গ্রিনল্যান্ডের বরফ গলছে, মধ্যরাত্রির সূর্যের আলোকে৷ আর এক বৃদ্ধ ওঝা দূরদেশ থেকে আগত অতিথিদের বোঝাচ্ছেন, আগামীতে কী বিপর্যয় আসতে পারে৷ এটা ব্যবসা না আন্তরিক আবেগ, সেটা কে বলবে?
ছবি: picture-alliance/dpa
বিজ্ঞাপন
গলছে বরফ, আসছে বিপর্যয়
04:22
This browser does not support the video element.
সামনে হিমশীতল তুষারের প্রান্তর, যার নাম হিমবাহ, যা দেখতে কয়েক ঘণ্টা ব্যাপি এই পদযাত্রা৷ যাত্রীরা সবাই নিশ্চুপ৷ এমনকি খাওয়াদাওয়াও বন্ধ৷ লক্ষ্য একটাই: মস্তিষ্কের মধ্যে যে চিন্তার চক্রটা অনবরত ঘুরে চলে, সেটিকে থামানো, অন্তত তার গতিবেগ কমানো৷ গ্রিনল্যান্ডের ওঝা আঙ্গানগাক আঙ্গাককোরসুয়াক-এর মতে, ‘‘অধিকাংশ মানুষের প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্ক ঘুচে গেছে৷ একদিন আমাদের সবাইকে শিখতে হবে, কী করে শুধু আমরা যা ভাবছি আর আমরা যা বোধ করছি, তাই নিয়ে আমরা একা থাকতে পারি৷ কিন্তু যেহেতু আমরা মানুষ, সেহেতু আমাদের চিন্তাভাবনাগুলোও খুব শক্তিশালী৷''
টুরের আরেকটা হাইপয়েন্ট হলো গ্রিনল্যান্ডের মানুষরা যাকে বলেন ‘বিগ আইস' – বিরাট বরফ৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে গ্রিনল্যান্ডের বরফের ঢাকা এমনভাবে কমে এসেছে, যা সত্যিই নাটকীয়৷ আঙ্গানগাক যা নিয়ে বিশেষভাবে চিন্তিত৷ তাঁর জাতির মানুষদের হয়ে তিনি দশকের পর দশক জাতিসংঘে কথা বলেছেন – তবে লাভ কিছুই হয়নি৷ আঙ্গানগাক আঙ্গাককোরসুয়াক বলেন, ‘‘মানবজাতি হল এক কমবয়সি ছেলের মতো৷ কাল কী হবে, তা নিয়ে ভাবে না৷ আজ কী আছে, শুধু তাই নিয়েই ব্যস্ত৷ যখন দেখি মানুষজন মনোযোগ দিতে ভুলে গেছে, তখন দুঃখ লাগে৷ ওরা আর শুনতে জানে না৷ কিন্তু এখানে ওরা শোনে; আর শুনতে শুরু করলে, ওরা বদলায়ও বটে৷ কিন্তু এখন বড্ড দেরি হয়ে গেছে৷ বিগ আইস গলে যাবে, তোমার জীবদ্দশাতেই৷ বড় দেরি হয়ে গেছে৷ বিপর্যয় আসছে, এমন বিপর্যয়, যা তুমি-আমি কল্পনাও করতে পারব না৷''
হিমবাহের কান্না
বরফে ছাওয়া অ্যান্টার্কটিকা থেকে প্রতি বছর ১৬ হাজার কোটি টন বরফ গলে যাচ্ছে৷ সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে বরফ গলার হার চার বছর আগের তুলনায় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে, যাতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রতি বছর বাড়তে পারে আধা মিলিমিটার করে৷
ছবি: AP
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে মহাসাগরগুলোর উষ্ণ স্রোত এসে পৌঁছাচ্ছে অ্যান্টার্কটিকায়৷ এর সংস্পর্শে এসে গলে যাচ্ছে পশ্চিম, পূর্ব এবং অ্যান্টার্কটিকা উপদ্বীপের গ্লেসিয়ার বা হিমবাহগুলো৷ বরফ গলার এই হার ক্রমশ দ্রুততর হচ্ছে৷
ছবি: ESA/dpa
গলছে বরফ
অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশকে ঢেকে রাখা বরফের স্তর কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে – তার ওপর বিজ্ঞানীরা নজর রাখছেন ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের মহাকাশযান ক্রাইয়োস্যাটের মাধ্যমে৷ ক্রাইয়োস্যাটের পাঠানো ছবি পরীক্ষা করে তাঁরা বলছেন, সেখানে বরফ স্তরের উচ্চতা প্রতিবছর গড়ে দুই সেন্টিমিটার করে কমছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/NASA
যাবে না থামানো!
‘জিওগ্রাফিক্যাল রিসার্চ লেটার’ জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যান্টার্কটিকার ছয়টি হিমবাহ যেভাবে গলে যাচ্ছে তা আর থামানো সম্ভব নয়৷ বরফের এই নদীগুলো হয়ত কয়েকশ বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয়ে যাবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নিমজ্জন
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানিয়েছিলেন, ১৯৫০ থেকে এখন পর্যন্ত অ্যান্টার্কটিকার তাপমাত্রা বেড়ে গেছে ২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকায় যে পরিমাণ বরফ রয়েছে তার সব যদি গলে যায়, তাহলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা ১১ ফুট বেড়ে যাবে৷
ছবি: NASA's Goddard Space Flight Center
বিপদ উত্তরেও
উত্তর মেরুর সাগরে বরফের পরিমাণ ২০১২ সালের অক্টোবরের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়লেও ১৯৮০ সালের তুলনায় বরফের পরিমাণ এখন প্রায় অর্ধেক৷ যুক্তরাজ্যের গবেষকরা বলছেন, ১৯৮০ সালের অক্টোবরে উত্তর মেরুর সাগরে বরফের পরিমাণ ছিল ২০ হাজার ঘন কিলোমিটার৷ সেখানে গতবছর বরফ পাওয়া গেছে মাত্র নয় হাজার ঘন কিলোমিটার এলাকায়৷
ছবি: picture alliance/ZB
ইতিহাসের সাক্ষী
অস্ট্রিয়ার আল্পসে পাস্টেয়ার্সে হিমবাহ গলে যাওয়ার হার সাম্প্রতিক সময়ে নাটকীয় হারে বাড়ছে৷ ফলে হিমবাহে বরফের উচ্চতা বছরে প্রায় ৫০ ফুট করে কমছে৷ ১৯৬৮ সালে হিমবাহটি কোন উচ্চতায় বইতো – তা দেখানো হয়েছে ২০০৬ সালে তোলা এই ছবিতে৷
ছবি: picture-alliance/OKAPIA
প্রকৃতির প্রতিশোধ
মানুষ্যসৃষ্ট দূষণেই বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর জলবায়ু৷ এর প্রভাব কতটা ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনছে – তা এক প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেখিয়েছেন ব্রাজিলের শিল্পী নেলে আজেভেদো৷ ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ডের সহযোগিতায় ২০০৯ সালে জার্মানির বার্লিনে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়৷
ছবি: AP
7 ছবি1 | 7
অশনি সংকেত
বরফ কীভাবে গলছে, সেটা স্বচক্ষে দেখা এই টুরের বহু অংশগ্রহণকারীর পক্ষে সবচেয়ে আবেগপূর্ণ মুহূর্ত – যা তাদের ভাবিয়েও তুলেছে৷ মার্কিন থেরাপিস্ট শ্যানিন ডক্রে জানালেন, ‘‘আমি প্রায় কেঁদে ফেলেছিলাম৷ এই ভেঙে পড়ার শব্দ, বরফের পাহাড় যখন ভেঙে পড়ে আর তার আওয়াজটা শুনতে পাওয়া যায়... যেন যুদ্ধ চলেছে, যেন বাজ পড়ছে, কিন্তু আরো গভীর, শক্তিশালী, মায়াবি... আমি অনুভব করতে পেরেছি৷'' ডাচ থেরাপিস্ট মিরান্ডা স্টকমানস বলেন, ‘‘আমরা পৃথিবীটাকে নিয়ে কী করছি, সে বিষয়ে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত, বলে আমি মনে করি৷ আমরা কী নিচ্ছি, আমরা যে বড় বেশি নিচ্ছি, আমাদের যা প্রয়োজন, তার চেয়ে বেশিই নিচ্ছি, এই সব৷ আমরা যত সচেতন হব, ততই আমরা আরো বেশি যত্ন ও শ্রদ্ধা নিয়ে এই সম্পদ ভোগ করতে পারব৷'' জার্মানি থেকে এসেছেন মাটিয়াস প্ল্যোনৎস্কে, তিনি বলেন, ‘‘দেখে ভয় লাগে আর নিজেকে দায়ী বলে মনে হয়৷''
এই ধরনের টুরের সমালোচকরা বলেন, এ এক ধরনের ব্যবসা; একটু অন্য ধরনের অ্যাডভেঞ্চার ট্রিপ ছাড়া আর কিছু নয়৷ তার সঙ্গে কিছু উদ্ভুটে বিশ্বদর্শন মেশানো আছে৷ আঙ্গানগাক ও তাঁর টুরের অংশগ্রহণকারীরা অবশ্য সেটা মানেন না৷ আঙ্গানগাক আঙ্গাককোরসুয়াক বলেন, ‘‘আমি লোকের পকেট থেকে টাকা বার করার জন্য এখানে আসিনি৷ আমি এখানে এসেছি তাদের কিছু দেবার জন্য৷
যেখানে মঙ্গলগ্রহের চেয়েও বেশি শীত
যুক্তরাষ্ট্র আর ক্যানাডার একটা অংশে পড়েছিল মঙ্গলগ্রহের চেয়েও বেশি শীত৷ শৈত্যপ্রবাহ এবং তুষার ঝড়ে জনজীবন বিপন্ন৷ ডয়চে ভেলের ইংরেজি বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়ার অনুসারীদের পাঠানো ছবিতে দেখুন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু এলাকার জনজীবন৷
ছবি: picture-alliance/AP Images/M. Fortner
বরফ ঢাকা শহরের পথে ভেঙে পড়া গাছ
যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানা রাজ্যে জর্ডান শহরের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে নেমে গিয়েছিল৷ এমন শীতে মানুষের কষ্ট কী পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে তা কল্পনা করা কঠিন নয়৷ এ ছবিটি মাইকেল অ্যালডেন পাঠান মাইন রাজ্যের লুসার্ন থেকে৷ বিদ্যুৎ ছিল না, প্রচণ্ড ঝড়ে গাছপালা ভেঙে পড়ছিল৷ অ্যালডেনের ছবিতে অবশ্য বিরূপ প্রকৃতির সৌন্দর্যই ফুটে উঠেছে৷
ছবি: Michael Alden
প্রকৃতি কখন সদয় হবে!
ইন্ডিয়ানার সাউথ বেন্ড থেকে এ ছবি পাঠিয়ে কারস্টেন হাইভোনেন লিখেছেন, ‘‘আমাদের এখানে ১৩ ইঞ্চি পুরু বরফ জমেছে৷ তাপমাত্রা নেমে গেছে মাইনাস ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে৷ এমন শীতে শ্বাস নিতেও কষ্ট হয়৷ আবহাওয়া কখন উষ্ণ হবে, কখন রাস্তাঘাট পরিষ্কার করা হবে – আমরা এখন তারই অপেক্ষায় আছি৷ বাচ্চারা দু’দিন ধরে স্কুলে যেতে পারছে না, আগামী কালও বোধহয় যেতে পারবে না৷’’
ছবি: Kristen Hyvonen Amsler
জুরি আছে আনন্দে
কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ৷ শীতে মানুষ কষ্টে মরছে আর পাহাড়ি কুকুর জুরির এ সময়েই মহা আনন্দ৷ তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নামলে ও বরফের বুকে খেলতে চায়, চায় কেউ ওর সঙ্গে থাকুক, ওর সঙ্গে আনন্দ করুক৷ ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শ্যাম্পেইন থেকে জুরির এই ছবি পাঠিয়ে এরিন কিরবি জানতে চেয়েছেন, ‘‘এমন শীতের মধ্যে কে ওর সঙ্গে খেলবে!’’
ছবি: Erin Kirby
বরফের সঙ্গে যুদ্ধ
মিশিগানের মেরিল থেকে এ ছবি পাঠিয়েছেন জুলিয়েট জাভার্স৷ শহরের পথ-ঘাট ঢেকে গেছে বরফে৷ চলছে বরফ সরিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করার চেষ্টা৷
ছবি: Juliette Zavarce
বরফের বাগান
যুক্তরাষ্ট্রের মইনেস থেকে ছবিটি পাঠিয়েছেন মারিয়ানা লিঙ্ক-আলেকজান্ডার৷ আইওয়া অঙ্গরাজ্যে এ শহরটির বর্তমান অবস্থা জানাতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘‘ওয়েস্ট ডেস মইনেসে আমার বাড়ির সামনের বাগান৷ গতরাতে এখানে তাপমাত্রা মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে নেমে যায়, শৈত্যপ্রবাহের ঠান্ডা তো মাইনাস ৪০-এরও নীচে৷’’ এমন শীতে মারিয়ানার বাগানটা কিন্তু অন্য রূপে সেজেছিল৷
ছবি: Marianne Link-Alexander
অপরূপ প্রকৃতি
দুঃসময়েও কখনো কখনো মানুষ আনন্দ খুঁজে নেয়৷ মিশিগানের মেরিলে আলিরিও জাভার্স শীতের অত্যাচারে কাবু হতে চান না৷ তাই তিনি ব্যালকনি থেকেই ক্যামেরাবন্দি করেছেন বরফে ঢাকা প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যকে৷
ছবি: Juliette Zavarce
জলপ্রপাত এখন বরফসমুদ্র
শন ও’কনর থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়োতে, চ্যাগরিন জলপ্রপাতের কাছে৷ এই শীতে সব জল জমে বরফ৷ মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পানি বরফ না হয়ে থাকে কী করে!
ছবি: Shawn O'Conner
বরফ ঝরায় ঘাম
মাইনাস ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ইন্ডিয়ানার হান্টিংটন শহরও বরফে বরফে সয়লাব৷ এ ছবির প্রেরক বরফ সরানোর যন্ত্র নিয়েই নেমেছিলেন কাজে৷ গাড়ি চালিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য পথ করতে পাক্কা দু’ঘণ্টা খাটতে হয়েছে তাঁকে৷ যুক্তরাজ্য সরকার এমনি এমনিই তো আর জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়া বাকি সবার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি!
ছবি: Dan Herber
বরফাচ্ছাদিত
মাইনের পোর্টল্যান্ড থেকে জেমস কোলবাথের পাঠানো ছবি৷ দেখুন, বাড়ি এবং বাড়ির আশপাশ কত উঁচু বরফে ঢাকা৷
ছবি: James Colbath
খেটে মরা
মিশিগান থেকে এ ছবি পাঠিয়েছেন রন সোন৷ বাড়িতে তখন শুধু তাঁর ছোট ছেলেটিই ছিল৷ কাজ সেরে একে একে সবাই বাড়ি ফিরছে৷ বরফ সরিয়ে সেই ছেলেকে প্রথমে তাঁর দাদির জন্য, তারপর বাবা-মায়ের বাড়ি ফেরার পথ করে দিতে হয়েছে৷ পরে আরো একবার বরফ সরিয়ে গাড়ি আসার পথ করতে হয়েছিল তাঁকে৷ মাইনাস ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সাত ইঞ্চি পুরু বরফ তিনবার সরানোর পর শরীর আর চলছিল না৷
ছবি: Ron Sohn
10 ছবি1 | 10
আসতে অবশ্যই টাকা লাগে৷ এই ক্যাম্প বানাতে টাকা লাগে৷ তার জন্য টাকা দিতে হয়েছে৷'' মার্কিন থেরাপিস্ট শ্যানিন ডক্রে-ও বলেন, ‘‘এটা কি আধ্যাত্মিক ব্যাপারস্যাপার দেখিয়ে পয়সা করার একটা পন্থা? আমি আমার মনকে ভালোভাবে চিনি আর তফাৎটাও জানি৷''
মধ্যরাত্রির সূর্যের আলোকে বেশ কয়েক ঘণ্টা হেঁটে পাহাড়ে উঠতে হয় – এই পাহাড়ে ওঠাটাই সবচেয়ে কষ্টকর৷ তবুও কেউ হাল ছাড়েন না, পিছিয়ে থাকেন না৷ এইজন্যেই তো এরা এখানে এসেছেন৷ কারণ আজ রাতে প্রকৃতির এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখতে পাওয়া যাবে৷ আঙ্গানগাক আঙ্গাককোরসুয়াক বললেন, ‘‘আপনারা এনার্জিটা অনুভব করতে পারছেন কিনা জানিনা৷ এদিকে মাঝরাতের সূর্য – ওদিকে পূর্ণিমার চাঁদ৷ একে অপরের সম্পূর্ণ বিপরীত৷''