1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গুরু মারা শিষ্য

১০ জুলাই ২০১৪

শেষ এক বছরে ক্লাব ফুটবলে ছিলেন উপেক্ষিত৷ সেই সার্জিও রোমেরো এখন আর্জেন্টিনার নায়ক৷ টাইব্রেকারে দুটো পেনাল্টি ঠেকিয়ে দলকে নিয়ে গেছেন বিশ্বকাপের ফাইনালে৷

ছবি: Reuters

এটা করতে গিয়ে যে নেদারল্যান্ডসকে পেছনে ফেলতে হয়েছে সেই দলের কোচ লুইস ফান খাল একসময় রোমেরোর কোচ ছিলেন৷ সেটা ২০০৭ সালের কথা৷ ২০ বছরের রোমেরো তখন খেলেন আর্জেন্টিনার একটি ক্লাবে৷ তখন তাঁর প্রতিভার খোঁজ পায় নেদারল্যান্ডের ক্লাব এজেড আলকমার, যার কোচ তখন ছিলেন লুইস ফান খাল৷ বুধবার ম্যাচ শেষে সেই কথাই স্মরণ করেন তিনি৷ বলেন, ‘‘...আমরাই (আলকমার ক্লাব) তাঁকে ইউরোপে এনেছিলাম কারণ সে ছিল এক বড় প্রতিভা৷'' তবে সেসময় রোমেরোকে পেনাল্টি কীভাবে ঠেকাতে হয় তা শেখাননি বলে জানান হল্যান্ড কোচ ফান খাল৷

বুধবারের ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে গিয়ে ফান খালকে ধন্যবাদ জানান রোমেরো৷ বলেন, ‘‘তিনি (ফান খাল) আমাকে হল্যান্ডে অনেক সাহায্য করেছেন৷ কেননা তখন হল্যান্ড ছিল আমার কাছে এক নতুন দেশ৷ সেখানকার ভাষাও ছিল অন্য৷ তবে ফান খাল আমার সঙ্গে স্প্যানিশ বলে আমাকে অনেক সহায়তা করেছিলেন৷''

উপেক্ষিত রোমেরো

ক্লাব ফুটবলে রোমেরো বর্তমানে ফ্রান্সের মোনাকো ক্লাবের হয়ে খেলছেন৷ তবে কোচ তাঁর উপর আস্থা রাখতে না পারায় গত মরসুমে মাত্র তিনটি লিগ ম্যাচ খেলেন তিনি৷ এরপরও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ দলে রোমেরোকে নেয়ায় দেশে সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন কোচ আলেহান্দ্রো সাবেলা৷ ২০০৮ সালে আর্জেন্টিনার হয়ে অলিম্পিক সোনা জেতা রোমেরোর উপর বিশ্বাস রেখেছেন সাবেলা৷ সেজন্য বুধবার ম্যাচ শেষে সাবেলার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রোমেরো৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন সময়ে তিনি (সাবেলা) আমাকে সাহায্য করেছেন৷''

বিজয়োল্লাস করতে সবার আগে জয়ের নায়ক রোমের কাছে ছুটে এলেন মাক্সি রডরিগেজছবি: Reuters

ব্রাজিলের দুঃখ বাড়লো

এ যেন কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা৷ মঙ্গলবার জার্মানির কাছে ঐতিহাসিক হারের দুঃখের রেশ মিলিয়ে না যেতেই ব্রাজিল সমর্থকরা দেখলো যে, তাদের মাটিতে চিরপ্রতিদন্দ্বী আর্জেন্টিনা চলে গেল বিশ্বকাপের ফাইনালে! ব্যাপারটা যেন না ঘটে সেজন্য বুধবার অনেক ব্রাজিল সমর্থক হল্যান্ডকে সমর্থন করছিলেন৷ তাঁদেরই একজন ৩৬ বছরের কার্নেইরো সিলভা৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের মাটিতে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে যেতে দেখে আমরা আহত৷ সিলভার পাশে থাকা সিজার আগুস্তো বলছেন, ‘‘আমি এখন জার্মানির সমর্থক৷''

সাও পাওলোতে স্থাপিত ফিফার অফিসিয়াল ‘ফ্যান ফেস্ট'-এ হল্যান্ডের জার্সি গায়ে খেলা দেখেছেন ব্রাজিলের ৪৪ বছর বয়সি অর্থনীতিবিদ মার্কোস রায়মোন্ডি৷ ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘‘আমি এটা ভাবতেও পারিনা যে দিলমা রুসেফ (ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট) মারাকানায় মেসির হাতে বিশ্বকাপ তুলে দিচ্ছে৷ এটা হতে পারে না৷''

তবে সব কিছুরই তো ব্যতিক্রম থাকে৷ যেমন ৩৩ বছর বয়সি ব্যাংক কর্মকর্তা লেওনান ফ্রাইটাস৷ তিনি বেশ কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে মিলে আর্জেন্টিনা-হল্যান্ড ম্যাচ দেখেছেন৷ সব বন্ধুর বিরোধিতার মুখেও তিনি বলেন, ‘‘আর্জেন্টিনা আমাদের প্রতিবেশী৷ আমি চাই দক্ষিণ অ্যামেরিকার কেউ শিরোপা জিতুক৷ আমি আর্জেন্টিনার কাছে ব্রাজিল তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে হেরে যেতে পারে সেই ভয়টাও পাচ্ছিলাম৷''

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ