গ্রাউন্ড জিরোতে হাজারো মানুষের ভিড়
১১ সেপ্টেম্বর ২০০৮![](https://static.dw.com/image/3637302_800.webp)
২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার পর কেবল আমেরিকানদের জীবনই পাল্টে যায়নি পাল্টে গিয়েছে গোটা বিশ্ব পরিস্থিতি৷ স্মরণকালের ঐ ভয়ংকর সন্ত্রাসী আঘাতে সেদিন কেঁপে উঠেছিলো গোটা বিশ্বের শান্তিকামী মানুষদের হৃদয়৷ ধ্বংসলীলার ভয়াবহতায় হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলো সেদিন নিউইয়র্কবাসী৷
মুসলমান নামধারী সন্ত্রাসীরা সেদিন হাইজ্যাক করেছিলো চারটি যাত্রীবাহি বিমান৷ যার দুটি আঘাত হানে নিউইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের দুটি টাওয়ারে৷ বাকি দুটি বিমানের একটি পেন্টাগনে এবং অপরটি পেনসিলভানিয়াতে বিধ্বস্ত হয়৷ নির্মম এ হামলায় প্রাণ হারায় ৯৫ টি দেশের প্রায় পৌনে তিন হাজার নাগরিক৷
কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয় গোটা পৃথিবীর ইতিহাসেই এমন ঘটনা বিরল৷ দিনটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার টুইন টাওয়ারের ধ্বংসস্থল গ্রাউন্ড জিরোতে সমবেত হন কয়েক হাজার মানুষ যাদের মধ্যে ছিলেন সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনেরা৷ স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে এগারোই সেপ্টেম্বরের স্মরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ এতে নেতৃত্ব দেন নিউইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ৷
সাত বছর আগে মাত্র ১৭ মিনিটের ব্যাবধানে সন্ত্রাসীদের হাতে হাইজ্যাক হওয়া দুটি বিমান আছড়ে পড়েছিলো টুইন টাওয়ারে৷ সে জন্য আলাদাভাবে দু বার নীরবতা পালন করা হয়৷ এরপর টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের নাম পড়ে শোনান তাদের স্বজনেরা৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি এসময় হোয়াইট হাউস থেকে নীরবতা পালন করেন৷ পেন্টাগনে দেয়া এক বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট বুশ সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, এগারোই সেপ্টেম্বরের বীরদের প্রতি আমাদের সবসময় শ্রদ্ধা থাকবে৷ তাদের আত্মত্যাগের কথা আমরা ভুলবো না৷
এদিকে গ্রাউন্ড জিরোর আশপাশে এদিন নেয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যাবস্থা৷ সেখানকার আশপাশের সবরাস্তা বন্ধ করে দেয় নিরাপত্তা বাহিনী৷
এদিকে দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জন ম্যাককেইন ও বারাক ওবামার একসঙ্গে গ্রাউন্ড জিরোতে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে৷ এজন্য তারা এদিন তাদের প্রচারাভিযানও বন্ধ রেখেছেন৷