1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রিনহাউসের ভেতর বসতবাড়ি!

সারা নেয়ালে/এসবি১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

নার্সারির মধ্যেই বাড়ি তৈরি করেছেন এক দম্পতি৷ বাড়ি ও কাজের জায়গা একই ছাদের নীচে৷ তাঁদের সঙ্গে পরিচয় না হলে এমন অভিনব জীবনযাত্রার নানা দিক বোঝাই সম্ভব নয়৷

Wohnen im Gewächshaus Videostill Euromaxx
ছবি: DW

প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় মোনিকা টিল নার্সারির দরজা বন্ধ করেন৷ তখন গোটা গ্রিনহাউসে তিনি স্বামীর সঙ্গে একা৷ এমন কাচের সিলিং-এর নীচে সাধারণত টিউলিপ, ফল অথবা ট্রপিকাল গাছপালার সম্ভার দেখা যায়৷ কিন্তু মোনিকা ও টোমাস টিল এখানেই তাঁদের বাসা বেঁধেছেন৷ গ্রিনহাউসের নীচে পাথরের বাড়ি৷ টোমাস বলেন, ‘‘মাথার উপর বাড়তি ছাদ বেশ মনোরম এক অনুভূতি আনে৷ বিশেষ করে উপরে বৃষ্টির ফোঁটা পড়লেও দিব্যি বেরিয়ে গিয়ে সবুজ পরিবেশ উপভোগ করা যায়৷''

টিল দম্পতি বেশ ভোরে উঠে পড়েন৷ সকাল ৬টায় প্রাতরাশ করেন, একেবারে বোটানিকাল গার্ডেনের পরিবেশে৷ অনেক ক্রেতাই জানেন যে টিল পরিবার গ্রিনহাউসে থাকেন৷

কিন্তু ক্রেতারা বন্ধ দরজার সামনে অপেক্ষা করবেন, এমনটা টোমাস টিল ভাবতেই পারেন না৷ তাই নিজেই সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার প্রয়োজন মেটাতে এগিয়ে যান৷ নার্সারির মালিক হিসেবে তিনি বলেন, ‘‘ক্রেতারা জানেন যে এখানে সবসময় কেউ রয়েছে৷ একমাত্র ইতিবাচক বিষয় হলো কাজের জায়গায় যাবার খরচ বাঁচে৷''

সবুজের মধ্যে সংসার

04:14

This browser does not support the video element.

১২০ বর্গ মিটার জায়গায় গাছপালার মাঝে টিল দম্পতি থাকেন৷ এমন সিদ্ধান্তের সপক্ষে টোমাস টিল বলেন, ‘‘এটা আমাদের বসার ঘরের সবুজ অংশ৷ এখানে অনেক রকম গাছপালা রয়েছে৷ আঙুর গাছ একটু উপরে রয়েছে, কারণ গ্রিনহাউস কিছুটা সংরক্ষিত এলাকা বটে৷ (1.41) কালো বাঁশ গাছ শীতকালে কাবু হয়ে পড়ে, আমাদের এখানেও হয়েছে৷ কিন্তু আবার ধকল সামলে উঠবে৷ ইটালি সহ ভূমধ্যসাগর এলাকার ফোটিনিয়া গাছ সবসময়ে সবুজ থাকে, সেটাও এখানে রয়েছে৷ (1.55) আরও আছে ফ্যান পাম গাছ, যা ইটালিতে দেখা যায়৷''

কর্মক্ষেত্রের পাশেই ঘুম থেকে উঠতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন মোনিকা টিল৷ তিনি বলেন, ‘‘একভাবে দেখলে এটা একটা সুরক্ষার খোলস৷ একদিকে খোলামেলা বাড়ি, আমরাও বেশ খোলামেলাভাবে থাকি৷ অন্যদিকে একটা নির্দিষ্ট সীমারেখাও রয়েছে৷ যেমন মাঝেমধ্যে ক্রেতারা এলেও কর্মীরা পেছনদিকের এই অংশে আসেন না৷ সেখানে আমাদের নিজস্ব আস্তানা রয়েছে৷''

গ্রীষ্মে কাচের নীচে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়৷ তখন ছায়ার প্রয়োজন পড়ে৷ টোমাস টিল বলেন, ‘‘খুব গরম পড়লে আমরা নার্সারি সারাদিন অথবা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখি৷ পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হয়৷ যেমন আকাশে সামান্য মেঘ থাকলে একটা অংশ খুলে রাখা যায়৷ তখন উপরের ঘরে টিকে থাকা যায়৷''

যে সংস্থার প্রধান কর্মীদের এত কাছাকাছি বসবাস করেন, সেখানে কাজের পরিবেশ কেমন? নার্সারির কর্মী কারিনা বলেন, ‘‘সহজ পরিবেশ৷ একদিকে নিজেদের মধ্যে ও মালিকদের সঙ্গে খুবই ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে৷ আবার কখনো মালিক দম্পতির মধ্যে মনোমালিন্য হলেও আমরা বুঝতে পারি৷ অর্থাৎ সবকিছু একেবারে প্রত্যক্ষ, খাঁটি৷''

১৯৯৩ সালে টিল পরিবার সাহস করে বাড়ি ও নার্সারি তৈরি স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেন৷ দুজনেই জানতেন, তাঁরা ঠিক কী চাইছেন৷ বাড়ি নির্মাণের পেছনে বেশ কয়েক লাখ ইউরো বিনিয়োগ করে সুফল পাওয়া গেছে৷ তবে নির্মাণের কাজ বেশ কঠিন ছিল৷ সেইসঙ্গে ছিল বিশাল ঝুঁকি৷ কারণ নার্সারির বাজারে প্রতিযোগিতা খুবই বেড়ে গেছে৷

মোনিকা টিল বাসা থেকেই মার্কেটিং-এর কাজ করেন৷ কেনাকাটা করতে তেমন বাইরে যেতে হয় না৷ সবই তো প্রায় বাড়ির আশেপাশে গজায়৷ চারিপাশের প্রকৃতি থেকেই তাঁরা প্রতিদিন নতুন করে তাঁদের শক্তি পান৷

বন্ধু, ভিডিওটি দেখলেন? কেমন লাগলো আমাদের জানাতে ভুলবেন না কিন্তু!

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ