ফেনীতে ঘরের জানালা দিয়ে এক গৃহবধূকে অ্যাসিড ছুড়ে মারায় তিনি হাসপাতালে৷ এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ যৌতুকের দাবিতে স্বামীর পরিবার নির্যাতন করে বলে অভিযোগ গৃহবধূর মায়ের৷
বিজ্ঞাপন
রোববার সন্ধ্যায় মামলার পর তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান ফুলগাজী থানার পরিদর্শক মো. আবু তাহের৷ গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন গৃহবধূর স্বামীর ভাগ্নে আবদুল্লাহ আল মিনার ও গৃহবধূর ফুফাত দেবর তারেক মজুমদার৷ ২৬ বছর বয়সি গৃহবধূ জেলার পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়া গ্রামের চৌধুরীবাড়ির লিখন খানের স্ত্রী৷
রোববার বাড়িতে থাকার সময় ঘরের জানালা দিয়ে তার বোনের গায়ে অ্যাসিড ছুড়ে মারা হয় বলে গৃহবধূর বোন অভিযোগ করেন৷ গৃহবধূকে ফেনী সদর হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়৷ এসিডে গৃহবধূর মুখ, গলা ও হাতের কিছু অংশ ঝলসে গেছে৷ প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান হাসাপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বাবু৷
যৌতুকের দাবিতে ওই গৃহবধূকে তার স্বামীর পরিবার নির্যাতন করে বলে গৃহবধূর মা অভিযোগ করেন৷
গৃহবধূকে অ্যাসিডে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগে তিনজনের নামসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন গৃহবধূর মা৷ মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ ঘটনার সাথে জড়িত সবাইকে দ্রুত আইনের আওয়তায় আনা হবে বলে জানান পরিদর্শক তাহের৷
এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
২০১৯ সালের গ্যালারি
অ্যাসিড হামলাও যাঁদের দমাতে পারেনি
অ্যাসিড মেরে জীবন শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু রূপা, মধু, শবনম, খুশবুরা প্রমাণ করে দিয়েছেন, জীবনকে জিতে নেওয়া যায়। তাঁদের কাফে এখন বেঁচে থাকার আর এক নাম।
ছবি: Chhanv Foundation
কাফে শিরোস
আগ্রার শিরোস হ্যাংআউট তৈরি হয়েছে এক দল অ্যাসিড আক্রান্ত মহিলাকে নিয়ে। কাফে তৈরি থেকে পরিচালনা, সবটাই তাঁরা করেন।
ছবি: Chhanv Foundation
জীবনযুদ্ধ
যুদ্ধটা সহজ ছিল না। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা সময়ে অ্যাসিড হামলার মুখে পড়েছিলেন এই মহিলারা। বিকৃত হয়ে গিয়েছে মুখ। এক সময় তাঁরা ভেবেছিলেন, শেষ হয়ে গিয়েছে জীবন।
ছবি: Chhanv Foundation
লড়াইয়ের শুরু
খাদের কিনারা থেকে সেই মেয়েদেরই তুলে আনে একটি সংস্থা।তাঁদের বোঝানো হয় রূপ আসলে মনে। একটা অ্যাসিড হামলায় জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে না। বরং প্রমাণ করে দিতে হবে, এর পরেও মূলস্রোতের সমাজে ফিরে আসা যায়।
ছবি: Chhanv Foundation
নতুন জীবন
শিরোস কাফে নতুন জীবন দিয়েছে ওই মহিলাদের। নিজেদের হাতে একটু একটু করে তৈরি করেছেন তাঁরা এই অসামান্য কাফে।
ছবি: Chhanv Foundation
কেন কাফে
অনেকেরই প্রশ্ন, কাফে কেন? শিরোসের বক্তব্য, কাফেতে নানা ধরনের মানুষ আসেন।খেতে, গল্প করতে। তাঁদের সঙ্গে অ্যাসিড হামলার শিকার নারীদের একটা সম্পর্ক তৈরি করাই উদ্দেশ্য। সে উদ্দেশ্য ইতিমধ্যেই সফল হয়েছে। আরো কাফে খোলার পরিকল্পনা চলছে।
ছবি: Chhanv Foundation
এটাই স্বাধীনতা
নতুন দিগন্ত খুলে গিয়েছে আক্রান্ত মহিলাদেরও। শুধু কাফেতেই কাজ নয়, তাঁরা এখন ফ্যাশন শোতেও যোগ দিচ্ছেন। সমাজের নানা ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন।
ছবি: Chhanv Foundation
একটা আন্দোলন
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা কারণে যাঁরা অ্যাসিডে আক্রান্ত হচ্ছেন, শিরোসের নারীরা তাঁদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান, কথা বলে ফিরিয়ে আনেন মূল স্রোতে।