1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রিকরা নিজেদের দোষ দেখে না

১৭ জুন ২০১১

দেশ প্রায় দেউলিয়া হতে চলেছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল থেকে পরবর্তী ঋণ পেতে গেলে সরকারি ব্যয় কমাতে হবে৷ কিন্তু গ্রিকরা বিক্ষোভ-প্রতিবাদের পথই বেছে নিয়েছে৷ তা’তে বাকি বিশ্বের দুশ্চিন্তা বেড়েছে৷

পাপান্দ্রেউ কি দেশবাসীদের অর্পিয় সত্য বলতে ভয় পাচ্ছেন?ছবি: dapd

এথেন্সে বিক্ষোভকারীরা এবার রীতিমতো দাঙ্গা করেছে, যার ফলে প্রধানমন্ত্রী পাপান্দ্রেউ আরো চাপে পড়েছেন৷ কিন্তু এর পর? সেটাই হল সমস্যা৷ ২০০৮ সালে লাটভিয়া'র যখন দেউলিয়া হবার অবস্থা হয়েছিল, তখন লাটভিয়া ইইউ-আইএমএফ থেকে ঋণ পায় এবং পরের তিন বছরে লাটভিয়া ব্যয় হ্রাস করে, কর বাড়িয়ে এখন আবার আন্তর্জাতিক অর্থ বাজারে ঋণযোগ্যতা অর্জন করেছে৷ গ্রিসকেও সেই পথেই যেতে হবে৷ কিন্তু গ্রিস তা করছে না অথবা করতে চাইছে না৷

গ্রিস একটা নতুন পাঁচসালা, ২৮ বিলিয়ন ইউরো ব্যয়সঙ্কোচের পরিকল্পনা দিয়েছে বটে৷ বাজেট ঘাটতি ২০০৯ সালে জিডিপির ১৫ শতাংশ থেকে ২০১০ সালে জিডিপির ১০ শতাংশে নামিয়েছে৷ কিন্তু গ্রিসের মোট সরকারি ঋণ হল ৩৪০ বিলিয়ন ইউরো৷ দেশের এক-চতুর্থাংশ কর্মী সরকারি চাকুরে৷ ওদিকে কর ফাঁকি দেওয়ার প্রথাটা সর্বত্র: দেশের অর্থনীতির এক-চতুর্থাংশই নাকি কোনো ধরনের কর দেয় না৷ রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো বিপুল লোকসানে চলে: ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ সাল অবধি তাদের লোকসানের পরিমাণ ছিল ১৩ বিলিয়ন ইউরো৷ অথচ গ্রিকরা এই বাস্তব পরিস্থিতি মেনে নিতে রাজি নয়৷ তারা এখনও এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীকে, নয়তো সবাই মিলে সরকার কি রাজনীতিকদের দোষ দিচ্ছে৷

পথের বিক্ষোভ ক্রমেই মারমুখি হয়ে উঠছে৷ছবি: dapd

পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝানোটা প্রধানমন্ত্রী পাপান্দ্রেউ'র কাজ৷ সে কাজে তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন৷ রাজধানী এথেন্সের রাস্তায় ক্ষিপ্ত জনতা দাঙ্গা করার পর তিনি সাময়িকভাবে একটি জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করার কথা বলেছিলেন বটে, কিন্তু পরে সেটা প্রত্যাহার করে শুধু মন্ত্রীসভার রদবদল করেছেন৷ তা'তে গ্রিক নাগরিকদের কেন, গ্রিসের দেনদারদেরও ঠাণ্ডা করা যাবে না৷

ওদিকে গ্রিসের বাইরে গ্রিসকে নিয়ে যে উদ্বেগ কতোটা বাড়ছে, গ্রিকরা বোধহয় সেটা এখনও খেয়াল করেনি৷ এটা শুধু ইউরোর স্থায়িত্বের প্রশ্ন নয়, অর্থজগতে আরেকটা সঙ্কট ডেকে আনার ক্ষমতা রাখে এই গ্রিক সঙ্কট৷ ওদিকে গ্রিসকে সাহায্য করার পন্থা নিয়ে এখন খোদ আইএমএফ, ইইউ আর ইসিবি'র মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে৷ অথচ মাস শেষ হওয়ার আগেই গ্রিসের ১২-১৩ বিলিয়ন ইউরো সাহায্য চাই৷ নয়তো দেউলিয়া হবে ইউরো এলাকার এই দেশটি৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ