ভারতে বিদ্যুৎ বিপর্যয়
৩০ জুলাই ২০১২গত দশ বছরে গোটা উত্তর ভারতে এত বড় বিদ্যুৎ বিপর্যয় আর হয়নি৷ দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান এবং জম্মু-কাশ্মীর এই সাতটি রাজ্য আজ মধ্য রাত্রি থেকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে৷ ভ্যাপসা গরমে বিস্তীর্ণ এলাকার প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ নাজেহাল৷ বাদ যায়নি হাসপাতাল, জরুরি পরিষেবা, প্রধানমন্ত্রী আবাস, রাষ্ট্রপতি ভবন এবং ভিআইপি এলাকা৷
কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী সুশীল শিন্ডে আজ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, নর্দান গ্রিড বিকল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পূর্ব ও পশ্চিম গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ আনার চেষ্টা করা হয়৷ অন্যান্য জায়গা থেকেও পাওয়ার সরবরাহের চেষ্টা শুরু হয়৷ বিকেল নাগাদ ৫০-৬০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হয়৷ ২০০১ সালের বিদ্যুৎ বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সময় লেগেছিল ১৬ ঘণ্টা৷ এবার লেগেছে মাত্র ৬-৭ ঘণ্টা৷ গ্রিড বিকল হয় আগ্রার কাছে৷
বিদ্যুৎমন্ত্রী শিন্ডে বলেন, এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় ইলেকট্রিসিটি কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের এক কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ খুব শীঘ্রই কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে৷
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনজীবন সাময়িকভাবে অচল হয়ে পড়ে৷ আম জনতার ভোগান্তির একশেষ৷ শহরতলির ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে৷ গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলি মাঝপথে আটকা পড়ে৷ প্রায় ২০০ ট্রেন বিলম্বে চলে৷ দিল্লির মেট্রো সার্ভিস সকালে চলেনি৷ ফলে অফিস যাত্রিদের বেহাল দশা৷ রাস্তায় রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম৷
এদিকে, দিল্লির জন্তর মন্তরে দুর্নীতি বিরোধী আন্না হাজারে ফের আমরণ অনশনে বসেছেন৷ আজ দ্বিতীয় দিন৷ আন্না সমর্থকদের অভিযোগ, এই আন্দোলনে বহুসংখ্যক লোক যাতে অংশ নিতে না পারে, তারজন্য এই বিদ্যুৎ বিপর্যয় সরকারের এক চক্রান্ত৷ স্বাভাবিকভাবেই, শহরতলির ট্রেন ও মেট্রো বন্ধ রাখায় আমজনতা আটকা পড়ে৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ