মনের গোপন কথাও জেনে ফেলছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স৷ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি তবে প্রাকৃতিক বুদ্ধির সঙ্গে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের?
বিজ্ঞাপন
বন্ধ ফোনও কথা শোনে৷ বছর তিনেক আগে অ্যামেরিকা ফেরত এক বন্ধু আচমকা বলেছিল কথাটা৷ টেকনোলজি নিয়ে আগ্রহ কম৷ তাই বিষয়টি আরো অনেকের জানা হলেও, আমার জানা ছিল না৷ বন্ধু ওই মন্তব্যের পর হাতেকলমে প্রমাণ দিতে শুরু করলো৷
হাতের পাশে ফোন রেখে আমরা নানা প্রোডাক্টের গল্প শুরু করলাম৷ অমুক ব্র্যান্ডের গাড়ি, তমুক ব্র্যান্ডের জিন্স ইত্যাদি ইত্যাদি৷ কথা শেষ হওয়ার কয়েকমিনিট পরে দুইজনেই নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢুকলাম ফোন থেকে৷ এবং কী আশ্চর্য! যে ব্র্যান্ডগুলি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল, সেই ব্র্যান্ডগুলির বিজ্ঞাপন একের পর এক পপ আপ করছে মোবাইলের স্ক্রিনে৷ ওই দিনই প্রথম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কামাল বুঝতে পেরেছিলাম৷ উপলব্ধি হলো, দেওয়ালের কান থাকুক বা না-ই থাকুক-- ঘরে রাখা সমস্ত ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সত্যি সত্যি অদৃশ্য কান আছে৷
কৃত্রিম বু্দ্ধিমত্তা: আদি থেকে বর্তমান
বর্তমানে প্রযুক্তি জগতের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় চ্যাটজিপিটি৷ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বু্দ্ধিমত্তা দিয়ে এটি তৈরি৷ এআই প্রযুক্তির শুরু থেকে এই পর্যায়ে আসার পেছনে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ঘটনার কথা থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: Torsten Sukrow/SULUPRESS.DE/picture alliance
দৈনন্দিন জীবনে এআই
স্মার্টফোন খুলতে ফেস আইডির ব্যবহার, ফেসবুকে পছন্দের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন, জীবনযাপনে সিরি-আলেক্সার ব্যবহার - এসবের পেছনে আছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ৷ কিন্তু একদিনে এই প্রযুক্তি এত দূর আসেনি৷
ছবি: Reuters/T. Peter
এএনএন কম্পিউটিং সিস্টেম
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যন্ত্রকে কিছু ‘শেখানোর’ মাধ্যম হচ্ছে ‘আর্টিফিসিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্কস’ বা এএনএন কম্পিউটিং সিস্টেম৷ ১৯৪৩ সালে মার্কিন নিউরোফিজিওলজিস্ট ও সাইবারনেটিশিয়ান ওয়ারেন ম্যাককালেক এবং কম্পিউটেশনাল নিউরোসায়েন্টিস্ট ওয়াল্টার পিটসের গবেষণাপত্রে প্রথম এএনএন ধারণার উল্লেখ পাওয়া যায়৷
ছবি: Axel Bueckert/Zoonar/picture-alliance
প্রথম স্বয়ংক্রিয় রোবট
মার্কিন বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নিউরোফিজিওলজিল্ট ও সাইবারনেটিসিয়ান উইলিয়াম গ্রে ওয়াল্টার ১৯৮৪ সালে এলমার ও এলসি নামে দুটি রোবট তৈরি করেছিলেন৷ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারা প্রথম রোবট এগুলো৷ আলো ও স্পর্শ ব্যবহার করে তারা বাধা পেরিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারতো৷
ছবি: United Archives/IMAGO
পড়াশোনার বিষয় হিসেবে স্বীকৃতি
মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী জন ম্যাকার্থি (ছবি) ১৯৫৫ সালে প্রথম ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ টার্মটি ব্যবহার করেন৷ এরপর ১৯৫৬ সালে তিনি ডার্টমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন যেখানে পড়াশোনার বিষয় হিসেবে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স স্বীকৃতি পায়৷
ছবি: AP/picture alliance
প্রথম চ্যাটবট
সিরি, আলেক্সার কথা আমরা সবাই জানি৷ তবে ১৯৬৬ সালে ‘এলিজা’ নামে একটি প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়েছিল, যাকে প্রথম এআই চ্যাটবট বলা হয়৷ এলিজা মানুষের কথা বুঝতে পারত, কথাও বলতে পারত৷ যদিও তার নির্মাতা জার্মান-অ্যামেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী ইওসেফ ভাইৎসেনবাউম (ছবি) প্রায়ই বলতেন, এলিজা বুদ্ধিমান নয়৷
স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা এসআরআই-এর ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সেন্টার’ ১৯৬৬ থেকে ১৯৭২ সালের মধ্যে ‘শেকি’ নামে একটি রোবট তৈরি করেছিল, যেটি নিজে থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারতো৷ শেকির আগে তৈরি সব রোবটকে প্রতিটি ধাপে নির্দেশ দিতে হত৷ কিন্তু শেকির তা প্রয়োজন ছিল না৷ এসআরআই-এর ওয়েবসাইট বলছে শেকি ছিল প্রথম মোবাইল রোবট যার পারিপার্শ্বিক অবস্থা বোঝার ক্ষমতা ছিল৷
ছবি: SRI International
দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারানো
এআই গবেষণার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে খেলা৷ একটি এআই চেস প্রোগ্রাম ১৯৮০র দশকে চেস মাস্টার ডেভিড লেভিকে খেলায় হারিয়ে দিয়েছিল৷ আর ১৯৯৬ সালে আইবিএম এর ‘ডিপ ব্লু’ কম্পিউটার তখনকার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দাবাড়ু গ্যারি কাসপারভকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল৷
ছবি: Stan Honda/AFP/Getty Images
প্রথম রোবটিক খেলনা
একটি মার্কিন কোম্পানি ১৯৯৮ সালে রোবোটিক খেলনা ‘ফার্বি’ বাজারে এনেছিল৷ প্রথমে এটি ‘ফার্বিশ’ বলতো৷ কিন্তু তাকে এমনভাবে প্রোগ্রাম করা ছিল যে, তাকে ইংরেজি ভাষা ও শব্দ শেখানো শুরু করলে সে একসময় তা বলতে পারতো৷ ফার্বির মাধ্যমেই সাধারণ মানুষ প্রথম বুঝতে পারে যে, চাইলে যন্ত্রকে কিছু শেখানো যায়৷
ছবি: PA Fearn/dpa/picture alliance
জিওপার্ডি! কুইজ শো জয়
২০১০ ও ২০১১ সালে আইবিএম-এর ওয়াটসন কম্পিউটার সিস্টেম মার্কিন টেলিভিশন কুইজ শো ‘জিওপার্ডি!’তে অংশ নিয়ে দুজন চ্যাম্পিয়নকে হারাতে সক্ষম হয়৷
ছবি: IBM/dpa/picture alliance
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট সিরির আগমন
২০১১ সালে অ্যাপল ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট ‘সিরি’ নিয়ে আসে৷ এটি মানুষের কথা বুঝতে পেরে সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারে৷ এআই জগতে সেই সময় এটি একটি অন্যতম সাফল্যের ঘটনা ছিল৷ সিরির পর এসেছে আলেক্সা, গুগল- যা এখন প্রায় সবাই ব্যবহার করে থাকে৷
ছবি: Jakub Porzycki/NurPhoto/picture alliance
গার্ডিয়ানের প্রবন্ধ লিখেছিল রোবট
২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনের গার্ডিয়ান পত্রিকায় একটি প্রবন্ধ লিখেছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট জিপিটি-৩৷ এটি মার্কিন এআই গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই-এর ল্যাঙ্গুয়েজ-জেনারেটর৷ প্রবন্ধটি পড়তে এই লিংকে (shorturl.at/cjnzT) ক্লিক করুন৷
ছবি: Getty Images
রোবোকাপ
রোবোটিকস ও এআই গবেষণা এগিয়ে নিতে ১৯৯৬ সালে কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক রোবোকাপ টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলেন৷ এটি প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে৷ ‘রোবট সকার ওয়ার্ল্ড কাপের’ সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে রোবোকাপ৷
ছবি: JACK TAYLOR/AFP/Getty Images
বিশ্বকাপের বলে এআই প্রযুক্তি
কাতার বিশ্বকাপে অফসাইড ধরতে এআই প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েছিল ফিফা৷ এর সাহায্যে বলের মধ্যে থাকা সেন্সর ও ছাদে থাকা ১২টি ক্যামেরার মাধ্যমে ফুটবলার ও বলের অবস্থান আরও ভালোভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়েছিল৷
ছবি: DW
চ্যাটজিপিটি
মার্কিন ওপেনএআই কোম্পানির তৈরি চ্যাটজিপিটি একটি শক্তিশালী মেশিন লার্নিং মডেল৷ এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো মানুষের মতো লেখা বা টেক্সট তৈরি করার ক্ষমতা৷ এর মানে হলো, কোনো একটি বিষয়ে একজন মানুষ যেমন প্রত্যুত্তর দিতে পারে, চ্যাটজিপিটিও সেরকমই জবাব লিখে জানাতে পারে৷ এটি চ্যাটবটের মতো অ্যাপগুলোর জন্য বিশেষভাবে উপযোগী৷
ছবি: Jakub Porzycki/NurPhoto/picture alliance
14 ছবি1 | 14
বছর তিনেক আগে কেবলমাত্র বিজ্ঞাপনের পপ আপ দেখেই আমরা আশ্চর্য হয়েছিলাম৷ ইদানীং বন্ধ ফোনের পাশে বসে কোনো বন্ধুর কথা আলোচনা করলে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ফ্রেন্ড সাজেশন চলে আসে৷ তার কোনো পোস্ট চলে আসে সবার উপর৷ কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তির বিষয়ে আলোচনা করলে তার পেজের সাজেশন চলে আসে৷ তার কোনো অনুষ্ঠান থাকলে সেই বিজ্ঞাপন চলে আসে স্ক্রিনের ডগায়৷
তিনবছর আগে মধ্যবিত্তের শোয়ার ঘরে অ্যালেক্সা ছিল না৷ এখন ঘরে ঘরে৷ জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ-- অ্যালেক্সা পারে না, এমন কিছু নেই৷ ঘরের আলো জ্বালিয়ে দিচ্ছে অ্যালেক্সা৷ ঘুম পাড়াচ্ছে, ঘুম থেকে তুলছে৷ গান বাজাচ্ছে, ওষুধ খাওয়ার সময় বলে দিচ্ছে৷ অন্যদিকে ম্য়াকের সিরি মন খারাপ বললে মনোবিদের নম্বর জোগাড় করে দেয়৷ গল্প শোনায়৷ ভালো থাকার টিপস দেয়৷
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে ভারত সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টে কাজ করেন এক পরিচিত বিজ্ঞানী৷ তিনি বলছিলেন, গত এক দশকে ভারতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে বহু কাজ হয়েছে এবং হচ্ছে৷ ব্যক্তিগত ডেটা সরকারের খাতায় পৌঁছে যাচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে৷ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হচ্ছে গোপন কূটনৈতিক তথ্য আহরণে৷ ওই বিজ্ঞানীর ধারণা, সত্যি সত্যিই যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়, তাহলে তা দাঁড়িয়ে থাকবে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের কূটনীতির উপরে৷
এ তো গেল ভবিষ্যতের গল্প৷ ভারতীয় মধ্যবিত্ত সমাজকে কীভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স গিলে ফেলছে, তার কিছু হাতেকলম তথ্য দেওয়া যাক৷ কনটেন্ট রাইটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত এক যুবক সম্প্রতি একটি অ্যাপ দেখালো৷ অ্যাপটি বেশ ভালো দামেই তাকে কিনতে হয়েছে৷ অ্যাপকে সে বলে দিচ্ছে নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে ৫০০ শব্দ লিখে দিতে হবে৷ মুহূর্তের মধ্যে তৈরি হয়ে যাচ্ছে লেখা৷ নিজেকে মাথা খাটিয়ে পড়তে হচ্ছে না, লিখতে হচ্ছে না৷ অ্যাপই সেই কাজ করে দিচ্ছে৷ কনটেন্ট রাইটিংয়ে এই অ্যাপ ইদানীং অনেকেই ব্যবহার করছে বলে জানালো ছেলেটি৷ অন্যদিকে, কলকাতার হাসপাতালে চলে এসেছে রোবট নার্স৷ রোগীর মাথায় হাত বুলিয়ে ইঞ্জেকশন দিয়ে দিচ্ছে সেই রোবট৷ গোটাটাই চলছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে৷
আশ্চর্য এই সব ম্যাজিক দেখতে দেখতে মনে পড়ে যাচ্ছে সত্যজিৎ রায়ের অমর সৃষ্টি হীরক রাজার দেশের কথা৷ সেই যন্ত্রমন্তর ঘর৷ সেখানে ঢোকানো আছে শ্রমিকের মন্ত্র, কৃষকের মন্ত্র, শিক্ষকের মন্ত্র৷ সে-ও তো আসলে এক ধরনের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স৷ যন্তরমন্তরে ঢুকলেই মাথার ভিতর গেঁথে যাবে মন্ত্র৷
যে ছেলেটি অ্যাপের মাধ্যমে কনটেন্ট লিখে ফেলছে, তাকে প্রশ্ন করেছিলাম, তাহলে তো নিজের আর কোনো কাজই থাকলো না! পড়তেও হবে না, লিখতেও হবে না৷ অ্যাপকে বলে দিলেই হলো৷ যুবকের উত্তর-- পয়সা দিয়ে অ্যাপ তো কিনতে হয়েছে! তাকে তো বলতে হচ্ছে কোন বিষয়ে লিখতে হবে, কতটা লিখতে হবে৷ কোন কোন পয়েন্ট রাখতে হবে! তা-ই বা কম কী!
গত শতকের শেষের দিকে দেশে যখন প্রথম কম্পিউটার ঢুকলো, বিরাট আন্দোলনে নেমেছিল বাম দলগুলি৷ তাদের বক্তব্য ছিল, কম্পিউটার মানুষের কাজ খেয়ে নেবে৷ বাস্তবে হয়েছেও তাই! কম্পিউটার আসার আগে যে কাজ চারজনে করতেন, কম্পিউটার তা একজনে নামিয়ে দিয়েছে৷ কিন্তু তাই বলে কি সকলে কাজ হারালেন? যুগের সঙ্গে যারা মানিয়ে নিতে পেরেছেন, তারা নতুন নতুন কাজে অংশ নিয়েছেন৷ বস্তুত, কাজ ফুরোয় না৷ প্রযুক্তি নতুন কাজের জন্মও দেয়৷ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মানুষের কাজ কমিয়ে দেবে বলে যারা আজ হায় হায় করছেন, তারা তিন দশক আগের ইতিহাস আরেকবার ঝালিয়ে নিতে পারেন৷
কিন্তু এর চেয়েও বড় প্রশ্ন আছে৷ এক বিশিষ্ট মনোবিদ সম্প্রতি এক আলোচনাসভায় এই প্রশ্নটিকে নানা দিক থেকে দেখার এবং বোঝার চেষ্টা করেছেন৷ তার বক্তব্য, মানুষ পৃথিবীতে টিকে আছে তার বুদ্ধির জন্য৷ এই বুদ্ধির সাহায্যেই মানুষের সভ্যতা একের পর এক মাইলস্টোন পার করেছে৷ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সও মানুষের সৃষ্টি৷ এ-ও এক বিরাট মাইল ফলক৷ কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাছে শেষপর্যন্ত প্রাকৃতিক বুদ্ধিমত্তা হেরে যাবে না তো! সাই ফাই ফিল্মে তেমন ঘটনাও ঘটতে শুরু করেছে৷ তৃতীয় বা চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধ আসলে মানুষের বুদ্ধির সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধির হবে না তো?