ফ্রান্সের লাসকো গুহায় প্রায় ২০ হাজার বছর আগের গুহামানবদের দেয়ালচিত্র রাখা রয়েছে৷ ছবিগুলি নষ্ট হবার ভয়ে সাবেক গুহাটি গত ৬০ বছর ধরে বন্ধ৷ দর্শকদের চাহিদা মেটাতে একটি মডেল গুহা তৈরি করা হয়েছিল, এবার খোলা হয়েছে তৃতীয় লাসকো৷
বিজ্ঞাপন
যেন গুহামানবদের গুহা
03:42
দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের ভিজেয়ার উপত্যকা৷ এখানে লুকিয়ে রয়েছে লাসকো গুহার মতো একটি প্রাগৈতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন৷ সাবেক গুহাটি থেকে প্রায় ৮০০ মিটার দূরে লাসকোর গুহামানবদের আঁকা দেয়ালচিত্রের হুবহু নকল করে গুহা অঙ্কণশৈলীর নতুন আন্তর্জাতিক কেন্দ্রটিতে রাখা হয়েছে৷ এটি হলো লাসকো’র গুহার দ্বিতীয় অনুকরণ৷ ভিতরটা ঠান্ডা ও ভেজা; আওয়াজ কীরকম ফাঁকা শোনায়৷
‘ফাক্সিমিইয়ে দু পেরিগর’-এর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর ফ্রান্সিস রিঙেনবাখ জানালেন, ‘‘এখানকার নির্মাণকার্যের জন্য আমরা লেজার মডেল ও ভিডিও প্রোজেকশনের মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পেরেছি৷ আমরা সমগ্র গুহাটির মডেল বানিয়েছি, যা কিনা লাসকো দুই মডেলের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ৷ আমরা এমন সব অংশ নতুন করে তৈরি করেছি, যেগুলো আগে শুধু আন্দাজ করা যেত৷’’
নোক – পশ্চিম আফ্রিকার রহস্যময় স্থাপত্য
নোক ভাস্কর্য সাধারণত আফ্রিকার এক ধরনের প্রাচীন শিল্পকলা, যা মানুষের অবয়বে তৈরি৷ প্রত্নতাত্ত্বিকরা এখনও এগুলোর রহস্য ভেদ করতে পারেননি৷ ফ্রাংকফুর্টের লিবিগহাউসে চলছে আফ্রিকার নোক ভাস্কর্যের প্রদর্শনী৷
ছবি: Norbert Miguletz
নোক, আফ্রিকান স্থাপত্যের নিদর্শন
সাহারা অধ্যুষিত আফ্রিকায় নোক ভাস্কর্যগুলোর প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্য অনেক৷ আফ্রিকান শিল্পের প্রাচীন নিদর্শনের অন্যতম ২,০০০ বছরের বেশি পুরোনো টেরাকোটার এই মূর্তিগুলো৷ এ বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফ্রাংকফুর্টের লিবিগহাউসে ‘নোক, অরিজিন অফ আফ্রিকান কালচার’ নামের এই প্রদর্শনী চলবে৷
ছবি: Norbert Miguletz
প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাজ
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলে জস উপত্যকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নাম থেকেই এসেছে নোক নামটি৷ ১৯২৮ সালে টিন খনির শ্রমিকরা সেখানে প্রথম ভাস্কর্যের সন্ধান পান৷ ২০০৫ সাল পর্যন্ত জার্মান এবং নাইজেরিয়ান প্রত্নতাত্ত্বিকরা ঐ এলাকার দু’শোটি জায়গায় খোড়াখুড়ি করেন৷
ছবি: Goethe-Universität Frankfurt
নাইজেরিয়ার পুরোনো ইতিহাস আবিষ্কার
লালচে বাদামি মূর্তিগুলো যখন মাটির নীচ থেকে বের করা হয়, প্রত্নতাত্ত্বিকরা তখন এটিকে সংরক্ষণের কাজ শুরু করেন৷ ভাস্কর্যের পাশাপাশি নানা রকম যান, বাসন-পত্র এবং গহনা সংগ্রহের প্রতিও আগ্রহ বেড়ে যায় তাঁদের৷ তাঁরা আশা করছেন, এর মাধ্যমে অনেকেই নাইজেরিয়ার অতীত ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা পাবেন৷
ছবি: Stefan Rühl
ভাস্কর্যের পেছনে রহস্য
কোন উদ্দেশ্য নিয়ে এই ভাস্কর্যগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল প্রত্নতাত্ত্বিকদের আছে তা আজও রহস্য৷ গবেষকদের মতে, এগুলো বিভিন্ন ধর্মীয় কাজ বা উপাসনায় ব্যবহার হতো৷ তবে এটা পরিষ্কার যে, তাদের ধ্বংস করাটা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানেরই অংশ৷
ছবি: Goethe-Universität Frankfurt/Institut für Archäologische Wissenschaften/Archäologie und Archäobotanik Afrikas
মানুষ, জীবজন্তু এবং পৌরাণিক পশু
ভাস্কর্যগুলোর বিশালাকার মুখমণ্ডল এবং ত্রিকোণাকৃতি চোখ আসলেই অদ্ভুত৷ এদের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে আছে কারো দাড়ি, কারো কেশ, গহনা, কারো বা মাথা ঢাকা৷ কিছু ভাস্কর্য দেখলে বোঝা যায় যে এগুলো মানুষের, কয়েকটি জন্তুর এবং পৌরাণিক জীবের যেমন অর্ধেক মানুষ, অর্ধেক পশু৷
ছবি: Barbara Voss/Monika Heckner (Ausschnitt)
পিকাসো ও অন্যদের অনুপ্রেরণা
বিংশ শতাব্দীতে যখন প্রথমবারের মতো ইউরোপে নোক ভাস্কর্য আসে, তবে শৈল্পিক বিপ্লব ঘটে যায়৷ পল গগিন, পাবলো পিকাসোর মতো বিখ্যাত শিল্পীদের অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়ায় এই ভাস্কর্যগুলো৷ এই ছবিতে তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
আন্তর্জাতিক সম্পদ
বিশ্বের সংগ্রাহকদের একটা বড় অংশ এখন ভাস্কর্য সংগ্রহের প্রতি আগ্রহী৷ প্যারিস, নিউ ইয়র্ক এবং লন্ডনের বাজারে এখন নোক ভাস্কর্যের বেশ চাহিদা৷ এমনকি বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ জাদুঘরগুলোও নোক ভাস্কর্য রাখার ব্যাপারে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছে৷
ছবি: Norbert Miguletz
প্রথমবারের মতো এমন প্রদর্শনী
প্রাচীন আফ্রিকান শিল্পের এমন প্রদর্শনী জার্মানিতে এবারই প্রথম৷ গত আট বছরে জার্মান ও নাইজেরীয় প্রত্নতত্ত্ববিদরা যেসব ভাস্কর্য খুঁজে পেয়েছেন, সেরকম শতাধিক শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে লিবিগহাউসের এই প্রদর্শনীতে৷
ছবি: Norbert Miguletz
8 ছবি1 | 8
ইস্পাতের উপর অ্যাক্রিলিক রেজিন লেপে তৈরি নকল পাথরের দেয়ালে সাবেক লাসকো গুহার দেয়ালচিত্রগুলি নিখুঁতভাবে এঁকেছেন ৩০ জন শিল্পী, তিন বছর ধরে কাজ করে৷ শিল্পীরা গুহামানবদের অঙ্কণপদ্ধতির হুবহু অনুকরণ করেছেন৷ ফ্রান্সিস রিঙেনবাখ বললেন, ‘‘এই কাজটা ছিল পুরোপুরি আবেগ৷ প্রতিবার আঁকার সময় আমাদের বোঝার চেষ্টা করতে হয়েছে, সাবেক শিল্পী কেন ওভাবে এঁকেছিলেন এবং কিভাবে এঁকেছিলেন৷ এমন সব মুহূর্ত এসেছে, যখন আমাদের গোটা দলটা কোনো একটা খুঁটিনাটি নিয়ে ব্যস্ত থেকেছে, যদিও অন্য কারো কাছে সেই খুঁটিনাটি পুরোপুরি অকিঞ্চিৎকর মনে হতে পারত৷’’
লাসকো গুহা
বিশেষ করে লাসকো গুহার মডেল তৈরি করা হলো কেন? এ প্রশ্নের উত্তরে প্রত্নতত্ত্ববিদ জঁ-পিয়ের শাদেল বললেন, ‘‘লাসকো গুহা সত্যিই অসাধারণ৷ ঐ অপেক্ষাকৃত ছোট্ট গুহাটিতে আমরা অবিশ্বাস্য রকম বেশি আঁকা আর খোদাই করা ছবি খুঁজে পেয়েছি, যেগুলো প্রায় অন্য সব গুহা অঙ্কণের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে৷ লাসকো থেকে আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের গুহা অঙ্কণ পদ্ধতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি, যা বিশ্বের অন্যন্য গুহামানবদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, কেননা সে সময় তো আর কোনো সীমান্ত ছিল না৷’’
খাগড়াছড়িতে যা দেখতে পাবেন
অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলা৷ সর্পিল নদী, পাহাড়, পাহাড়ি ঝরনা, আদিবাসীদের গ্রাম – সে এক মনোরম পরিবেশ৷ এছাড়া পর্যটকদের জন্য আছে আরও কিছু আকর্ষণ৷ দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: DW/M. Mamun
শহরে ঢোকার দরজা
খাগড়াছড়ি শহরের প্রবেশমুখে ‘খাগড়াছড়ি গেইট’৷
ছবি: DW/M. Mamun
পাখির চোখে
কুয়াশায় ঢাকা খাগড়াছড়ি শহরের ‘বার্ডস আই ভিউ’৷ পুরো খাগড়াছড়ি জেলা জুড়ে পাহাড় আর পাহাড় থাকলেও, এর জেলা শহরটি কিন্তু একেবারেই সমতলে অবস্থিত৷
ছবি: DW/M. Mamun
শীতে শান্ত, বর্ষায় ভয়ংকর
খাগড়াছড়ি শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা সর্পিল আঁকা বাঁকা পাহাড়ি নদী ‘চেঙ্গী’৷ শীতে পাহাড়ি এ নদী শুকিয়ে গেলেও বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে ভয়ংকর রূপ ধারণ করে৷
ছবি: DW/M. Mamun
নদীর বাণিজ্যিক ব্যবহার
খাগড়াছড়ির চেঙ্গী নদীতে বাঁশের ভেলা৷ খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পাহাড় থেকে বাঁশ কেটে এ নদী দিয়ে ভাসিয়ে নেয়া হয় দেশের নানান প্রান্তে৷
ছবি: DW/M. Mamun
দুর্গম পথ
পুরো খাগড়াছড়ি জেলাজুড়েই আছে এমন দুর্গম পাহাড়ি পথ৷ আঁকা বাঁকা এ সব পথে চলতে চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য মুগ্ধ করে পর্যটকদের৷
ছবি: DW/M. Mamun
বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর জীবন দেখা
খাগড়াছড়ি শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার নুনছড়ি এলাকায় ‘দেবতার পাহাড়’৷ দুর্গম এ পাহাড়ে দেখা মিলবে এ সব এলাকায় বসবাসরত নৃ-গোষ্ঠী, তাঁদের সংগ্রামী জীবনধারা৷
ছবি: DW/M. Mamun
দেবতার পুকুর
নুনছড়ি এলাকার দেবতার পাহাড়ের চূড়ায় দেবতার পুকুর৷ এর আরেক নাম ‘মাতাই পুখিরি’৷ ত্রিপুরা ভাষায় ‘মাতাই’ শব্দের অর্থ দেবতা আর ‘পুখিরি’ শব্দের অর্থ পুকুর৷ স্থানীয়দের বিশ্বাস, দেবতার আশীর্বাদে পাহাড় চূড়ার এ পুকুরের পানি কখনো কমে না৷ দেবতার পুকুরের পাড়েই আছে একটি শিব মন্দির৷ এই মন্দিরকে ঘিরেই প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে সেখানে বসে তীর্থ মেলা৷
ছবি: DW/M. Mamun
রিসাং ঝরনা
খাগড়াছড়ি শহর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে মনোরম প্রাকৃতিক ঝরনা রিসাং৷ বিশাল পাথুরে জায়গার এক প্রান্ত থেকে অঝোরে বইছে এই জলপ্রপাত৷ রিসাংয়ের চারপাশে পাহাড়ের নিস্তব্ধতা ভেঙে অবিরাম বয়ে চলছে রিসাংয়ের জলধারা৷ শীতের শুরু থেকে গ্রীষ্ম পর্যন্ত ঝরনায় পানির প্রবাহ কম থাকে, বর্ষায়ে বেড়ে যায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
আলুটিলা পাহাড়
খাগড়াছড়ির আলুটিলা পাহাড়ে সূর্যাস্ত৷ শহর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরের এ পাহাড় থেকে খাগড়াছড়ি শহর আর চেঙ্গী নদীকে পাখির চোখে দেখা যায়৷
ছবি: DW/M. Mamun
প্রাচীন গুহা
আলুটিলা পাহাড়ের নীচে প্রাচীন গুহা৷ পাহাড়ের চূড়া থেকে ২৬৬টি ধাপের একটি সিঁড়ি নেমে গেছে গুহাপথের মুখে৷ গুহার ভেতর দিয়ে বয়ে চলছে শীতল জলধারা৷
ছবি: DW/M. Mamun
গুহায় অ্যাডভেঞ্চার
আলুটিলা গুহাপথে পর্যটক৷ এ গুহার একপ্রান্ত থেকে ঢুকে অন্য প্রান্তে পায়ে হেঁটে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ১৫ মিনিট৷ ঘুটঘুটে অন্ধকার এ গুহায় প্রবেশ করতে হয় মশাল নিয়ে৷ প্রবেশ পথেই কিনতে পাওয়া যায় এ মশাল৷
ছবি: DW/M. Mamun
ঝুলন্ত সেতু
খাগড়াছড়ি শহরের পাশেই জেলা পরিষদের হর্টিকালচার পার্ক৷ লেক ঘেরা এ জায়গাটির মূল আকর্ষণ দোদুল্যমান ঝুলন্ত সেতু৷
ছবি: DW/M. Mamun
নৃ-গোষ্ঠীর বাস
খাগড়াছড়ি জেলায় চাকমা, ত্রিপুরা, মারমাসহ নানান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা বাস করেন৷ জেলার সর্বত্রই পর্যটকদের জন্য এ সব নৃ-গোষ্ঠীর জীবনধারা দেখার সুযোগ আছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
জুম চাষ
খাগড়াছড়ির পাহাড়ে জুম চাষের জন্য পাহাড় প্রস্তুত করছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা মানুষেরা৷
ছবি: DW/M. Mamun
সবুজ পাহাড়
জুমের ফসলে ছেয়ে গেছে পাহাড়৷ জেলার সর্বত্রই দেখা যায় জুমের ফসলে ভরপুর সবুজ এরকম পাহাড়৷
ছবি: DW/M. Mamun
তামাক চাষ
খাগড়াছড়ির দীঘি-নালায় মাইনি নদীর তীরে তামাক চাষ৷ স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হলেও আগাম ঋণপ্রাপ্তি ও ক্ষেত থেকেই বিক্রির সুযোগ থাকায় ব্যাপকহারে তামাক চাষে ঝুঁকছেন খাগড়াছড়ির পাহাড়ি কৃষকরা৷
ছবি: DW/M. Mamun
16 ছবি1 | 16
শত শত আঁকা ও খোদাই করা জীবজন্তুর ছবি পাওয়া গিয়েছে লাসকোয়৷ ছবিগুলো থেকে প্রায় ৬০০ জীবজন্তুকে ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে, যেমন ষাঁড় কিংবা ঘোড়া কিংবা হরিণ৷ লাসকোর ছবিগুলোর বয়স আনুমানিক ১৯ হাজার বছর৷ জঁ-পিয়ের শাদেল বললেন, ‘‘লাসকো গুহার ছবিগুলো দেখলে বোঝা যায় যে, এই গুহামানবরা শুধু শিকার করে আর ফলমূল কুড়িয়ে বাঁচতেন না, তারা শিল্পীও ছিলেন৷ তাঁদের প্রতিভা ছিল, রুচি ছিল৷ তাঁদের সামর্থ্য ছিল কম, এমনকি রং ছিল মাত্র তিনটি: হলুদ, লাল আর কালো৷’’
কিছু কিছু গবেষক গুহামানবদের ছবিগুলোকে গ্রহতারকার প্রতীক বলে মনে করেন৷ গত ৬০ বছর ধরে সাবেক লাসকো গুহাটি দর্শকদের জন্য বন্ধ আছে৷ শ্যাওলা পড়েছিল আর ছবিগুলোর রং উঠে যাচ্ছিল বলে গুহাটিকে বন্ধ রাখা হয়েছে৷ ‘লাসকো দুই’ নামের প্রথম মডেলটিও ইতিমধ্যেই সারাতে হয়েছে৷
নতুন মিউজিয়ামটি শুধু লাসকো গুহার একটি কপি বা অনুরূপ নয়৷ এখানে লাসকোর ইতিহাসও ডিজিটাল পদ্ধতিতে অভিজ্ঞতা করা যায় – যেমন কিভাবে চার কিশোর লাসকো গুহাটি আবিষ্কার করে৷ ১৯৪০ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর তারা তাদের কুকুরকে নিয়ে হেঁটে জঙ্গলে ঢুকেছিল, গুপ্তধন খুঁজে পাওয়ার আশায়৷ তার ৭০ বছর পরেও লাসকোর সব রহস্য ভেদ করা সম্ভব হয়নি৷