1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রিসে তেমন অগ্রগতি হয়নি

স্পিরোস মস্কোভু/এসবি২৯ নভেম্বর ২০১৪

নতুন করে হরতালের কারণে সবার নজর আবার গ্রিসের দিকে৷ ইউরো সংকটের পর কঠিন সংস্কার কর্মসূচির সাফল্য কি দেখা যাচ্ছে না? সরকার তো তাই বলছে৷ ডয়চে ভেলের স্পিরোস মস্কোভু-র মনে এ বিষয়ে সংশয় রয়েছে৷

Griechenland Generalstreik 27.11.2014
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis

গত এপ্রিল মাসেই গ্রিসের সরকার খোলা বাজারে আবার ঋণ নেবার সাহস দেখিয়েছিল৷ বছরের তৃতীয় ভাগে সে দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ছিলো গোটা ইউরো এলাকার অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি৷ এমনকি চলতি বছর বেকারত্বের হারও কিছুটা কমেছে৷ কিছুদিন আগে পর্যন্ত ইউরোজোনের সবচেয়ে খারাপ ছাত্র কি তাহলে উন্নতির পথে এগোচ্ছে?

এই চিত্র কিন্তু মোটেই বাস্তবের প্রতিফলন নয়৷ গত অক্টোবর মাসে এথেন্স সরকার যখন বুক ফুলিয়ে বলেছিল যে, গ্রিস শীঘ্রই আইএমএফ-এর খবরদারি থেকে নিজেকে মুক্ত করবে, তখন বাজারে সে দেশের বন্ডের মূল্য হুহু করে বেড়ে গিয়েছিলো৷ মন্দার ফলে গত পাঁচ বছরে গ্রিসের অর্থনীতির আকার-আয়তন প্রায় এক পঞ্চমাংশ কমে গেছে৷ সেই প্রেক্ষাপটে সামান্য প্রবৃদ্ধি কিছুটা সান্ত্বনা ছাড়া কিছু হতে পারে না৷ কোনো দেশে বেকারত্বের হার ২৮ শতাংশের মাত্রা ছুঁলে তারপর তা মাত্র অর্ধ শতাংশ কমলেও মানুষ তা টের পায় না৷

এখনো ভীত বেশ দুর্বল

সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে গ্রিস এতকাল যে প্রচেষ্টা চালিয়ে এসেছে, তাকে খাটো না করেও বলতে হয় যে, ভবিষ্যতের জন্য এখনো ভীত তেমন শক্ত হয়নি৷ রোগীর প্রাণসংশয় না থাকলেও তার অবস্থা এখনো ‘ক্রিটিকাল'৷ গ্রিসের রক্ষণশীল ও সামাজিক গণতন্ত্রী দলের জোট সরকার সঙ্গত কারণেই ইতিবাচক খবরগুলিকে অতিরঞ্জিত করে পেশ করছে৷ এই বার্তার মূল লক্ষ্য গ্রিসের ভোটাররা৷ সংসদে সরকারের শরিক দলগুলির ঝুলিতে ১৮০টি আসন নেই, যা আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের জন্য প্রয়োজন৷ এমন অবস্থায় সংবিধান অনুযায়ী আগাম নির্বাচনের আয়োজন করতে হয়৷ সব জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী আলেক্সিস সিরপাস-এর নেতৃত্বে বিরোধী বামপন্থি দল প্রায় ৫ শতাংশ এগিয়ে রয়েছে৷

অর্থাৎ রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী আন্টোনিস সামারাস-এর দ্রুত সাফল্যের প্রয়োজন রয়েছে, যাতে তিনি আবার তাঁর পুরানো সমর্থকদের মন জয় করতে পারেন৷ কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতিতে সেই কাজ বড়ই কঠিন৷ গ্রিসের প্রবৃদ্ধির পথ এখনো বড়ই ভঙ্গুর৷ জং ধরা প্রশাসন যন্ত্রের সংস্কার চলছে অতি ধীর গতিতে৷ কর ফাঁকি দেবার প্রবণতা কমানো সম্ভব হয়নি৷ বেসরকারীকরণ প্রক্রিয়া থমকে গেছে৷ একটানা রাষ্ট্রীয় ব্যয় সংকোচের ফলে আরও বেশি মানুষ অসহায় বোধ করছে৷ তরুণ প্রজন্ম এক অভূতপূর্ব নৈরাশ্যের মুখে পড়েছে৷ আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলি গ্রিসে দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক সংকটের আশঙ্কা করছে৷

স্পিরোস মস্কোভুছবি: DW

রাজনৈতিক সংস্কৃতি এখনো বড় সমস্যা

ইউরোপীয় কমিশন, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের অর্থে গত প্রায় চার বছর ধরে গ্রিস এক স্থিতিশীলতা কর্মসূচি চালিয়ে আসছে৷ এমন গুরুতর অবস্থা সত্ত্বেও গ্রিসের রাজনৈতিক দলগুলি দেশের স্বার্থে এক ন্যূনতম ঐকমত্যে আসতে পারেনি৷ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার বদলে এখন তারা সম্ভাব্য আগাম নির্বাচনের জন্য কোমর বেঁধে আসরে নেমেছে৷ এমনকি বিরোধী বামপন্থি দলের শীর্ষ নেতারা ঘোষণা করেছেন যে, তাঁরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য জার্মানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করবেন এবং সেই অর্থ দিয়ে আগামী বাজেট সামলাবেন৷ শুনলে মনে হবে, ইউরো এলাকার প্রান্তে প্রাচ্যদেশীয় নাটক চলছে৷ কিন্তু গ্রিসের রাজনৈতিক সংস্কৃতি কতটা পিছিয়ে রয়েছে, এর মাধ্যমে তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ গ্রিসের জনগণকে সাহায্য করতে হলে সে দেশের সরকারকে ভবিষ্যতেও কড়া নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ