আর্জেন্টিনায় ফুটবল খেলা চলছিল ডেফেন্সোরেস ডি বেলগ্রানো এবং ইউভেন্টুড ইউনিডার মধ্যে৷ তবে দুই দলের ২২ খেলোয়াড়ের কেউ নন, ম্যাচের নায়কে পরিণত হয়েছে এক কুকুর৷ ‘অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতায়' কুকুর ফুটবলারই জয় করেছে সবার মন৷
বিজ্ঞাপন
ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট প্রায় শেষের দিকে৷ এরই মধ্যে ৩ গোল খেয়ে বসেছে ইউভেন্টুড৷ কিন্তু প্রতিপক্ষের জালে একবারও বল জড়াতে পারেনি তারা৷
শেষ মুহূর্তে বেলগ্রেনোর গোলকিপারের ভুলে এসেছিল সে সুযোগ৷
প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকিয়ে গোলকিপার ব্রায়ান লেয়ান্দ্রো অলিভেরা বলে শট নিতে গেলে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ইউভেন্টুডের এক খেলোয়াড় পা বাড়িয়ে দেন৷ তাঁর পায়ে লেগে বল দ্রুত গতিতে ছুটছিল গোলপোস্টের দিকে৷ ডি বক্সের ভেতরে বল ঠেকানোর জন্য কেউ নেই৷
স্বাভাবিক সময়ে হয়তো নিশ্চিত গোল ধরে নিয়ে আনন্দে মেতে উঠতে পারতো ইউভেন্টুড৷ কিন্তু তা হতে দিলো না এক নেড়ি কুকুর৷ হঠাৎই দেখা গেল গোলপোস্ট লক্ষ্য করে কুকুরটিকে ছুটে আসতে৷ শুধু তাই নয়, বল গোললাইন পেরোনোর ঠিক আগ মুহূর্তে শরীর দিয়ে আটকে দিল বল৷
খেলার অন্যসব দিক বাদ দিয়ে কুকুরের কাণ্ড নিয়েই মেতে উঠেছেন দর্শকরা৷ শুধু তাই নয়, অনলাইনে শেয়ার হওয়ার পর কুকুরটি রীতিমতো সেনসেশনে পরিণত হয়েছে৷কেউ কেউ কুকুরটিকেই ম্যাচসেরা ঘোষণার দাবিও তুলেছেন৷
ইএসপিএন ইউকের ইউটিউব চ্যানেল থেকে আপলোড হওয়া ভিডিওটি দেখা হয়েছে প্রায় দুই লক্ষ বার৷
এডিকে/এসিবি
মানুষের আনন্দ, জীবজন্তুর আতঙ্ক
বিভিন্ন রকম আতশবাজি পুড়িয়ে গোটা বিশ্ব ইংরেজি নববর্ষকে স্বাগত জানায়৷ বাজির শব্দ মানুষের জন্য আনন্দ বয়ে আনলেও পশু-পাখির জন্য যে তা যন্ত্রণাদায়ক, সেটা ভেবে দেখেছেন কি? ভেবেছেন শব্দদূষণেরও যে কারণ ‘ফায়ারওয়ার্কস’?
ছবি: picture-alliance/prisma/M. Ludwig
নিউ ইয়ার্স ইভ
প্রাণীদের কান যে খুবই সংবেদনশীল, তা আমরা অনেকেই জেনেছি কুকুরের আচরণ দেখে৷ আশেপাশের সামান্য শব্দেই কুকুরকে আমরা দেখেছি সতর্ক হয়ে যেতে৷ তবে শুধু কুকুর নয়, জোড়ে শব্দ হলে তা প্রায় সব প্রাণীর কানেই বিকট আওয়াজ বলে মনে হয়৷ আর তখন ওরা প্রচণ্ড ভয় পায়, হয় আতঙ্কিত৷
ছবি: picture-alliance/Mary Evans Picture Library
কুকুর এবং বেড়াল
কুকুর আর বেড়ালের কান খুবই সংবেদনশীল৷ ওদের জন্য বাসার এবং আলমারির দরজাগুলো খুলে রাখুন, যাতে প্রয়োজনে ওরা নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নিতে পারে৷ তবে ওদের অন্য কোথাও নিয়ে না গিয়ে বাড়িতেই রাখবেন৷ তা না হলে কুকুর এবং বেড়াল আগে থেকেই আতঙ্কে থাকবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পাখি বা ছোট প্রাণী
‘নিউ ইয়ার্স ইভ’ বা নতুন বছরকে বরণ করার আগেই পাখি বা ছোট প্রাণীদের জানালা বা দরজার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন৷ পর্দা টেনে দিন, ফেলে দিন ‘শাটার’৷ আরো ভালো হয় যদি আপনার পোষা পাখি বা প্রাণীটিকে হঠাৎ ভয় পাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে খাঁচার ওপর একটি তোয়ালে বা চাদর দিয়ে ঢেকে দেন৷
ছবি: Victoria Dannemann
হালকা মিউজিক
বাড়িতে স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখুন৷ প্রয়োজনে হালকা ‘মিউজিক’ বা সংগীত চালিয়ে রাখতে পারেন, যাতে বাইরের বিকট শব্দগুলো সহজে ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে এবং পোষা প্রাণীর কাছে পরিবেশটা অন্যরকম মনে না হয়৷
ছবি: Fotolia/javier brosch
পশু ডাক্তারের পরামর্শ
এরকম পরিস্থিতিতে পোষা প্রাণীকে শান্ত রাখার জন্য অনেকেই তাদের ঘুমের ওষুধ খাওয়ান৷ এক্ষেত্রে পশু ডাক্তারের পরামর্শ, ওষুধ সেবন করানোর তিন-চারদিন আগে থেকেই আপনার প্রিয় প্রাণীটিকে অ্যামিনো অ্যাসিড দেয়া উচিত৷ এতে করে তার শরীরে ঘুমের ওষুধ ধীরে ও ভালোভাবে কাজ করতে পারবে৷