বন্ধ। ট্রামনাইলে পিচ ঢালা হয়েছে। কিন্তু এর ফলে লোহার পাত গরম হয়ে ব্রিজে ফাটল ধরার আশঙ্কা আছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
হাওড়া ব্রিজে গুটখার ক্ষত
কলকাতার বিখ্যাত ল্যান্ডমার্ক। এই সেতুও গুটখার (পান মশলা) থুতুর নির্যাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। কিছুদিন আগে বিশেষ কেমিক্যাল লাগানো হয়েছিল। এবার এই সেতু সারাবার পরিকল্পনা করেছে সরকার।
ছবি: Subrata Goswami/DW
নতুন মাঝেরহাট ব্রিজ
ভেঙে পড়া সেতুর জায়গায় তৈরি হয়েছে নতুন সেতু। তার নাম দেয়া হয়েছে জয় হিন্দ ব্রিজ। ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সেতুর উদ্বোধন করেন। দুই বছর তিন মাস বন্ধ থাকার পর আবার চালু হয় মাঝেরহাট সেতু। নতুন ব্রিজ। তাই বাসিন্দারা এখন আশ্বস্ত। এই সেতুতে অতিরিক্ত ভার পড়লে সেন্সরের মাধ্যমে বার্তা পৌঁছে যাবে লালবাজার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে। প্রচুর ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
করুণাময়ী ব্রিজের মেরামত
মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পর দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জের কাছে করুণাময়ী ব্রিজের একাংশ ভেঙে যায়। ২০২০ সালে পরীক্ষার জন্য চারদিন বন্ধ রাখা হয় এই সেতু। তারপর তা সারানো হয়। কিন্তু এখন সেই ব্রিজের নীচে গাছ গজিয়েছে দেখা গেল। চারপাশে জঞ্জাল।
ছবি: Subrata Goswami/DW
সারানো হয়েছে অরবিন্দ সেতু
মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর নজর পড়ে এই ব্রিজের দিকে। মেরামতি হয়। কিন্তু তারপরেও ব্রিজের হাল পুরোপুরি ফেরানো যায়নি। ভারী যানবাহন নিষিদ্ধ। তাই ব্রিজে রয়েছে হাইটবার।
ছবি: Subrata Goswami/DW
চিংড়িহাটা ফ্লাইওভার নিয়ে আশঙ্কা
লকডাউনের সময় করা এক সমীক্ষায় এই সেতুটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই চিন্তা এখনো রয়েছে। এই সেতুর থামের অবস্থান নিয়েও সমস্যা আছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
ছবি: Subrata Goswami/DW
কালীঘাট ব্রিজের হাল
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছে এই ব্রিজ। মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর জরুরি ভিত্তিতে এই সেতু মেরামতের নির্দেশ দেয়া হয়। মেরামত হয়েছে। পণ্যবাহী গাড়ি নিষিদ্ধ। হাইটবার লাগানো হয়েছে। নীল-সাদা রঙ দিয়েও এই সেতুর জীর্ণতা ঢাকা পড়ছে না।
ছবি: Subrata Goswami/DW
টালিগঞ্জ ব্রিজের অবস্থা ভালো নয়
১৯৩২ সালে তৈরি হয় এই সেতু। ব্রিজের নীচ দিয়ে বইছে আদিগঙ্গা। ব্রিজের উপরে ফুটপাথ জুড়ে বাজার বসে। ৮৯ বছর বয়সি এই ব্রিজের অবস্থা ভালো নয়।
ছবি: Subrata Goswami/DW
ঢাকুরিয়া ব্রিজ ও ইঁদুর
ঢাকুরিয়া ব্রিজের নীচে ইঁদুরবাহিনী চার ফুট মতো গর্ত করে ফেলেছিল। আপাতত পরিস্থিতি সামাল দেয়া গেছে। তবে পুরসভা, সহ একাধিক সংস্থা মনে করছে, জোড়াতালি দিয়ে আপাতত বিপদ কাটানোর চেষ্টা হয়েছে ঠিকই, ভবিষ্যতে সমস্যা আবার বড় হয়ে দেখা দিতে পারে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
আম্বেডকর সেতুর অবস্থা
ইস্টার্ন বাইপাসের পাশে আম্বেডকর সেতু। এই বছরের গোড়ার দিকে তিনদিন বন্ধ রেখে সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়েছে। কাছে কিছু মার্বেলের গুদাম আছে। তাই ভারী যানবাহন চলাচল করে। জরুরি ভিত্তিতে কিছু কাজ করা হয়েছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
নাগেরবাজার ফ্লাইওভারের সমস্যা
সরকারি নাম রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব সেতু। বাম আমলে কাজ শুরু হয়েছিল। তবে ২০১২-তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করেন। ব্রিজের নিকাশি ব্যবস্থা ভালো নয়। উপর থেকে নীচে জল পড়ে সমস্যার সৃষ্টি করে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
বেলগাছিয়া রেল ওভারব্রিজ
এই রেল ওভারব্রিজের নীচে দুইটি স্টেশন। কলকাতা এবং টালা চক্ররেল স্টেশন। এই ব্রিজের উপর দিয়ে ট্রাম চলত। পিচের অবস্থা বালো নয়। ফাটল, গর্ত ভর্তি।
ছবি: Subrata Goswami/DW
বাঘাযতীন রেল ওভারব্রিজের হাল
খুবই খারাপ অবস্থায় ছিল এই রেলওভারব্রিজ। ২০১৭ সালে ব্রিজের একটা চাঙড় ভেঙে পড়ে। তারপর এই ব্রিজ সারানোর কাজ শুরু হয়।
ছবি: Subrata Goswami/DW
কামালগাজি উড়ালপুলের অবস্থা ভালো
পাঁচ বছর আগে তৈরি হয়েছে এই উড়ালপুল। ৮৪ কোটি টাকা খরচ করে। এখনো অবস্থা ভালো আছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
দ্বিতীয় হুগলি সেতুর অবস্থা ভালো
সরকারি নাম বিদ্যাসাগর সেতু। বেশি পরিচিত দ্বিতীয় হুগলি সেতু নামে। বছর তিরিশেকের এই সেতুর অবস্থা যথেষ্ট ভালো।
ছবি: Subrata Goswami/DW
শতবর্ষ পেরনো সুইং ব্রিজ
খিদিরপুর সুইং ব্রিজের বয়স একশ পার হয়েছে। ব্রিজটি জাহাজ এলে আড়াআড়িভাবে ঘুরে যেতে পারে। তাই এর নাম সুইং ব্রিজ। বয়স হলেও ভালো অবস্থায় আছে এই ব্রিজ।
লোহার তৈরি পুরনো ব্রিজ। নতুন রঙ হয়েছে। কিন্তু তাতেও জীর্ণতা ঢাকা যায়নি।
ছবি: Subrata Goswami/DW
গর্ডেনরিচ বাস্কিউল ব্রিজ
১৯৬৬ সালে তৈরি হয়েছিল এই ব্রিজ। ব্রিজটি আড়াআড়ি খুলে যেতে পারে। কলকাতা বন্দরের তত্ত্বাবধানে আছে এই ব্রিজ। অবস্থা ভালো।
ছবি: Subrata Goswami/DW
টালা সেতু ভেঙে নতুন ব্রিজ
২০২০ থেকে টালা সেতুতে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এরপর সেতু ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নতুন সেতু তৈরি হচ্ছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
পোস্তা উড়ালপুলও ভাঙা হচ্ছে
২০১৬-তে ভেঙে পড়ে নির্মীয়মান পোস্তা উড়ালপুলের একটি অংশ। এখন পুরোটাই ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
25 ছবি1 | 25
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাঠানো বার্তায় বলেছেন, ''এই মর্মান্তিক ঘটনায় আমি শোকার্ত।'' তিনি মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী লাপিদ বলেছেন, ''ইসরায়েলের মানুষ এখন ওই দুর্ঘটনাগ্রস্তদের জন্য প্রার্থনা করছে।'' শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রানিল বিক্রমসিংঘে বলেছেন, তিনি সেতু ভেঙে এতজন মানুষের মৃত্যুর কথা শুনে শোকস্তব্ধ।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ''আমরা মৃতদের পরিবারকে আমাদের সহানুভূতি ও শোক জানাচ্ছি।''
মোদী যাচ্ছেন বলে
নরেন্দ্র মোদী যাচ্ছেন বলে মোরবির হাসপাতালের কলি ফেরানো হচ্ছে। যা নিয়ে সোচ্চার কংগ্রেস ও আপ। এই বিষয় নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।