1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রাউন্ড জিরোর কর্মীরা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন

১২ মার্চ ২০১০

নিউইয়র্কে এগারোই সেপ্টেম্বরের হামলার পর ধ্বংসস্তুপ সরাতে যাঁরা কাজ করেছেন তাদের ৬৫৭ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ৷ ইতিমধ্যে এই বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তিও হয়েছে৷

সন্ত্রাসী হামলায় এভাবেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারছবি: AP

বিগত ২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর ধ্বংসস্তুপ সরাতে সেখানে কাজ করেন প্রায় ১০ হাজার দমকল কর্মী ও নির্মাণ শ্রমিক৷ আর নিরাপত্তা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেন হাজার হাজার পুলিশ সদস্য৷ দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের একটানা কাজ করে যেতে হয়েছে হামলাস্থল গ্রাউন্ড জিরোতে৷ সন্ত্রাসী হামলার যে নির্মম ধ্বংসযজ্ঞ তাঁরা এসময় প্রত্যক্ষ করেছেন, তার ফলে কেবল শারীরিক নয় মানসিক ধকলও সইতে হয়েছে তাঁদের৷ ধ্বংসস্তুপ সরানোর কাজ শেষ হওয়ার পর দেখা গেছে যে, এসব মানুষের মধ্যে অনেকে নানা কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন৷ অনেকে আবার মানসিকভাবেও ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন৷ তাই শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যহানির ক্ষতিপূরণ চেয়ে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ হাজার দমকল কর্মি, নির্মাণ শ্রমিক এবং পুলিশ সদস্য মার্কিন আদালতে মামলা দায়ের করেন৷

ছবিটি ২০০৪ সালে তোলা, টুইন টাওয়ারের ধ্বংসস্তুপ সরানোর পর গ্রাউন্ড জিরোর দৃশ্যছবি: AP

শুক্রবার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ক্যাপটিভ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এসব ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে ক্ষতিপূরণ দিতে একটি চুক্তি হয়েছে৷ এজন্য তাঁদের মোট ৬৫৭ মিলিয়ন ডলার বা ৪৭৯ মিলিয়ন ইউরো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে৷ অর্থাৎ, প্রতিজন গড়ে প্রায় ৬৫ হাজার ডলার করে ক্ষতিপূরণ পাবেন৷ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাস্যালা বলেন, এই চুক্তির ফলে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাঁরা তাঁদের স্বাস্থ্যহানির ধরণ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন৷ এছাড়া গ্রাউন্ড জিরোতে কাজ করার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ভবিষ্যতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে যাতে চিকিৎসা করার মত যথেষ্ট অর্থ থাকে সেটাও নিশ্চিত করা হয়েছে৷ উল্লেখ্য, ১১ই সেপ্টেম্বরের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের জন্য এই ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিকে নিয়োগ করেছিল মার্কিন সরকার৷ এদিকে এই সমঝোতা চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে নিউইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ বলেছেন, যাঁরা গ্রাউন্ড জিরোতে কাজ করেছেন তাঁদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য নগর কর্তৃপক্ষ দ্রুত কাজ করেছে৷ এবং ভবিষ্যতেও তাঁদের চিকিৎসা সুনিশ্চিত করা হবে৷

তবে এই চুক্তিকে সকলেই স্বাগত জানাননি, যেমন নিউইয়র্কের দমকল কর্মী কেনি স্পেখ্ট৷ ২০০৮ সালে তাঁর শরীরে থাইরয়েড ক্যান্সার ধরা পড়ে৷ মাত্র ৩২ বছর বয়স্ক স্পেখ্ট বলেন, ‘‘আমরা ১১ই সেপ্টেম্বরের ঘটনার ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত একটি আইন পাশ করার জন্য কংগ্রেস সদস্যদের চাপ দিয়ে যাচ্ছি৷ এতে ৫৪০ কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণের কথা বলা হয়েছিল৷ আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই সমঝোতা চুক্তি আগে কেন করা হয়নি৷'' ওদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চুক্তিটি কার্যকর হতে হলে যাঁরা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন তাঁদের ৯৫ ভাগকে এতে সই করতে হবে৷ নয়তো সমঝোতা চুক্তিটি কার্যকর হবে না৷ তাঁরা আরও জানিয়েছেন, ক্ষতিপূরণের অর্থ পেতে হলে স্বাস্থ্যহানির উপযুক্ত প্রমাণ দিতে হবে৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ