ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রী শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলার আসামি হওয়ার পর আলোচনায় উঠে এসেছে গৃহকর্মী নির্যাতনের ভয়াবহতা৷ জাতীয় দলের ক্রিকেটার মানেই ‘বীর'৷ তাই বীরের ‘অপকর্ম' সাধারণ মানুষ মানতে পারছেন না৷
বিজ্ঞাপন
এই নির্যাতনের ঘটনা তিনদিন আগে ঘটলেও এখনো শাহাদাত বা তাঁর স্ত্রী কেউই গ্রেপ্তার হননি৷ পুলিশ বলছে তাঁরা পলাতক, বাসায় তালা ঝুলছে৷ কিন্তু এটা ব্যতিক্রম কোনো ঘটনা নয়৷ কারণ গত ১০ বছরে বাংলাদেশে গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় কারুর শাস্তি হয়েছে বলে শোনা যায়নি৷ এখানে আইন যেন গৃহকর্মীদের ঠিক নাগরিক হিসেবে মেনে নিতে পারছে না৷ তার প্রমাণও আছে৷ ২০১২ সাল থেকে ‘ডোমেস্টিক ওয়ার্কার রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড প্রটেকশন অ্যাক্ট' নামে একটি আইনের জন্য কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন আন্দোলন করে আসলেও, তাতে সরকার এখনো সাড়া দেয়নি৷
বাংলাদেশে সাধারণ হিসেবে ২০ লাখ গৃহকর্মী থাকার কথা বলা হয়৷ এর বড় একটি অংশ নারী এবং শিশু৷ গত ১০ বছরে ৮৯৯ জন গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে তথ্য-প্রমাণ রয়েছে৷ ইন্সটিউট অফ লেবার স্টাডিজ-এর হিসাব মতে, গত বছর ৫১ জন গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে ঢাকায় নির্যাতনের শিকার হন ৩৪ জন৷
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাব মতে, ২০১৩ সালে অন্তত ১০০ জন গৃহকর্মী বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন৷ এঁদের মধ্যে ৩৮ জন শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন৷ যাঁদের মধ্যে আবার ২০ জনের বয়স ৭ থেকে ১২ বছরের মধ্যে৷ শারীরিক নির্যাতনের পর মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের৷ অন্যান্য নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের৷ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনজন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে আরো তিনজনকে৷ এছাড়া আত্মহত্যা করেছেন আটজন এবং গর্ভপাতকালে মুত্যু হয় একজনের৷ পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের শেষ চার মাসে ১০৭ জন গৃহকর্মী আত্মহত্যা করেছেন৷
মাত্র কয়েক টাকার জন্য
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও-র হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ১৬ কোটি ৮০ লাখ শিশু-কিশোরকে খনি, কারখানা ও কৃষিখাতের বিভিন্ন চরম প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য করা হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images
শিশুশ্রম নিষিদ্ধ
১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও-র সদস্য রাষ্ট্রগুলো একটি কনভেনশনে স্বাক্ষর করে৷ সেখানে ১৮ বছরের কমবয়সি শিশু-কিশোরদের শ্রমিক কিংবা যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করানোর বিষয়টি নিষিদ্ধ করা হয়৷
ছবি: imago/Michael Westermann
তোয়ালে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে তোয়ালে তৈরির কারখানায় কাজ করে এই শিশুটি৷ আইএলও-র হিসাবে এশিয়ায় প্রায় সাত কোটি ৮০ লাখ শিশু কাজ করছে৷ অর্থাৎ ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিশু-কিশোরের প্রায় ১০ শতাংশ কাজেকর্মে নিয়োজিত৷
ছবি: imago/imagebroker
দিনে ৬৫ টাকা
লেখাপড়ার পরিবর্তে এই শিশুটি ইট তৈরি করছে৷ চরিম দরিদ্রতার কারণে ভারতের অনেক পরিবার তাদের শিশুদের কাজে পাঠিয়ে থাকে৷ দিন প্রতি মাত্র ৮০ সেন্ট, অর্থাৎ প্রায় ৬৫ বাংলাদেশি টাকা পায় তারা৷ এ জন্য তাদের কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা কাজ করতে হয়৷
ছবি: imago/Eastnews
সস্তা শ্রম
ভারতের সবশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী, দেশটিতে প্রায় এক কোটি ২৬ লাখ শিশু-কিশোর শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে৷ তারা পণ্য বিক্রি থেকে শুরু করে রান্না করা, রেস্টুরেন্ট পরিষ্কার করা – সব কাজই করে৷ এমনকি ইট কাটা, মাঠে তুলা তোলা ইত্যাদি কাজও করে থাকে শিশুরা৷
ছবি: imago/imagebroker
অমানবিক অবস্থা
২০১৩ সালে প্রকাশিত আইএলও-র একটি প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের শিশু শ্রমিকদের প্রায় অর্ধেক বিপজ্জনক পরিবেশে কাজ করে৷ তাদের অধিকাংশকেই কোনোরকম চুক্তিপত্র ও চাকরির অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই কাজ করতে হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images
‘মেড ইন বাংলাদেশ’
জাতিসংঘের শিশু কল্যাণ সংস্থা ইউনিসেফ-এর হিসাবে, বাংলাদেশের প্রায় ৫০ লক্ষ শিশু-কিশোর তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করে৷
ছবি: imago/Michael Westermann
কম্বোডিয়ার পরিস্থিতি
কম্বোডিয়ায় স্কুল পড়ুয়া শিশু-কিশোরের সংখ্যা অনেক কম৷ বেশিরভাগই তাদের মা-বাবার সঙ্গে কাজ করে৷ এছাড়া হাজার হাজার শিশু রাস্তায় বাস করে কম্বোডিয়ায়৷ এই যেমন এই শিশুটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি
২০০০ সালের পর বিশ্বব্যাপী শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কমলেও এশিয়ার অনেক দেশ যেমন বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, নেপাল, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারে পরিস্থিতির এখনও ততটা উন্নতি হয়নি৷
ছবি: AFP/Getty Images
8 ছবি1 | 8
‘ডোমেস্টিক ওয়াকার্স রাইটস নেটওয়ার্ক'-এর হিসাব অনুযায়ী ২০০১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে শুধু ঢাকা শহরেই ৫৬৭ জন গৃহকর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে৷ বলা বাহুল্য, বাংলাদেশে গৃহকর্মীদের মধ্যে প্রায় ৩০ ভাগের বয়স ৬ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে৷ এই শিশুদের মধ্যে ১৭ ভাগই কোনো না কোনো ধরণের নির্যাতনের শিকার৷
এ সব তথ্যের মধ্যে অসঙ্গতি থাকতে পারে৷ কারণ গৃহকর্মী নিবন্ধন এবং তাঁদের নির্যাতনের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো তথ্য-ভাণ্ডার নেই৷ নানা সংগঠন বিচ্ছিন্নভাবে কিছু জরিপ এবং তথ্য সংগ্রহ করেছে মাত্র৷ তবে তথ্যগত অসঙ্গতি থাকলেও এইসব জরিপে গৃহকর্মী নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র স্পষ্ট৷ আর এটাও পূর্নাঙ্গ চিত্র ন৷ কারণ যেসব তথ্য দেয়া হয়েছে, তা সংগ্রহ করা হয়েছে থানায় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে৷ অধিকাংশ ঘটনাতেই অবশ্য থানায় অভিযোগ করা হয় না৷ নির্যাতনের পর চাপের মুখে বা টাকার বিনিময়ে সমঝোতা করা হয় মাত্র৷
এই পরিসংখ্যানের একটি দিক একটু বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন৷ তবে তা করতে হবে ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বাদ দিয়ে৷ কারণ হত্যাকাণ্ড তো স্পষ্টতই হত্যাকাণ্ড৷ কিন্তু আরো অনেক হত্যা আছে, যা সাদা চোখে বোঝা যায় না৷ পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৩ সালে আটজন গৃহকর্মী আত্মহত্যা করেছেন৷ আর ২০১৪ সালের শেষ চার মাসে ১০৭ জন গৃহকর্মী আত্মহত্যা করেছেন৷ তাছাড়া ১২ বছরে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে ৫৬৭ জন গৃহকর্মীর৷ কেন? কেউ কি তলিয়ে দেখার চেষ্টা করেছেন এত বিপূল সংখ্যায় কেন গৃহকর্মীরা আত্মহত্যা করেছেন? তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন না তাঁদের আত্মহত্যায় বাধ্য করা হচ্ছে? অথবা হত্যাকেই কি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে?
ক্যামেরার চোখে বাংলাদেশে শিশু শ্রম
বাংলাদেশে ৪৫ লাখ শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত৷ তাদের মধ্যে ১৭ লাখের বেশি আবার কাজ করে রাজধানী ঢাকায়৷ আমাদের আলোকচিত্রী মুস্তাফিজ মামুন শিশুশ্রমের কিছু চিত্র তুলে এনেছেন আপনাদের জন্য৷
ছবি: Mustafiz Mamun
বেলুন কারখানায় শিশু শ্রমিক
ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের একটি বেলুন তৈরির কারখানায় কাজ করছে দশ বছরের এক শিশু৷ সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৪৫ লাখেরও বেশি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত, যার প্রায় ১৭ লাখেরও বেশি শিশু শ্রমিক খোদ রাজধানীতেই৷
ছবি: Mustafiz Mamun
নেই কোনো নজরদারি
কামরাঙ্গীর চরের এই বেলুন কারখানায় খোলামেলাভাবে নানা ধরনের রাসায়নিকের মাঝে কাজ করে শিশু শ্রমিকরা৷ বাংলাদেশ সরকার ঝুঁকিপূর্ণ ৩৮টি কাজে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করলেও আদতে তা মানা হচ্ছে না৷ সরকারিভাবে নেই কোনো নজরদারির ব্যবস্থা৷
ছবি: Mustafiz Mamun
সিংহভাগই শিশু শ্রমিক
ঢাকার কামরাঙ্গীর চরে কমপক্ষে দশটি বেলুন তৈরির কারখানা আছে, যেগুলোর সিংহভাগেই শিশু শ্রমিক কাজ করে৷ সড়ক থেকে একটু আড়ালে ভেতরের দিকেই কাজ করানো হয় শিশুদের৷ সপ্তাহে সাত দিনই সকাল-সন্ধ্যা কাজ করতে হয় তাদের৷ তবে শুক্রবারে আধাবেলা ছুটি মেলে৷
ছবি: Mustafiz Mamun
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ
ঢাকার কেরাণীগঞ্জে সিলভারের তৈজসপত্র তৈরির কারখানায় কাজ করে শিশু শ্রমিক আলী হোসেন৷ মারাত্মক উচ্চ শব্দের মধ্যে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে হয় তাকে৷
ছবি: Mustafiz Mamun
ট্যানারি কারখানায় শিশু শ্রমিক
ঢাকার হাজারীবাগের একটি ট্যানারি কারখানায় বাইরে কাজ করে নোয়াখালীর আসিফ৷ বয়স মাত্র বারো৷ রাসায়নিক মিশ্রিত চামড়া শুকানোর কাজ করে সে৷ দিনে ১২ ঘণ্টারও বেশি কাজ করে সামান্য যে মজুরি পায় তা দিয়ে সংসার চালাতে মাকে সাহায্য করে আসিফ৷
ছবি: Mustafiz Mamun
মায়ের সঙ্গে রাব্বি
কামরাঙ্গীর চরের একটি প্লাস্টিক বোতল প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে মায়ের সঙ্গে কাজ করে চাঁদপুরের রাব্বি৷ এই কেন্দ্রের মালিক নাকি শিশু শ্রমিক নিয়োগের বিরোধী৷ মায়ের অনুরোধে রাব্বিকে কাজ দেয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর৷ কারণ রাব্বির মা সারাদিন খেটে যে মজুরি পান তাতে সংসার চলে না৷ সংসার চালাতে তাই কাজ করতে হচ্ছে রাব্বিকে৷
ছবি: Mustafiz Mamun
হিউম্যান হলারে শিশু হেল্পার
ঢাকার রাস্তায় চলাচলকারী হিউম্যান হলারগুলোতে শিশু শ্রমিক চোখে পড়ার মতো৷ বাহনগুলো দরজায় ঝুলে ঝুলে কাজ করতে হয় এ সব শিশুদের৷ চলন্ত গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকারও হয় এসব শিশুরা৷
ছবি: Mustafiz Mamun
ব্রিক ফিল্ডে শিশুরা
ঢাকার আমিন বাজারের বিভিন্ন ব্রিক ফিল্ডেও কাজ করে শিশু শ্রমিকরা৷ প্রতি হাজার ইট বহন করে পারিশ্রমিক পায় ১০০-১২০ টাকা৷ একটি কাঁচা ইটের ওজন কমপক্ষে তিন কেজি৷ একেকটি শিশু ৬ থেকে ১৬টি ইট এক-একবারে মাথায় নিয়ে পৌঁছে দেয় কমপক্ষে ৫০০ গজ দূরে, ইট ভাটায়৷ তাদের কোনো কর্মঘণ্টাও ঠিক করা নেই৷ একটু বেশি উপার্জনের আশায় রাত পর্যন্ত কাজ করে তারা৷
ছবি: Mustafiz Mamun
লেদ কারখানায় ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুরা
পুরনো ঢাকার লালবাগের একটি লেদ কারখানায় কাজ করে ১১ বছরের শিশু রহিম৷ সারাদিন লোহা কাটা, ভারি যন্ত্রপাতি মেরামত, হাতুরি পেটানোসহ নানা রকম ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে সে৷
ছবি: Mustafiz Mamun
9 ছবি1 | 9
গত ১০ বছরে বাংলাদেশে গৃহকর্মী নির্যাতনের বিচার হওয়ার কোনো নজির আমাদের জানা নেই৷ ‘বাংলাদেশ ইন্সটিউট অফ লেবার স্ট্যাডিজ'-ও তাই বলছে৷ তাহলে প্রশ্ন কেন বিচার হয় না? এই প্রশ্নের উত্তর খুব সোজা৷ যাঁরা গৃহকর্মী তাঁরা সবচেয়ে দরিদ্র৷ আর যাঁরা গৃহকর্মী রাখেন, তাঁরা কম-বেশি সম্পদশালী, ক্ষমতাবান৷ মামলা করলেও সেই মামলা চালানোর মতো আর্থিক ক্ষমতা থাকে না নির্যাতিত বা নিহতের পরিবারের৷ তাই তাঁরা শেষ পর্যন্ত সমঝোতা করেন বা মামলা চালাতে পারেন না৷
বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ২০১২ সালে সরকারের কাছে গৃহকর্মীদের জন্য ‘ডোমেস্টিক ওয়ার্কার রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড প্রেটেকশন অ্যাক্ট' নামে একটি আইনের খসড়া প্রস্তাব করে৷ দেশের সর্বোচ্চ আদালত একটি সুরক্ষা আইন করার নির্দেশ দিয়েছে৷ কিন্তু এখনো সরকার সেই আইন করেনি৷ প্রস্তাবিত আইনে গৃহশ্রমিকদের কর্মঘণ্টা, বেতন কাঠামো, সুরক্ষা সব কিছুর কথাই বলা আছে৷ কিন্তু কে সেই আইন প্রণয়ন করবে? নির্যাতিত এই দরিদ্র গৃহকর্মীদের জন্য সংসদ সদস্যরাও হয়ত সময় বের করতে পারছেন না৷
ক্রিকেটার শাহাদাত পালিয়েছেন বলে পুলিশ দাবি করেছে৷ কিন্তু অনেক প্রভাবশালীর গৃহকর্মী নির্যাতনের পর পালাবারও প্রয়োজন পড়ে না৷ কারণ তাঁরা উল্টো গৃহকর্মীকেই মানসিক রোগী সাজিয়ে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেন৷ এরকম অনেক নজির আছে৷ ক্রিকেটার শাহাদাত হয়ত সে সুযোগ পাননি সংবাদমাধ্যম সরব হওয়ার কারণে৷ বলা বাহুল্য, সংবাদমাধ্যম এবার সরব হয়েছে খবরটি ‘সেল' বা বিক্রি করার জন্য৷ কারণ এ ঘটনায় ‘জাতীয় বীরদের' একজন জড়িত৷ এমনটা না হলে নির্যাতিত গৃহকর্মীর জন্য সংবাদমাধ্যমের মন এত কাঁদত কি? তা না হলে আমরা প্রতিদিনই যে সংবাদমাধ্যমে গৃহকর্মী নির্যাতনের খবর পেতাম৷