1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গুটিবসন্তের ‘জ্যান্ত ভাইরাস'

নাটালি ম্যুলার/এআই১৪ মে ২০১৪

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগামী সপ্তাহে (১৯-২৪ মে, ২০১৪) একটি বৈঠকে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে৷ তবে গুটিবসন্তের ‘জ্যান্ত ভাইরাস'-এর যেসব নমুনা সংরক্ষণ করা হচ্ছে সেগুলো পুরোপুরি ধ্বংস নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন মত৷

ছবি: Getty Images

ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ মারণব্যাধির একটি গুটিবসন্ত৷ বিংশ শতকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ৩০ কোটির বেশি মানুষ৷ এই ভাইরাসের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে তাই বিশ্বব্যাপী ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷

গুটিবসন্তের টিকার ব্যাপক ব্যবহারের কারণে এই ভাইরাস নির্মূলও সম্ভব হয়৷ ৩০ বছরের বেশি সময় আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গুটিবসন্ত পুরোপুরি নির্মূল করা হয়েছে বলে ঘোষণা দেয়৷ কিন্তু তাসত্ত্বেও এই ভাইরাস নিয়ে গবেষণার তাগিদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার দু'টি ল্যাবরেটরিতে কিছু ভাইরাস জ্যান্ত নমুনা হিসেবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে৷

দাবি উঠেছে, এ সব জ্যান্ত নমুনাও পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়ার৷ যাঁরা ধ্বংসের পক্ষে তাঁদের যুক্তি হচ্ছে যেহেতু এই রোগ আর পৃথিবীতে নেই, সেহেতু এ সবের নমুনা আর রাখার কোনো দরকার নেই৷

অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সকল সদস্য দেশ এমনটা মনে করে না৷ সংস্থাটির গুটিবসন্ত কর্মসূচির প্রধান ড. আলেজান্ড্রো কোস্টা বলেন, ‘‘নমুনা ধ্বংস নিয়ে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মতভেদ রয়েছে৷''

গুটিবসন্তের ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ৩০ কোটির বেশি মানুষছবি: Getty Images

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার যে ল্যাবরেটরিতে গুটিবসন্তের নমুনা রয়েছে, সেই ল্যাবরেটরির প্রধান ড. ইঙ্গার ডেমন মনে করেন, গুটিবসন্ত নিয়ে গবেষণায় এখনো কিছু ফাঁক রয়ে গেছে৷ একটি সায়েন্স জার্নালে এই বিষয়ে মন্তব্য প্রতিবেদনও লিখেছেন ড. ডেমন৷ তিনি চান, গবেষণার স্বার্থে গুটিবসন্তের জ্যান্ত নমুনা আরো কিছুকাল সংরক্ষণ করা হোক৷

গবেষকদের আরেকটি শঙ্কা হচ্ছে, ভবিষ্যতে জীবানু অস্ত্র হিসেবেও গুটিবসন্ত ব্যবহার হতে পারে৷ কেননা গত শতকের সত্তরের দেশকে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন এরকম অস্ত্র তৈরি করেছিল৷ ১৯৯০-এর দশকে আবার সেসব ধ্বংস করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে তখন৷ কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার সময় এসব অস্ত্র যে কিছুটা হলেও বেহাত হয়নি সে নিশ্চয়তা পুরোপুরি কেউ দিতে পারছে না৷

গুটিবসন্তের জীবন্ত নমুনা ধ্বংসের বিষয়টি তাই এখনো এক দীর্ঘ আলোচনার বিষয়৷ সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈঠকে বিষয়টি নিষ্পত্তি হতে পারে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ