1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজতুরস্ক

গ্রিসের সঙ্গে আলোচনা বাতিল করলেন এর্দোয়ান

২৪ মে ২০২২

গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীর উপর বেজায় চটেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তুরস্ক-গ্রিসের প্রস্তাবিত আলোচনাও বাতিল।

গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীর কথায় ক্রুদ্ধ এর্দোয়ান বৈঠকই বাতিল করে দিলেন।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীর কথায় ক্রুদ্ধ এর্দোয়ান বৈঠকই বাতিল করে দিলেন। ছবি: Turkish Presidency/AP/picture alliance

গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস ওয়াশিংটনে তুরস্কের নাম না করে বলেছেন, অ্যামেরিকা যেন তাদের অস্ত্র না বিক্রি করে। তারপরই প্রচণ্ড রেগে গিয়ে এর্দোয়ান জানিয়ে দিয়েছেন, গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি আর কখনো আলোচনায় বসবেন না। এর্দোয়ানের দাবি, মিতসোতাকিস অ্যামেরিকাকে অনুরোধ করেছেন, তারা যেন তুরস্ককে এফ ১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রি না করে। তাছাড়া তিনি অ্যামেরিকার তুরস্ক-বিরোধী মুসলিম ধর্মীয় নেতার সঙ্গেও দেখা করেছেন।

এর্দোয়ান জানিয়েছেন, ''এই বছর গ্রিসের সঙ্গে কৌশলগত বৈঠক হওয়ার কথা ছিল তুরস্কের। কিন্তু আমার বইয়ে মিতসোতাকিস নামে কোনো অধ্যায় আর নেই।'' সাংবাদিকদের এর্দোয়ান বলেছেন, ''আমি কখনোই এমন কোনো রাজনীতিকের সঙ্গে বৈঠক করব না, যিনি প্রতিশ্রুতি পালন করেন না।''

মিতসোতাকিস কী বলেছেন?

গত ১৭ মে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দিয়েছেন মিতসোতাকিস। সেখানে তিনি অ্যামেরিকাকে সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেন-সংকট চলছে। এখন নতুন করে অ্যামেরিকা যেন কোনো অস্থিরতা তৈরি না করে। তিনি জানিয়েছেন, ''ন্যাটোর দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে কোনোরকম অস্থিরতা হোক, সেটা ন্যাটো চায় না। তাই আমি আপনাদের অনুরোধ করছি, আপনারা পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে প্রতিরক্ষা সামগ্রী বিক্রি করার সময় এই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।''

এর্দোয়ানের দাবি, ''আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, দুই দেশের মধ্যে বিরোধ মেটাতে আমরা কেউই কোনো তৃতীয় পক্ষের দ্বারস্থ হব না। তা সত্ত্বেও গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যামেরিকা গিয়ে, কংগ্রেসে ভাষণ দিতে গিয়ে আমাদের এফ ১৬ না দেয়ার অনুরোধ করলেন।''

তুরস্ক ২০১৯ সালে অ্যামেরিকার কাছ থেকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং রাশি্য়ার কাছ থেকে এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু অ্যামেরিকা জানিয়ে দেয়, রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনলে তারা এফ-৩৫ দেবে না। তখন এর্দোয়ান সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তারা পুরনো এফ-১৬-র জায়গায় নতুন প্রযুক্তির এফ-১৬ চায়।

গ্রিসের সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা তুরস্কের সঙ্গে কথার লড়াইয়ে নামবেন না।

তুরস্ক ও গ্রিস দুই দেশই ন্যাটোর সদস্য। কিন্তু তাদের সম্পর্ক মধুর নয়। অতীতে দীর্ঘ সময় ধরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। তুরস্কের দাবি, গ্রিসের একটি দ্বীপ আসলে তাদের। গত বছর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভালো করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন সেই উদ্যোগে বড় ধাক্কা লাগলো বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ