হোম অফিস করুন, বা ছুটিই কাটান, স্বাভাবিক নিয়ম থেকে বের হয়ে গেলে শরীর-মনে তার বাজে প্রভাব পড়তে পারে৷ ফলে শরীরের ঘড়ি ঠিক রাখার জন্য সঠিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠা, স্নান করা, খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷

এই সময়ে কেবল শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও চাঙ্গা থাকা দরকার৷ তাই শুধু সুস্বাদু নয়, বরং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম, এমন খাবার বেশি করে খান৷

বাসার বাইরে যেতে হচ্ছে না বলেই ইচ্ছেমতো রাত জাগা বা দেরি করে ওঠা আপনাকে বিধ্বস্ত করে দিতে পারে৷ ফলে ঠিক সময়ে ঘুমাতে যান, ঠিক সময়ে উঠুন৷ ঘুম যাতে পর্যাপ্ত হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দিন৷

বাসার বাইরে বের না হওয়া মানে স্বাভাবিক হাঁটাচলাও বন্ধ হয়ে যাওয়া৷ ফলে বাসাতেই ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম করে নিন৷ প্রয়োজনে ইউটিউবের সাহায্য নিয়ে নতুন কিছু যোগাসনও শিখে নিতে পারেন৷ এতে শরীর থাকবে চাঙ্গা, মন থাকবে ফুরফুরে৷

বাইরে গিয়ে সশরীরে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারলেও অনলাইনেই বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দিন৷ তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে আমরা এমনিতেই অনেক বেশি পরস্পরের সঙ্গে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত৷ এর পুরো সুবিধা নেয়ার সময় এখনই৷

অনেকের অনেক ধরনের শখ থাকে৷ কেউ বাগান করতে পছন্দ করেন, কেউ গান গাইতে, কেউ ছবি আঁকতে৷ এ  সময়ে নিজেকে আরো ঝালিয়ে নিন৷ লকডাউন শেষ হতে হতে হয়তো আপনি দক্ষ শিল্পী হয়ে উঠতে পারেন৷

শারীরিকভাবে যারা দুর্বল এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদেরকে যে কোনো ধরনের ভাইরাস খুব সহজে আক্রমণ করতে পারে৷ তাই সকলেরই এখন নিয়মিত যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার, লেবু এবং বিভিন্ন ফল খাওয়া প্রয়োজন৷

এক গ্লাস গরম পানিতে দুই টুকরো আদা এবং একটু লেবুর রস দিয়ে দিন৷ তারপর ধীরে ধীরে তা পান করুন৷ এভাবে দিনে কয়েক গ্লাস পানি পান করতে পারেন৷ তাছাড়া অন্যান্য সময়ের চেয়ে এখন বেশি পানি পান করা জরুরি৷

এখন জরুরি ভিটামিন ডি-৩ এবং জিঙ্ক যা, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখে৷ রাতে ১৫ মিলিগ্রাম জিঙ্ক ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন৷ তাছাড়া বীজ জাতীয় খাবারে জিঙ্কের উপস্থিতি যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে৷ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে করোনা ভাইরাসকে দূরে রাখতে এই পরামর্শগুলো দিয়েছেন জার্মান চিকিৎসক ডা. আনে ফ্লেক৷

জার্মানির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট ডা. লোথার এইচ ভিলার এক টিভি সাক্ষাৎকারে জনগণকে যে কোনো ধরনের জনসমাগম থেকে দূরে থাকার অনুরোধ করেছেন৷ যে কোনো মানুষের কাছ থেকে কমপক্ষে দুই মিটার দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি৷

এই মুহূর্তে ভালোভাবে হাত ধোয়া খুবই জরুরি, তবে তা শুধু নিজের বাড়ি, অফিস বা কাছাকাছি কোনো বাথরুম থাকলেই সম্ভব৷ তাই বাইরে থাকাকালীন সময়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন আরেক জার্মান ডাক্তার ডা. এরন্সট টাবোরি৷

হাজারো হাত ঘুরে পয়সা আমাদের হাতে আসে৷ আর সেকারণেই কয়েন বা ভাঙতি পয়সায় যে জীবাণু থাকে তা হয়তো অনেকেরই জানা৷ তাই কেনাকাটার সময় এদিকেও সচেতন থাকার পরামর্শ রয়েছে ডা. টাবোরি৷