1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গৃহযুদ্ধ আবারও ডাকছে আইভরি কোস্টকে!

২৪ ডিসেম্বর ২০১০

আইভরি কোস্টের লরাঁ বাগবো৷ ধীরে ধীরে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন তিনি৷ জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে আলাসানে ওয়াতারাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নিল৷ কিন্তু তারপরও ক্ষমতা ছাড়ছেন না বাগবো৷

নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতাছবি: picture alliance / dpa

জাতিসংঘ এতদিন ধরে আলাসানে ওয়াতারাকেই সমর্থন জানিয়ে আসছিল৷ এবার যেটা হলো সেটা হচ্ছে আনুষ্ঠানিকতা৷ সাধারণ পরিষদের ১৯২ রাষ্ট্রের সবাই ওয়াতারাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনুমোদন করলো৷ এবং ওয়াতারা যাকে জাতিসংঘে আইভরি কোস্টের প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তাঁকেই বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে সমর্থন দিলো সাধারণ পরিষদ৷ ফলে এখন থেকে আলসাইড জেডসে'র বদলে ইউসুফ বামবা হবেন দেশটির প্রতিনিধি৷ ইতিমধ্যে জেডসে তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে জাতিসংঘ ছেড়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন অন্যান্য দেশের কূটনীতিকরা৷

কিন্তু এই সিদ্ধান্তের কারণে আইভরি কোস্টে থাকা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা আরও বিপাকে পড়তে পারেন৷ ইতিমধ্যে বাগবো'র নিয়ন্ত্রণে থাকা নিরাপত্তা বাহিনী জাতিসংঘ বাহিনীর ট্রাক ও পেট্রোল গাড়ি চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেছে৷

রাজধানী আবিদজানে জাতিসংঘ বাহিনীছবি: AP

তবে বাগবো দিন দিন একা হয়ে পড়ছেন৷ আইভরি কোস্ট পশ্চিম আফ্রিকার অন্তর্ভুক্ত একটি দেশ৷ এই অঞ্চলের সংস্থা হলো ইকোওয়াস৷ সংস্থাটি ইতিমধ্যে আইভরি কোস্টের সদস্যপদ স্থগিত করেছে৷ এবার সংস্থার সদস্য রাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রীরা মিলে আরেকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ সেটা হলো ‘সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস' এর তহবিল থেকে বাগবো কোনো অর্থ নিতে পারবেন না৷ শুধুমাত্র আলাসানে ওয়াতারার অনুমোদিত কেউ টাকা তুলতে পারবেন৷ এর ফলে বাগবো'র একটা অর্থের উৎস বন্ধ হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷

ভবিষ্যৎ কী?

সেটাই এখন বড় প্রশ্ন৷ অনেকে আশঙ্কা করছেন দেশটিতে আবার গৃহযুদ্ধ ফিরে আসতে পারে৷ যেমনটা হয়েছিল ২০০২-২০০৩ সালে৷ কারণ ইতিমধ্যে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় কমপক্ষে ১৭৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে৷ এছাড়া বাগবো বাহিনী প্রতি রাতে বিভিন্ন বাড়িতে হামলা করছে আর মানুষজনকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ বাহিনী৷

ওয়াতারা কোথায়?

তিনি এখন একটা হোটেলে অবস্থান করছেন৷ যেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন৷ হোটেলটি পাহারায় রয়েছে জাতিসংঘ বাহিনী৷ ঐ হোটেলই ওয়াতারা সরকারের কার্যালয় বলা যায়৷ কারণ সেখানে কয়েকটি কম্পিউটার রয়েছে৷ আর আছে একটা লম্বা টেবিল৷ যেখানে বসে তাঁর মন্ত্রী পরিষদের বৈঠক৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ