1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে বিদ্যুৎ বিপর্যয়

৩০ জুলাই ২০১২

সোমবার মধ্য রাত্রি থেকে গোটা উত্তর ভারতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনজীবন বিপর্যস্ত৷ সব অত্যাবশ্যক পরিষেবা ব্যাহত৷ নর্দার্ন পাওয়ার গ্রিড বিকল হওয়ায় এই বিভ্রাট৷ তবে অন্য গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ এনে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা চলেছে৷

Main title: Electricity in Lebanon Photo title: A power transmission plant in the midst of a residential neighborhood in Beirut. Place and date: Beirut, 18 April 2012 Copy right/photographer: Charbel Tanios
ছবি: DW/Tanios

গত দশ বছরে গোটা উত্তর ভারতে এত বড় বিদ্যুৎ বিপর্যয় আর হয়নি৷ দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান এবং জম্মু-কাশ্মীর এই সাতটি রাজ্য আজ মধ্য রাত্রি থেকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে৷ ভ্যাপসা গরমে বিস্তীর্ণ এলাকার প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ নাজেহাল৷ বাদ যায়নি হাসপাতাল, জরুরি পরিষেবা, প্রধানমন্ত্রী আবাস, রাষ্ট্রপতি ভবন এবং ভিআইপি এলাকা৷

কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী সুশীল শিন্ডে আজ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, নর্দান গ্রিড বিকল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পূর্ব ও পশ্চিম গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ আনার চেষ্টা করা হয়৷ অন্যান্য জায়গা থেকেও পাওয়ার সরবরাহের চেষ্টা শুরু হয়৷ বিকেল নাগাদ ৫০-৬০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হয়৷ ২০০১ সালের বিদ্যুৎ বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সময় লেগেছিল ১৬ ঘণ্টা৷ এবার লেগেছে মাত্র ৬-৭ ঘণ্টা৷ গ্রিড বিকল হয় আগ্রার কাছে৷

বিদ্যুৎমন্ত্রী শিন্ডে বলেন, এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় ইলেকট্রিসিটি কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের এক কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ খুব শীঘ্রই কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে৷

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনজীবন সাময়িকভাবে অচল হয়ে পড়ে৷ আম জনতার ভোগান্তির একশেষ৷ শহরতলির ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে৷ গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলি মাঝপথে আটকা পড়ে৷ প্রায় ২০০ ট্রেন বিলম্বে চলে৷ দিল্লির মেট্রো সার্ভিস সকালে চলেনি৷ ফলে অফিস যাত্রিদের বেহাল দশা৷ রাস্তায় রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম৷

এদিকে, দিল্লির জন্তর মন্তরে দুর্নীতি বিরোধী আন্না হাজারে ফের আমরণ অনশনে বসেছেন৷ আজ দ্বিতীয় দিন৷ আন্না সমর্থকদের অভিযোগ, এই আন্দোলনে বহুসংখ্যক লোক যাতে অংশ নিতে না পারে, তারজন্য এই বিদ্যুৎ বিপর্যয় সরকারের এক চক্রান্ত৷ স্বাভাবিকভাবেই, শহরতলির ট্রেন ও মেট্রো বন্ধ রাখায় আমজনতা আটকা পড়ে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ