1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রিসে মধ্যবিত্তরাও আতঙ্কে

ইয়ানিস পাপাদিমিট্রিউ/আরবি১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের এক শহরতলী কিফিসিয়া৷ মারিয়া কেফালা সালমাতানি অভাবিদের খাদ্যদ্রব্য ও ওষুধ বিলি করেন সেখানে৷ ২০০৩ সালে সিটি কাউন্সিলে নির্বাচিত হন তিনি৷

Suppenküchen für Bedürftige in Griechenland
ছবি: DW/J. Papadimitriou

প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরদের জন্য একটি আশ্রম গড়বেন ভেবেছিলেন৷ কিন্তু... গ্রিসে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসনকে অন্য বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হয়৷ তাই মারিয়া সালমাতানিকে এখন দুঃস্থদের দেখাশোনা করতে হচ্ছে৷

দানের অর্থে চলছে প্রকল্পটি

প্রাথমিক পর্যায়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রকল্পটি দাঁড়িয়ে যায়৷ ৪০,০০০০০ ইউরো পাওয়া যায় তখন৷ এখন ব্যক্তিগত দানের অর্থে চলছে এই সাহায্য কর্মসূচিটি৷

‘‘আমাদের এলাকা ১৯৮০ সাল থেকে বিশিষ্ট জনদের বসতি বলে পরিচিত৷ কিন্তু এতে শুধু একটা দিকের চিত্রই পাওয়া যায়৷ কিফিসিয়ায় অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারও বসবাস করেন, যাদের এখন বেকারত্বের কবলে পড়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে'', বলেন ৬২ বছর বয়স্ক মারিয়া সালমাতানি ৷ এমন বহু পরিবার রয়েছে, যেখানে মা-বাবা দুজনেই উপার্জন করতেন৷ এখন দুজনেই চাকরিচ্যুত৷ এমনকি অর্থনৈতিক সংকটের কবলে পড়েছেন অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিকও৷ প্রয়োজনীয় খাবার কেনার সামর্থ্যও নেই তাঁদের৷

মারিয়া কেফালা-সালমাতানি বলেন, অনেকেই নিজের অভাবটা বাইরে প্রকাশ করতে চান না, আত্মসম্মানে বাধে৷ছবি: DW/J. Papadimitriou

নগর প্রশাসনের ১৯ জন কর্মী দৈনিক খাদ্যদ্রব্য বিতরণে কাজ করছেন৷ তাঁদের সাথে যোগ দিয়েছেন একটি সাহায্য প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা৷

অনেকেই নাম লিখিয়েছেন

কিফিসিয়ায় ১৭০ জন খাদ্যসাহায্য পাওয়ার জন্য তালিকায় নাম লিখিয়েছেন৷ কিন্তু অভাবগ্রস্তদের সংখ্যাটা আরো বেশি হবে৷ অনেকেই নিজের অভাবটা বাইরে প্রকাশ করতে চান না৷ আত্মসম্মানে বাধে৷ বলেন মারিয়া কেফালা-সালমাতানি৷

‘‘প্রায়ই আমরা প্রতিবেশীদের কাছ থেকে আভাসে ইঙ্গিতে জানতে পারি এই সব মানুষের অভাবের কথা৷ যেমন তাঁদের বাসায় লাইট জ্বলতে দেখা না গেলে৷ এতে অনুমান করা যায় হয়তো বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে'', বলেন কাউন্সিলর মারিয়া৷ এক্ষেত্রে মনস্তত্ত্ববিদ ও সমাজকর্মীরা ভুক্তভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সাহায্য করতে চেষ্টা করেন৷ অবশ্যই যতটা সম্ভব লোকচক্ষুর আড়ালে৷

অভিজাত এলাকাও বাদ যায়নি

এথেন্সের উত্তরে অভিজাত এলাকা ফিচিকনে এ ব্যাপারে বিশেষ গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়৷ এখানকার অনেকে কল্পনাই করতে পারেনি যে, এই ধরনের পরিস্থিতিতে একদিন তাঁদের পড়তে হবে৷ সাহায্যপ্রার্থী হওয়াটা তাঁদের কাছে অত্যন্ত লজ্জার বিষয়৷

অর্থনৈতিক সংকট শুরু হওয়ার আগে ঐ এলাকায় বাড়ির মূল্য ছিল আকাশচুম্বী৷ এমন একটি অঞ্চলে অভাবিদের জন্য খাদ্যদ্রব্য বিতরণের ব্যবস্থা করতে হবে, সেটা নগর কর্তৃপক্ষ আগে ভাবতেই পারেননি৷ কিন্তু গত কয়েক বছরে ১২০ জন শহরের এই খাদ্য বিতরণকেন্দ্রে এসেছেন৷ সপ্তাহে একদিন বিরাট এক ভোজ্যপণ্যের সাহায্য প্যাকেট পান ভুক্তভোগীরা৷ ক্রিসমাসের সময় সবাই মিলে উৎসব করার জন্য আলাদাভাবে সাহায্য করা হয়৷

ভুক্তভোগীদের সঠিক সংখ্যাটা নগর কর্তৃপক্ষের জানা নেই৷ কেননা অনেকে আবার গির্জা কর্তৃপক্ষের কাছেও সাহায্যের জন্য যান৷ এক্ষেত্রে ক্যাথলিক গির্জা বেশ সক্রিয়৷ তাদের নিজস্ব খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র রয়েছে৷ সেখানে সাধারণত ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী অভিবাসীদের ভিড়ই দেখা যায়৷ যাদের অন্য কোথাও সাহায্য পাওয়ার আশা নেই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ