কলকাতা এখন গোলাপি রঙের শহর৷ নেতাজি সুভাস চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পুরনো কলকাতার অলিগলিতেও লেগেছে গোলাপি রঙের ছোঁয়া৷ সড়ক বিভাজনগুলোর বাতি থেকে বিচ্ছুরিত হচ্ছে গোলাপি আলো৷
বিজ্ঞাপন
এই গোলাপি রঙের উৎস একটি ক্রিকেট ম্যাচ, গোলাপি বলের দিবারাত্রির টেস্ট৷
বাংলাদেশ-ভারতের এই টেস্ট ম্যাচ শুরু হবে কাল (শুক্রবার) স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় ইডেন গার্ডেনসে৷ এই ম্যাচ কেন্দ্র করেই কলকাতা সেজেছে অপরূপ রূপে, গোলাপি রঙে৷
দিবারাত্রির টেস্ট ক্রিকেটের শুরুটা চার বছর আগে হলেও বাংলাদেশ বা ভারত কখনোই ফ্লাড লাইটে টেস্ট ম্যাচ খেলেনি৷ তাই কলকাতাতেই দিবারাত্রির টেস্টে অভিষেক হচ্ছে প্রতিবেশী দুই দেশের৷ ঐতিহাসিক এই ম্যাচ ঘিরে শহর জুড়ে চলছে উন্মাদনা৷ ছেলে-বুড়ো সবাই চাচ্ছে ভারতের গোলাপি বলের প্রথম টেস্ট ম্যাচটি মাঠে বসে দেখতে, ইতিহাসের সাক্ষী হতে৷ টেস্টের মতো অপেক্ষাকৃত কম জনপ্রিয় খেলার টিকিটের জন্যও চলছে হাহাকার৷ ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই-এর সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী জানান, বুধবারই ম্যাচের চারদিনের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে৷ এই খবর জানার পরও ইডেনের সামনে মানুষের ভিড় একটুও কমেনি৷ ব্যারিকেড দিয়ে টিকিটপ্রত্যাশী দর্শকদের ঠেকাতে হচ্ছে পুলিশকে৷ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি) থেকে ‘টিকিট নেই’ জানিয়ে দেওয়ার পরও কেউই জায়গা ছাড়ছে না৷ তীর্থের কাকের মতো কলকাতার ক্রিকেটানুরাগীরা অপেক্ষা করছেন একটি টিকিটের জন্য৷ তাদেরই একজন সৌমেন সাহা এসেছেন শিলিগুড়ি থেকে ঋদ্ধিমান সাহাদের খেলা দেখতে৷ উঠেছেন কলকাতার নিউমার্কেটের পাশেই একটি হোটেলে৷ অথচ ম্যাচ দেখার জন্য কোনো টিকিট জোগাড় করতে পারেননি৷ তিনি বলছিলেন, ‘‘এত দূর থেকে যখন এসেছি তখন খেলা তো দেখতেই হবে৷ ভারত গোলাপি বলে এই প্রথম খেলছে দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচ৷ এটা তো ঐতিহাসিক একটি ম্যাচ৷ খেলা হচ্ছে আমাদের কলকাতায়৷ যে করেই হোক ম্যাচটা দেখতে চাই৷ শেষ দিন পর্যন্ত আশা ছাড়ছি না৷’’
কলকাতা টেস্ট ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল সাদা পোশাকে, লাল বলে৷ সৌরভ গাঙ্গুলী বিসিসিআই সভাপতি হওয়ার পরই ম্যাচটি দিবা-রাত্রির করার প্রস্তাব দেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি-কে৷ ভারতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাওয়ার পর খেলতে রাজি হন ক্রিকেটাররা৷ সৌরভ উৎসবের একটা উপলক্ষ্য খুঁজছিলেন৷ গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির টেস্ট আয়োজন করে কলকাতার মানুষকে উৎসব করার সুযোগ এনে দিয়েছেন৷ এই ম্যাচটিকে ঐতিহাসিক রূপ দিতে তিনি বেছে নেন গোলাপি রঙের বল৷ ইডেন গার্ডে্ন্স সাজানো হয়েছে গোলাপি রঙের ছোঁয়ায়৷ স্টেডিয়ামের প্রতিটি পিলার গোলাপি রঙের কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷ গ্যালারির লাইটগুলো মোড়ানো হয়েছে গোলাপি রাঙতায়৷ আলো জ্বলে উঠলেই তাতে গোলাপি দেখায়৷ ইডেনের স্টাফদের পোশাকও গোলাপি রঙের৷ পিচ কিউরেটর সুজন মুখার্জি বলছিলেন, ‘‘এই টেস্ট ম্যাচটি বিশেষ একটি জায়গা নিয়ে নিয়েছে৷ খেলা শুরুর আগেই ব্যাপক উন্মাদনা দেখতে পাচ্ছি৷ জীবনে কখনো এতটা ক্রেজ দেখিনি৷ ম্যাচের আকর্ষণ বাড়াতেই গোলাপি পোশাক দেওয়া হয়েছে৷ শহরের সব জায়গায় গোলাপি লাইটিং হয়েছে৷ বড় বড় দালানগুলোতে গোলাপি আলো দেখা যাচ্ছে৷ এর কারণ হলো দিবা-রাত্রির টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি দর্শকদের আকৃষ্ট করা৷ কর্তৃপক্ষ এই উদ্যোগে সফলই হয়েছে বলব৷’’
ইতিহাস হতে তৈরি কলকাতা
ভারত-বাংলাদেশের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট, সেই সঙ্গে প্রথম গোলাপি বল — উৎসবে মেতে ওঠার জন্য আর কী চাই! তাই প্রস্তুতির শেষ নেই কলকাতার৷ ইতিমধ্যে ‘পিংক সিটি’ হয়ে উঠেছে সৌরভ গাঙ্গুলির শহর৷
ছবি: Sikander Ali
সবখানেই গোলাপির ছোঁয়া
গোলাপি রংয়ের ভবনের কারণে ভারতের জয়পুরকে ‘পিংক সিটি’ নামে ডাকা হয়৷ তবে বাংলাদেশ-ভারত টেস্টকে ঘিরে কিছুদিনের জন্য কলকাতাও গোলাপি হয়ে উঠেছে৷ বিমানবন্দর থেকে শুরু করে পুরনো কলকাতার অলিগলিতে লেগেছে গোলাপি রঙের ছোঁয়া৷ সড়ক বিভাজনগুলোর বাতি থেকে বিচ্ছুরিত হচ্ছে গোলাপি আলো৷ ছবিতে সন্ধ্যার জওহরলাল নেহরু রোড দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Sikander Ali
রং লেগেছে সবচেয়ে উঁচু ভবনেও
বর্তমানে কলকাতার সবচেয়ে উঁচু ভবন হচ্ছে ‘দ্য ফরটিটু’৷ সেখানেও কেমন গোলাপি রংয়ের ছোঁয়া লেগেছে দেখুন! কয়েক কিলোমিটার দূরের ধর্মতলা থেকেও এই সৌন্দর্য দেখতে পাচ্ছেন কলকাতাবাসী৷
ছবি: Sikander Ali
প্রিয় ‘দাদা’র উদ্যোগ
সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান হয়েছেন ‘কলকাতার দাদা’ হিসেবে পরিচিত সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি৷ দায়িত্ব পেয়েই ভারত ও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলতে রাজি করিয়েছেন৷ ২০১৫ সালে প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট শুরু হলেও ক্রিকেটারদের আগ্রহ না থাকায় এতদিন ভারত এমন টেস্ট খেলেনি৷ তাই ইতিহাসের অংশ হতে সেজেছে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসও৷
আউট, নাকি নটআউট! জানতে চাইলে মাঝেমধ্যেই চোখ রাখতে হবে এই বোর্ডের দিকে৷ সেটিকেও গোলাপি সাজে সাজানো হয়েছে৷
ছবি: Sikander Ali
বাদ নেই কর্মীরাও
সবই যখন গোলাপি হচ্ছে তখন আর কর্মীদের বাদ রাখার কী দরকার! তাইতো স্টেডিয়ামের কর্মীরা গোলাপি রংয়ের পোশাক পরে দায়িত্ব পালন করবেন৷
ছবি: Sikander Ali
গোলাপি বল শক্ত ও ভারী
বাংলাদেশ ও ভারতের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই প্রথমবারের মতো গোলাপি বলে খেলবেন৷ এই বলে অনুশীলন করার পর ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি জানিয়েছেন, গোলাপি বল লাল বলের চেয়ে শক্ত ও ভারী৷ দিবা-রাত্রির ম্যাচ দিয়ে টেস্টের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টার প্রশংসা করলেও কোহলি মনে করেন, নিয়মিতভাবে এই টেস্ট আয়োজন করা উচিত হবে না৷ কারণ, এর ফলে সকালের সেশনে ক্রিকেটারদের মধ্যে যে ‘নার্ভাসনেস’ কাজ করে তা দেখার আনন্দ হারিয়ে যাবে৷
ছবি: Sikander Ali
সবমিলিয়ে ১২তম
২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচটি খেলেছিল৷ এরপর আরো ১১টি ম্যাচ হয়েছে৷ ফলে শুক্রবার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে হতে যাওয়া ম্যাচটি হবে দিন-রাতের ১২তম টেস্ট৷ ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইতিমধ্যে অন্তত একটি করে দিন-রাত্রির টেস্ট খেলেছে৷
ছবি: Sikander Ali
8 ছবি1 | 8
কলকাতার সবচেয়ে উঁচু ভবন ‘দ্য ফরটিটু’-র ১৩ তলায় জ্বলছে গোলাপি আলো৷ এসপ্লানেড ধর্মতলা থেকে দেখা যাচ্ছে এই ভবনের গোলাপি রূপ৷ ওদিকে নন্দন, রবীন্দ্র সদন ভাসছে আলোর ঝলকানিতে৷ পথচারী বারীন মিত্র কলকাতার এই রূপ দেখে মুগ্ধ৷ তিনি খুব খুশি ভারতের দিবা-রাত্রির প্রথম টেস্ট ম্যাচটি তার শহরে হচ্ছে বলে৷ টিকিট কেটে খেলা দেখতে না পারলে টিভিতে খেলা দেখতে চান তিনি৷ ২২ থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত অফিস থেকে ছুটি নিয়ে রেখেছেন খেলা দেখবেন বলে, ‘‘টিকিট না পেলেও খেলা তো মিস করা যাবে না! পরিবার নিয়ে টিভিতে খেলা দেখবো৷ গোলাপি বলের প্রথম টেস্ট খেলা হচ্ছে৷ আমাদের সৌরভদা’ এই খেলা এনেছে৷ আমরা উনাকে খুব ভালোবাসি৷ দাদার কারণেই শহর বদলে গেছে৷ এই ম্যাচ দেখতে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা আসবেন৷ শুনেছি তাদের অভিষেক টেস্ট দলের খেলোয়াড়রাও আসছেন৷ ভারতের সাবেক ক্যাপটেনরা থাকবেন৷ বড় অনুষ্ঠান হবে৷ নিউজ দেখেছি সবকিছুই হবে গোলাপি রঙের৷ দারুণ একটা ব্যাপার৷’’
এসপ্লানেড থেকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সড়কের বিভাজনের বাতিগুলোকে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গোলাপি রঙের রাংতা দিয়ে৷ আর তাতেই পুরো শহর হয়ে উঠেছে গোলাপি৷ গঙ্গার বুকে যে লঞ্চ চলছে তাতেও রঙ দেওয়া হয়েছে গোলাপি৷ বিভিন্ন বাহনে গোলাপি স্টিকার ব্যাবহার করে নতুনত্ব আনা হয়েছে৷ টেস্ট ম্যাচ ঘিরে কলকাতার এই রঙ পরিবর্তনকে সাদরে গ্রহণ করেছেন প্রিয়াঙ্কা সেন৷ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এ ছাত্রী বাংলাদেশ-ভারতের দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচ দেখার সব ব্যবস্থা করে ফেলেছেন৷ তার অনুভূতিটা অন্য রকম, কিছুটা পরিতৃপ্তির, ‘‘দাদা প্রথম দিনের জন্য চারটা টিকিট জোগাড় করে ফেলেছে৷ ভাই-বোন মিলে খেলা দেখতে পারছি, এতে খুশি৷’’ গোলাপি বলের টেস্টের ভেন্যু কলকাতা এখন গোলাপি শহর৷
টেস্টে যা করেছে টাইগাররা
২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর থেকে এখন অবধি ১১৬টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, জিতেছে মাত্র ১৩টি৷ এক নজরে টাইগারদের টেস্ট রেকর্ড দেখে নিন৷
ছবি: Getty Images/AFP/M.U. Zaman
আফগানদের বিরুদ্ধে বড় পরাজয়
বিশ্ব ক্রিকেটে নবীন দল আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টটিতে হেরেছে টাইগাররা৷ ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ২২৪ রানের ব্যবধানে হারে স্বাগতিকরা৷
ছবি: Getty Images/AFP/STR
অস্ট্রলিয়ার বিপক্ষে জয়
এখন পর্যন্ত বড় যে দলগুলোকে টেস্টে হারাতে পেরেছে টাইগাররা, তাদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া অন্যতম৷ ২০১৭ সালে ঘরের মাঠে একটি টেস্ট জিততে সক্ষম হয় টাইগাররা৷ তবে, অন্য ম্যাচে অসিরা জয় নিশ্চিত করায় সিরিজটি ড্র হয়৷ দু’দল এখন অবধি মোট ছয়বার মুখোমুখি হয়েছে৷ এরমধ্যে পাঁচবারই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া৷
ছবি: Getty Images/R. Cianflone
হেরেছে ইংল্যান্ডও
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মোট দশটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ৷ এরমধ্যে হরেছে নয়টিতে৷ ২০১৬ সালে ঢাকায় একটি টেস্টে ইংলিশদের ১০৮ রানে হারাতে সক্ষম হয় টাইগাররা৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
ভারতের বিপক্ষে বড় পাওয়া ড্র
টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বাংলাদেশ প্রথম টেস্টটি খেলে ভারতের বিপক্ষে৷ সে খেলায় প্রথম ইনিংসে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুললেও শেষ অবধি তা হয়নি৷ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর অবধি ১০টি টেস্ট খেলেছে টাইগাররা৷ এরমধ্যে হেরেছে আটটিতে, ড্র হয়েছে বাকি দু’টি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Rahi
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সাকিবের রেকর্ড
কিউয়িদের বিরুদ্ধে ১৫টি টেস্ট খেললেও এখন অবধি জয়ের মুখ দেখেনি টাইগাররা৷ তবে, তিনটি ম্যাচ ড্র হয়েছে৷ কিউয়িদের বিরুদ্ধে অবশ্য সাকিব আল হাসান একাধিক রেকর্ড গড়েছেন৷ ২০১৭ সালে ওয়েলিংটন টেস্টে এক ইনিংসে ২১৭ রান করেন তিনি৷ টেস্টে এটাই তাঁর সর্বোচ্চ রান৷ বোলিংয়ে এক ইনিংসে ৩৮ রানের বিনিময়ে সাত উইকেট নেয়ার রেকর্ডটিও তিনি গড়েছেন কিউয়িদের বিরুদ্ধেই৷
ছবি: Getty Images/H. Hopkins
পাকিস্তানের বিপক্ষে তামিমের দ্বিশতক
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অংশ নেয়া দশটি টেস্ট ম্যাচের নয়টিতেই হেরেছে টাইগাররা৷ একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে৷ দলটির বিরুদ্ধে তামিম ইকবালের একটি দ্বিশতক রয়েছে৷ ২০১৫ সালে খুলনা টেস্টে এক ইনিংসে ২০৬ রান করেন তিনি৷ টেস্টে এটাই তামিমের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
জয় মেলেনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১২টি টেস্ট খেলেছে টাইগাররা, হেরেছে ১০টিতে৷ তবে দু’টি ম্যাচ ড্র হয়েছে৷ দলটির বিপক্ষে শাহাদাত হোসেনের এক ইনিংসে ২৭ রানের বিনিময়ে ছয় উইকেট নেয়ার রেকর্ড রয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
হেরেছে শুধু শ্রীলঙ্কা
দক্ষিণ এশিয়ার টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে একমাত্র শ্রীলঙ্কাই এখন অবধি বাংলাদেশের কাছে হেরেছে৷ দু’দলের মধ্যে আয়োজিত ২০টি টেস্টের ১৬টিতে হরেছে টাইগাররা, জিতেছে একটিতে, আর ড্র হয়েছে বাকি তিনটি৷ টেস্টে মুশফিকুর রহিমের দু’টি দ্বিশতকের একটি এসেছে এই দলের বিরুদ্ধে৷ ২০১৫ সালে গল টেস্টে এক ইনিংসে ২০০ রান করেন তিনি৷ সেই টেস্টে মোহাম্মদ আশরাফুল করেছিলেন ১৯০ রান৷
ছবি: Getty Images/AFP/I. S. Kodikara
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়
এখন অবধি যেসব দলের বিরুদ্ধে টেস্টে জিতেছে বাংলাদেশ, তার মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ৷ দলটির বিরুদ্ধে ১৬ টেস্টের মধ্যে চারটিতে জিতেছে টাইগাররা, হেরেছে দশটিতে৷ মেহেদি হাসান মিরাজের টেস্টে সবচেয়ে ভালো বোলিংয়ের রেকর্ডও এই দলের বিরুদ্ধে৷ ২০১৮ সালে ঢাকায় ৫৮ রানের বিনিময়ে সাত উইকেট নেন তিনি৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Brooks
জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি জয়
জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে খেলা ১৬ টেস্টের মধ্যে ছয়টিতে জিতেছে টাইগাররা৷ হেরেছে সাতটিতে, আর ড্র তিনটি৷ টেস্টে বাংলাদেশি কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি হয়েছে এই দলের বিরুদ্ধে৷ ২০১৯ সালে ঢাকায় এক টেস্টে ২১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম৷