1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘গ্রিন বাসকেট’ সুপারমার্কেট

কারিসা পারমিতা/এসি৭ জুন ২০১৪

খাদ্যপণ্যের বিপণীর সঙ্গে ‘গণসচেতনতার’ কি কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে? গ্রাহকদের রাসায়নিক ও জিন-প্রযুক্তি বর্জিত অরগ্যানিক পণ্য কেনার উৎসাহ দিয়ে জার্মানির একটি সুপারমার্কেট ‘গ্রিন বাসকেট’ বা ‘সবুজ চুবড়ি’ পুরস্কার পেয়েছে৷

ছবি: AFP/Getty Images

সুপারমার্কেট মানে কাঁচাবাজার৷ সেই শাকসবজি, ফলমূল, দুগ্ধ-পনির ইত্যাদি খেয়েই তো মানুষ বেঁচে থাকে৷ কাজেই তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কী থাকতে পারে?

দেখলে এই সুপারমার্কেটটিকে অন্যান্য কাঁচাবাজারের দোকান থেকে খুব আলাদা বলে মনে হবে না, কিন্তু গত বছর এই দোকানটিতে অরগ্যানিক পণ্যের পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে৷ স্থানীয় চাষি ও খামার মালিকদের কাছ থেকেও অনেক বেশি পণ্য আসছে৷ ক্লাউডিয়া ক্লেবাখ এই সুপারমার্কেটের ম্যানেজার৷ ক্লাউডিয়া বোঝালেন, কীভাবে গ্রাহকদের অরগ্যানিক পণ্য কিনতে উৎসাহিত করা যায়৷ তাঁর মতে, ‘‘প্রথমে আমরা গ্রাহকদের এই সব অরগ্যানিক পণ্যের গুণাগুণ বোঝানোর চেষ্টা করে দেখেছি, ও সব এক কান দিয়ে ঢুকে আরেক কান দিয়ে বেরিয়ে যায়৷ তারপর আমরা চাষিদের ডেকে দোকানেই তাদের দিয়ে তাদের পণ্য সম্পর্কে বলতে বলেছি৷ চাষিরা তাদের খামার ও চাষবাসের ছবি এনে দেখিয়েছেন, বুঝিয়েছেন কী ভাবে তারা কাজ করেন৷ এভাবেই ব্যবধান দূর হয়৷''

‘গ্রিন বাসকেট’ সুপারমার্কেট

03:45

This browser does not support the video element.

একটি খামার ক্লেবাখের সুপারমার্কেট থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে৷ এরা ক্লেবাখের স্থানীয় পণ্য-সরবরাহকারীদের মধ্যে পড়েন: গ্রিন ফডার বা কাঁচা ঘাসপাতা থেকে নিজেরাই পশুখাদ্য উৎপাদন করে থাকেন৷ খামারচাষি হলগার ফ্যুর্নস্টাল বললেন, ‘‘খোঁয়াড়টাও খড় দিয়ে ঢাকা৷ এখানে জন্তুজানোয়ার পায়ে শেকল ছাড়াই নড়াচড়া করতে পারে৷ তাদের নড়াচড়া করার জন্য প্রচুর জায়গা আছে৷ খোঁয়াড়ের ভিতরে ও বাইরে একই তাপমাত্রা, একই বাতাস – যা কিনা জন্তুজানোয়ারের পক্ষে ভালো৷''

ঠিক এই খামার থেকেই তাঁর নিজস্ব ‘গণসচেতনতা' কর্মসূচি শুরু করেছিলেন ক্লাউডিয়া৷ নাম দিয়েছিলেন ‘এয়ারফারুংসফেল্ড বাউয়ার্নহোফ' বা ‘খামারের অভিজ্ঞতা'৷ তাঁর ‘গ্রিন বাস্কেট' পুরস্কার পাওয়ার সেটাও একটা কারণ৷ তিনি এবং ওলাফ কেজার-ভাগনার এই নন-প্রফিট গণসচেতনতা কর্মসূচিটি চালান৷ লক্ষ্য হল, জনতাকে অরগ্যানিক কৃষিপণ্য সম্পর্কে সচেতন করা – শুধু শহরের মানুষদের কৃষিখামার দেখানোই নয়৷

‘খামারের অভিজ্ঞতা' কর্মসূচির ওলাফ কেজার-ভাগনার বললেন, ‘‘কীভাবে পশুপালন করতে হয়, খামারচাষিরা সেটা ব্যাখ্যা করছেন না; বরং অতিথিরা নিজেরাই স্বাধীনভাবে আবিষ্কার করছেন, কীভাবে পশুপালনের কাজ চলে৷''

প্রতিটি গন্ধ, প্রতিটি স্পর্শ যেন একটি সংলাপ৷ অতিথিরা পায়ে হেঁটে খামার দেখেন আর সেই সঙ্গে তাদের মনে জাগে নানা প্রশ্ন৷ সেখান থেকেই চাষিদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা৷ চাষিরা জানেন যে, অতিথি-দর্শকদের এই সব প্রশ্ন হল খামারের পণ্য ও ব্যবসা সম্পর্কে সেরা ফিডব্যাক৷ খামারচাষি ইউডিট গার্টে-মেৎস বললেন, ‘‘আমাদেরও অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে৷ আমরা এখন জানি, কীভাবে অভ্যাগতদের সাথে ব্যবহার করতে হয়, কীভাবে তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়৷ কীভাবে হাল্কা মেজাজে থাকতে হয়: সব কিছু খুব ব্যক্তিগতভাবে না নেওয়াই ভালো৷''

চাষিরা উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে, গ্রাহকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আদানপ্রদান থেকে তারা নিজেরাই লাভবান হন৷

বিশেষ ঘোষণা: এই সপ্তাহের অন্বেষণ কুইজে অংশ নিতে ক্লিক করুন এখানে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ