1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গোটা ইউরোপেই ইউরোপ-বিরোধীদের রমরমা

২১ নভেম্বর ২০১৪

শুধু ব্রিটেনের ইউকিপ পার্টি নয়, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এমন অনেক দলের উত্থান দেখা যাচ্ছে, যারা নানা কারণে ইউরোপীয় ঐক্য প্রকল্পের বিরোধিতা করে চলেছে৷ এই অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর দাবি জোরালো হচ্ছে৷

England Wahlen Nigel Farage Partei UKIP
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Oliver

ইউরোপের নানা দেশে ‘ইউরোস্কেপটিক' বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্কে সংশয়বাদীদের শক্তি বাড়ছে৷ অর্থাৎ সাধারণ মানুষের ভোটেই তারা সংসদে এসে নিজেদের ভাবধারা তুলে ধরছে৷ ব্রিটেন ছাড়াও ফ্রান্স ও ডেনমার্কে তাদের যথেষ্ট সাফল্য দেখা যাচ্ছে৷ সেই সঙ্গে রয়েছে উগ্র দক্ষিণপন্থি কিছু দল, যারা তাদের সার্বিক কর্মসূচি নিয়ে হাঙ্গেরি ও গ্রিসের মতো দেশে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে৷ তবে সব দলই যে ইইউ থেকে নিজের দেশকে একেবারে বিচ্ছিন্ন করতে চায়, এমনটা বলা চলে না৷ প্রত্যেকেরই নিজস্ব অ্যাজেন্ডা রয়েছে৷ ফলে ইউরোপীয় পার্লামেন্টেও তাদের মধ্যে ঐক্যের পথে বাধা রয়ে গেছে৷ যেমন জার্মানির এএফডি পার্টি অভিন্ন মুদ্রা ইউরো ত্যাগ করে পুরানো ডয়চে মার্ক আবার চালু করার পক্ষে সওয়াল করছে৷ ফ্রান্সের ন্যাশানাল ফ্রন্ট মূলত বিদেশিদের অভিবাসনের বিরোধিতা করে আসছে৷ হাঙ্গেরির দক্ষিণপন্থি দল ইইউ-কে উপেক্ষা করে সে দেশে প্রায় এক স্বেচ্ছাচারী শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলছে৷

ইউরোপের অনেক ভোটারের দৃষ্টিতেই রাজনীতির মূল স্রোতের নেতারা আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকট সামলাতে ব্যর্থ হয়েছেন৷ প্রবৃদ্ধির অভাব, চরম বেকারত্ব, কর্মসংস্থানের ধীর গতির সরাসরি কুফল ভোগ করছেন তাঁরা৷ এই অবস্থায় মানুষ এমন সব দলকে সমর্থন করছে, যারা জনমোহিনী বিকল্প কর্মপন্থা তুলে ধরছে৷ ফ্রান্স ও জার্মানির শীর্ষ স্তরের নেতারাও এই অবস্থায় কর্মসংস্থান ও প্রবৃদ্ধির উপর জোর দিতে শুরু করেছেন৷ হতাশ ভোটাররা ‘পপুলিস্ট' দলগুলির ছত্রছায়ায় আশ্রয় নিন, এটা তাঁরা চান না৷ এই সব দল মানুষের ক্ষোভ ও ভয়ের ভিত্তিতে উঠে এলেও বিকল্প পথ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিতে পারে না৷ দায়িত্বশীল, দীর্ঘমেয়াদি বা বাস্তবসম্মত নীতিও তাদের ঝুলিতে নেই৷ শক্তি বাড়া সত্ত্বেও তারা এখনো মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলির জায়গা নিতে পারে নি৷ ফলে পরিস্থিতি বদলানোর জন্য এখনো সময় রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷

তবে বর্তমান অচলাবস্থা কাটাতে ইউরোপীয় কাঠামোর আমূল সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে বলে ইউরোপীয় নেতারা মনে করছেন৷ ব্রাসেলস-এর হাতে বড় বেশি ক্ষমতা রয়েছে এবং ইউরোপীয় কমিশনের যথেষ্ট জবাবদিহিতার ব্যবস্থা নেই – এই অভিযোগ সম্পর্কে তেমন মতবিরোধ নেই৷ এই অবস্থায় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের স্পষ্ট এক রোডম্যাপের প্রয়োজন রয়েছে বলে অনেক নেতা মনে করছেন৷ একমাত্র এভাবেই ইউরোপের হতাশ ভোটারদের ইউরোপীয় সমন্বয়ের আদর্শের পথে ফেরানো সম্ভব হবে বলে তাঁদের আশা৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ