গুম প্রতিরোধে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আইনের প্রয়োগ
২৩ এপ্রিল ২০২৫
খসড়ায় গুমের শিকার ব্যক্তির মৃত্যু হলে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং কোটি টাকা অর্থদণ্ডে এবং গুমের বিচার ট্রাইব্যুনালে করার কথা বলা হযেছে।
গুম প্রতিরোধে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আইনের প্রয়োগ
গুমের অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন এবং পঞ্চাশ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রেখে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। খসড়ায় গুমের শিকার ব্যক্তির মৃত্যু হলে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং কোটি টাকা অর্থদণ্ডে এবং গুমের বিচার ট্রাইব্যুনালে করার কথা বলা হযেছে।
গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ডয়চে ভেলেকে বলেন, "শুধু অধ্যাদেশ দিয়ে তো গুম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। তবে অধ্যাদেশের অভাবে কিন্তু অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়। একটা বিষয় অবৈধ হলে সেটাকে আইন দিয়ে তো বৈধ করতে হবে। সেদিক দিয়ে এই ধরনের অধ্যাদেশের প্রয়োজন আছে।” গুম নিয়ন্ত্রণে আর কী দরকার জানতে চাইলে তিনি বলেন, "সবচেয়ে বেশি দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা। রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে এবং সঙ্গে আইন থাকলে অন্য সবকিছু স্বাভাবিকভাবে কাজ করবে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে কিন্তু পুরো ব্যাপারটা কঠিন হয়ে যাবে।”
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ ২০২৫'-এর খসড়া প্রস্তুত করেছে। খসড়ায় বলা হয়েছে, গুমের অপরাধ আমলযোগ্য, জামিন অযোগ্য এবং আপস-অযোগ্য হবে। দণ্ড ঘোষণার ১৪ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে অর্থদণ্ড জমা দিতে হবে দণ্ডিত ব্যক্তিকে। অর্থদণ্ড জমা না দিলে তিনি সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করতে পারবেন না। এছাড়া আদালত কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে, অপরাধীর স্থাবর-অস্থাবর বা উভয়বিধ সম্পত্তির তালিকা প্রস্তুত করে ক্রোক ও নিলাম বা ক্রোক ছাড়াই সরাসরি নিলামে বিক্রয় করে বিক্রয়লদ্ধ অর্থ আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা ট্রাইব্যুনালকে দেওয়া হয়েছে।
গুম হওয়া পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘মায়ের ডাক'-এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলি ডয়চে ভেলেকে বলেন, "খসড়ায় যেগুলো এসেছে, এর সঙ্গে আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে ভিকটিম পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আরো কিছু তুলে ধরবো। এগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে একটা ভালো জায়গায় যাবে। আমরা আগেও দেখেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কিছু আইন হয়, সেগুলো কিন্তু পরের সরকারের সময় থাকে না। আমাদের আশা থাকবে, এটার ক্ষেত্রে যেন এমন কিছু না হয়। ভিকটিমদের সুরক্ষার জন্য আইনে আরো কিছু ক্লজ যুক্ত করা দরকার। ভিকটিমদের পূনর্বাসনের বিষয়টি দেখতে হবে। অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়টিও এখানে নেই, সেটা থাকতে হবে। এটার স্ট্রাকচারটাও পরিষ্কার করতে হবে। এই অধ্যাদেশে যেন সবটাই কভার করে। এর সঙ্গে যারা যুক্ত থাকবেন, বা পরিকল্পনা করবেন- তাদেরও এর মধ্যে আনতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি সচেতনামূলক কাজটাও করতে হবে। ভিকটিমদের স্বীকৃতিরও দরকার।''
যে অপরাধ গুম হিসেবে গণ্য হবে
খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী অথবা রাষ্ট্র বা কোনো সরকারি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন, সমর্থন বা মৌন সম্মতির বলে কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ যদি কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার, আটক, অপহরণ, অথবা অন্য যে কোনোভাবে স্বাধীনতা হরণ করেন এবং সেই ব্যক্তির স্বাধীনতা হরণ করার বিষয়টি অস্বীকার করে অথবা ঐ ব্যক্তির নিয়তি বা অবস্থান গোপন রাখে-যার ফলে ঐ ব্যক্তি আইনগত সুরক্ষার বাইরে অবস্থান করে, তাহলে এ সংক্রান্ত কাজ হবে একটি অপরাধ, যা গুম হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এ ধরনের গুমের অপরাধ সংঘটনে কেউ উদ্যোগী হন, সংঘটনে নির্দেশ, সহায়তা বা প্ররোচনা দেন অথবা সংঘটনে ষড়যন্ত্র করেন, তাহলে উক্ত ব্যক্তি মূল অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এছাড়া ঊর্ধ্বতন কোন কর্মকর্তা যদি এমন কোন তথ্য জানেন, অথবা সচেতনভাবে উপেক্ষা করেন যা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে তার কার্যকর কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণাধীন অধস্তন কোনো ব্যক্তি গুমের অপরাধ করছেন বা করতে যাচ্ছেন-এমন তথ্য জানার পরেও যদি যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থা না নেন, তাহলে তিনিও গুমের অপরাধে দণ্ডিত হবেন।
এই অধ্যাদেশে গুম সংক্রান্ত অপরাধের বিচারে ৬৪ জেলায় ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা এই অধ্যাদেশ জারির ৬০ দিনের মধ্যেই কার্যকর করা হবে। ট্রাইব্যুনাল না হওয়া পর্যন্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের এ ধরনের অপরাধের বিচার শুরু হবে। এই আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধগুলো হবে আমলযোগ্য, জামিন অযোগ্য এবং আপস অযোগ্য। অর্থাৎ, একবার মামলা দায়ের হলে, তা আদালতের বাইরে মীমাংসা করার কোনো সুযোগ থাকবে না।
এই খসড়ায় আর কোনো সংযোজন বা কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন কিনা জানতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আমি এ সংক্রান্ত সেমিনারে যেটা বলেছি, সেটাই আমার বক্তব্য।” ওই সেমিনারে তিনি বলেছিলেন, "অধ্যাদেশে তদন্তকারী দল অপরাধের তদন্তে কতটা গভীরে যেতে পারবে, তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা উচিত। বিশেষ করে তদন্তকারী সংস্থা কীভাবে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) ও সশস্ত্র বাহিনীর মতো প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করবে, তা নির্ধারণ করা জরুরি।”
থাকবে গুম প্রতিরোধ কমিশন
খসড়ায় বলা হয়েছে, অধ্যাদেশ জারির পর সরকার জাতীয় গুম প্রতিরোধ কমিশন নামে একটি কমিশন গঠন করবে। কমিশনের কাজ হবে গুম সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্ত পরিচালনা করা। দেশের যে কোনো কারাগার, হাজতখানা ও আটককেন্দ্র সরেজমিন পরিদর্শন করতে পারবে কমিশন। গুম প্রতিরোধ ও দমনের উদ্দেশ্যে নিজস্ব জনবল, শৃঙ্খলা বাহিনী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিচারকদের জন্য প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও পরিচালনা করবে। গুমের শিকার ব্যক্তি কিংবা তার পরিবারের নিকট হতে এ সংক্রান্ত ঘটনার বর্ণনা রেকর্ড করবে। এছাড়া গুমের শিকার ব্যক্তি ও তার স্বজনদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা, কর্তব্যে গাফিলতির ক্ষেত্রে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নজরে আনতে পারবে কমিশন। কমিশন গঠন না হওয়া পর্যন্ত এর যাবতীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পালন করবে।
গুম নিয়ন্ত্রণে এই অধ্যাদেশ কতটা কার্যকর হবে জানতে চাইলে গুম সংক্রান্ত কমিশনের সদস্য ও মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন ডয়চে ভেলেকে বলেন, "শুধু আইন বা অধ্যদেশ দিয়ে এটাকে বন্ধ করা যাবে বলে মনে করি না। এখানে আইনটা কিন্তু খুবই জরুরি দরকার। পাশাপাশি আইনের প্রয়োগ দরকার। এর সঙ্গে প্রত্যোকটা বাহিনী বা সংস্থা, যারা এর সঙ্গে যুক্ত তাদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে বলে আমি মনে করি। এটা যে মানবতাবিরোধী অপরাধ, সেটা প্রশিক্ষণে যুক্ত করতে হবে। আমার শেষ কথা হচ্ছে, যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তার যদি দৃষ্টান্তমূলক বিচার হয়, তাহলে এই কর্মকাণ্ডে বড় ধরনের একটা ধাক্কা লাগবে। রাজনৈতিক সরকার তার পক্ষে এই বাহিনীগুলোকে যুক্ত করে ফেলে। ফলে রাজনৈতিকভাবে যেন কাজটা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।”
যেভাবে অভিযোগ দাখিল ও তদন্ত
খসড়ায় বলা হয়েছে, এই অধ্যাদেশের অধীন কোনো অপরাধের ভিকটিম বা তার কোনো আত্মীয়ের অভিযোগ, পুলিশ প্রতিবেদন ও কমিশনের প্রতিবেদন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আমলে নিতে পারবে। গুমের অপরাধের তদন্ত পরিচালনার জন্য যে কোনো মামলা কমিশনে পাঠানোর ক্ষমা দেওয়া হয়েছে। সরকার গুমের অপরাধ তদন্তের জন্য বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থা গঠন করতে পারবে। তবে কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী গুমের অপরাধে জড়িত হলে সেই কর্মচারীর প্রতিষ্ঠানের কোনো ব্যক্তি অভিযোগের তদন্ত করতে পারবে না।
গুমের শিকার বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা ডয়চে ভেলেকে বলেন, "শুধু আইন করলে তো হবে না, এটার প্রয়োগ দরকার। বাংলাদেশে তো সবকিছুর জন্য এতদিন আইন ছিল। কিন্তু গুমের কোনো আইন ছিল না। ফলে আইনটা করা দরকার। এখন যারা এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এমন কিছু বিচার দরকার, যাতে ভবিষ্যতে কেই এই ধরনের কাজ করার সুযোগ না পায়।”
গুম কমিশনের সদস্য নাবিলা ইদ্রিস ডয়চে ভেলেকে বলেন, এখানে সর্বপ্রথম যেটা দরকার, সেটা হলো পরের লোকটি এটা করতে ভয় পাবে, এমন একটা কাজ করতে হবে। এখন পরের লোকটি ভয় পাবে কখন? যখন তার আগের লোকটির সঠিক বিচার হয়। এই কারণে দোষীদের পালাতে দেওয়া কোনোভাবেই উচিত না। দোষীদের পালাতে দিলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। এটা করতে না পারলে এই সংস্কৃতি ফিরে আসতে বাধ্য। আমাদের সবচেয়ে বড় করণীয় হলো, পূর্বে যারা এই অপরাধটি করেছে, তাদের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করা। বিচারের আগের পূর্বশর্ত হলো তাদের পালাতে না দেওয়া। আমাদের ভয় আছে। এখন পর্যন্ত আইসিটি থেকে যে কয়েকটি এ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট বের হয়েছে তাদের মধ্যে অনেক সংখ্যক মানুষকে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা তো দেশেই ছিল, কিন্তু তাদের পাওয়া যাচ্ছে না কেন? এই প্রশ্নগুলো করতে হবে।
গুমের বিচারে অসন্তোষ
গুমের বিচারের অগ্রগতি সম্পর্কে হতাশা ব্যক্ত করে ‘মায়ের ডাক'-এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলি ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আমরা কমিশন হতে দেখেছি, কনভেনশনে সই করতে দেখেছি। কিন্তু কাউকে ধরার মতো ক্ষমতা এদের নেই। গ্রেপ্তারের দাবিতে এখনো আমরা আন্দোলন করছি। তিন দিন আগেও হাইকোর্টের সামনে করেছি। জিয়াউল আহসানের মতো একজন কতমাস হয়ে গেল কারাগারে আছে। তার কাছ থেকেও কেন তথ্য নেওয়া হচ্ছে না। এখানে প্রতিবন্ধকতা কী? সেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যদি মিলিটারি হয় বা পুলিশ হয় বা যারাই হোক, তাদের ধরে আনতে আমাদের কে আটকাচ্ছে? যারা আটকাচ্ছে, সেটাও তো বৈধ হচ্ছে না। আয়নাঘর খোলা হলো। সেখানে আলামতগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। এটার দায় তো এই সরকারকে নিতে হবে। একটা মামলারও নিষ্পত্তি হলো না কেন?”
সরকারের গুম সংক্রান্ত কর্মকানণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করে এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা ডয়চে ভেলেকে বলেন, "সরকার গুম কমিশন করেছে। আমরা সেখানে গিয়ে অভিযোগ করেছি। কিন্তু এরপর আমাদের সঙ্গে কেউ কোনো যোগাযোগ করেনি। কী হচ্ছে তা-ও আমরা জানি না। সরকার কি করছে সেটাও তো আমাদের জানাতে হবে। অথচ কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে না। আমরা কিছুই জানতে পারছি না।”
পেছনের কথা
গত বছরের ২৯ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার ‘গুম থেকে সুরক্ষা প্রদান সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশন'-এ যোগদানের দলিলে সই করেছে। তারও আগে সরকার শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুমের ঘটনা তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে। চলতি বছরের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসিনার একনায়কতান্ত্রিক শাসনে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুমের শিকার ব্যক্তিদের দিনের পর দিন, মাসের পর মাস- এমনকি বছরের পর বছর ধরে বেশ কয়েকটি গোপন নির্যাতনকেন্দ্রে (যা আয়নাঘর নামে পরিচিত) অমানবিক অবস্থায় আটকে রেখেছিল।
তদন্তের সময় কমিশন ৭৫৮টি গুমের অভিযোগ পায়। এর মধ্যে প্রতি চারজনের মধ্যে একজনের (২৭ শতাংশ) বেশি আর কখনোই ফিরে আসেননি। কমিশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ ছিল গুমের সংস্কৃতি ১৫ বছর ধরে পদ্ধতিগতভাবে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল, যাতে তা সহজে ধরা না পড়ে।