গ্রাউন্ড জিরো: স্মৃতিস্তম্ভ আর নির্মাণকাজের স্থান
১০ সেপ্টেম্বর ২০১১![Die Baustelle am Ground Zero, wo Larry Silverstein, us-amerikanischer Investor, die Twin Towers in New York wieder aufbauen will. Frei zur Veröffentlichung unter Angabe der Quelle, zur Verfügung gestellt von der Pressestelle der Silverstein Properties. Rolf Wenkel, DW Wirtschaft](https://static.dw.com/image/15375427_800.webp)
এক কথায় বলা যায়, স্মৃতিস্তম্ভ আর নির্মাণকাজের স্থান৷ অর্থাৎ একদিকে যেমন চলছে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ অন্যদিকে আছে স্মৃতিস্তম্ভ ও জাদুঘর৷
২০০১ সালের ঐ হামলার পর ঊদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে মারা গিয়েছিলেন নিউ ইয়র্ক দমকল বাহিনীর ৩৪৩ জন সদস্য৷ তাদের স্মরণে বানানো হয়েছে ব্রোঞ্জের তৈরি একটি স্মৃতিস্মারক৷
সেদিন যারা নিহত হয়েছিলেন তাদের আত্মীয়স্বজনরা তৈরি করেছেন ‘ট্রিবিউট ডব্লিউটিসি ভিজিটর সেন্টার'৷ হামলার পর টুইন টাওয়ারের ধ্বংসাবশেষের নীচ থেকে পাওয়া নিহতদের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস রাখা হয়েছে ঐ ভিজিটর সেন্টারে৷ এর মধ্যে রয়েছে চার মিটার দীর্ঘ বেঁকে যাওয়া ইস্পাতের তৈরি বিম, আছে ময়লা ঢাকা এক জোড়া জুতা, ভেঙে যাওয়া ব্রিফকেস আর এক দমকল কর্মীর পুড়ে যাওয়া হেলমেট ইত্যাদি৷
টুইন টাওয়ারের ভিত্তিটা যেখানে ছিল সেটা চিহ্নিত করে রাখার জন্য ঠিক ঐ জায়গায় জলাধার তৈরি করা হচ্ছে৷ ইতিমধ্যে জলাধারের চারপাশে চারশো ওক গাছ লাগানো হয়েছে৷
এছাড়া নির্মিত হচ্ছে ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার মেমোরিয়াল'৷ যেখানে থাকবে একটি জাদুঘর ও স্মৃতিস্মারক৷ আগামীকাল এই মেমোরিয়ালের কিছু অংশের উদ্বোধন হবে৷
এসব স্মৃতিচারণমূলক সাইট ছাড়াও সেখানে তৈরি হচ্ছে কয়েকটি উঁচু ভবন, যেগুলোর কাজ শেষ হবে ২০১৪ সালে৷ এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভবনটি হবে ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ১'৷ ৫৪১ মিটার উচ্চতার এই ভবনটিই হবে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উঁচু স্থাপনা৷ মার্কিন স্থাপত্যবিদ ডেভিড চাইল্ডস এর নকশা করেছেন৷ ১০৫ তলা বিশিষ্ট এই ভবনের বেশিরভাগ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে৷
সাবেক টুইন টাওয়ারের স্থানে আরও কয়েকটি ভবন হবে যার নামও রাখা হয়েছে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার৷ তবে প্রতিটি ভবন পরিচিত হবে নাম্বার দিয়ে৷ যেমন ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ২' ভবনটির নকশা করেছেন ব্রিটিশ স্থপতি নরম্যান ফস্টার৷ এই ভবনের উচ্চতা হবে ৪১১ মিটার, যেটি হবে নিউ ইয়র্ক শহরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উঁচু স্থাপনা৷
উল্লেখ্য, নাইন ইলেভেনের সন্ত্রাসী হামলায় মারা গিয়েছিল ২,৭৪৯ জন৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক