1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গোল্ডেন রাইস নিয়ে বিতর্ক

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৯ অক্টোবর ২০১৫

জেনিটিক্যালি মোডিফায়েড ‘গোল্ডেন রাইস'-এর পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা৷ ওদিকে দেশি জাতের ধান রক্ষায় যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের দাবি, এই রাইসের মাধ্যমে বহুজাতিক কোম্পানিগুলি এবার বাংলাদেশের ধান দখল করতে চান৷

Philippinen Dr. Swapan Datta Reis Zucht
ছবি: Getty Images/Greedy

দেশীয় ধানে বিটা ক্যারেটিন বা ভিটামিন এ নেই৷ অন্যদিকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মাধ্যমে আবিষ্কৃত ‘গোল্ডেন রাইস'-এ ভিটামিন এ পাওয়া যাবে৷ বাংলাদেশ রাইস রিচার্স ইনস্টিটিউটের (বিরি) বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ধান শিশু এবং গর্ভবতী মায়েদের ভিটামিন এ-এর অভাব পূরণ করবে৷ শিশুদের রক্ষা করবে রাতকানা রোগ থেকে৷

কুষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সংবাদমাধ্যকে জানান, ‘‘বিরি-র অনুরোধে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল কমিটি অন ক্রপ বায়োটেকনোলজি গত ২০শে সেপ্টেম্বর মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষামূলকভাবে এই ধান উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে৷

ভুট্টা অথবা সূর্যমুখী বীজের জিনের সহায়তায় জিআর-২-ই বিরি ধান ২৯ কে গোল্ডেন রাইনে রূপন্তরের গবেষণা পর্যায়ের উৎপাদন এরইমধ্যে সফল করেছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা, গাজীপুরের বিরি সদর দপ্তরে স্বচ্ছ পর্দাঘেরা জায়গায়৷ বিরি-র মহাপরিচালক ড. জীবন কুমার বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘আগামী নভেম্বরে বেরো মৌসুমে বিরি সংলগ্ন আলাদা মাঠে এই ধান চাষ করা হবে৷ এরপর একাধিক মাঠে৷ তারপর কৃষকদের মধ্যে বীজ বিতরণের পরিকল্পনাও রয়েছে৷''

তবে এই গোল্ডেন রাইসের বিরোধিতা করেছেন বাংলাদেশে দেশি ধানের জাত নিয়ে কাজ করা উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা (উবিনীগ) নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আক্তার৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘কথিত গোল্ডেন রাইসের নামে বহুজাতিক কোম্পানি বাংলাদেশের ধানকে দখল করতে চাইছে৷ ফলে দেখা যাবে, এর ‘কপিরাইট' এবং বীজের জন্য আমাদের কৃষক বহুজাতিক কোম্পানির কাছে জিম্মি হয়ে পড়বে৷''

ডয়চে ভেলের মুখোমুখি ফরিদা আখতার

This browser does not support the audio element.

তিনি আরো বলেন, ‘‘বাংলাদেশে নারী ও শিশুদের ভিটামিন এ-এর অভাব পূরণের জন্য নানা শাক-সবজি আছে৷ সেগুলোর চাষ বাড়ানো যায়৷ কিন্তু ধানের মাধ্যমে ভিটামিন এ-এর অভাব পূরণ হাস্যকর৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেখানে জিএম ফুড নিষিদ্ধ হচ্ছে, সেখানে আমরা সেটাই আমন্ত্রণ জানাচ্ছি৷ এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে?''

ফরিদা আক্তারের কথায়, ‘‘জিএম ফুড বিটি বেগুন বাংলাদেশের বেগুন চাষীদের নিঃস্ব করছে৷ আর এবার গোল্ডেন রাইস বাংলাদেশের চাষীদের কাছ থেকে ধানের অধিকারও কেড়ে নেবে৷''

প্রসঙ্গত, বহুজাতিক কোম্পানি সিনজেনটা-র সঙ্গে চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে বিরি এই প্রযুক্তি নিয়েছে৷ এই প্রযুক্তি আবিষ্কার করেন সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির অধ্যাপক ইগনো প্রটেকাস এবং জার্মানির ফ্রাইবুর্গ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক পেটার বায়ার

গোল্ডেন ধানের চাষ কি বাংলাদেশের জন্য নেতিবাচক? আপনার মতামত জানান নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ