গ্রিসে দেশব্যাপী ধর্মঘট শুরু
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০শ্রমিকদের দাবি, বাজেট ঘাটতি কাটাতে শ্রমিকদের বেতনের সঙ্গের আনুষঙ্গিক অর্থ কমানো কিংবা বাড়তি কর আদায় করা যাবেনা৷ আর এই দাবিতে সামিল হয়েছে গ্রিসের সরকারি এবং বেসরকারি শ্রমিকদের সংগঠনগুলোর পঁচিশ লাখ সদস্য৷
গত অক্টোবর গ্রিসে মধ্য বাম সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর এটাই সবচেয়ে বড় জাতীয় ধর্মঘট৷ জানা গেছে, ধর্মঘটের সময় গ্রিসের অভ্যন্তরীণ এবং বর্হিগামী সকল উড়াল বন্ধ থাকবে৷ থমকে থাকবে ট্রেন এবং ফেরি যোগাযোগও৷
বুধবার এথেন্সে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ছাড়াই চলবে কয়েক মিলিয়ন সাধারণ মানুষ৷ সরকারি স্কুল, কর কার্যালয় এবং পৌর অফিসগুলোও বন্ধ থাকবে বলে প্রকাশ৷ তবে, সরকারি হাসপাতাল এবং জরুরি প্রয়োজনীয় কার্যক্রম ধর্মঘটের আওতামুক্ত থাকবে৷
এদিকে, গ্রিসের সাংবাদিকরাও ২৪ ঘন্টার ধর্মঘটে অংশ নিচ্ছেন৷ এছাড়া এদিন এথেন্সে দুটি বড় প্রতিবাদ সমাবেশও করা হবে বলে জানাচ্ছে সংবাদ সংস্থাগুলো৷
উল্লেখ্য, বছরের পর বছর ধরে ভুল তথ্য-পরিসংখ্যান দেখিয়ে গ্রিস তার বাজেটের মারাত্মক ঘাটতির প্রকৃত মাত্রা গোপন রাখতে সক্ষম হয়েছিল৷ কিন্তু কিছুদিন আগে প্রকৃত সত্য ফাঁস হয়ে যায় এবং দেখা যায় গ্রিসের বাজেট ঘাটতির মাত্রা প্রায় ১৩ শতাংশ৷ ফলে টনক নড়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের৷ আর তাই ইইউ অর্থমন্ত্রীরা গ্রিসের উপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করতে বেশ কিছু পদক্ষেপের ঘোষণা করে৷
এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে, গ্রিস ইতিমধ্যেই ব্যয় সঙ্কোচের যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, সেদেশকে তার থেকেও বেশী মাত্রায় ব্যয় কমাতে হবে৷ আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে গ্রিসকে বাড়তি পদক্ষেপের ঘোষণা করতে হবে৷ সরকারি কোষাগারের আয়া বাড়াতে পণ্য ও পরিষেবার উপর প্রদত্ত কর বা ভ্যাট-এর হার বাড়ানোর জন্যও গ্রিসের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে৷ চলতি বছরের মধ্যেই বাজেট ঘাটতির বর্তমান মাত্রা কমপক্ষে ৪ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রাও স্থির করা হয়েছে৷ এই সব পদক্ষেপের মাধ্যমে ২০১২ সালের মধ্যে গ্রিসের আর্থিক অবস্থা আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে৷
কিন্তু বাঁধ সেধেছে গ্রিসের শ্রমিক সংগঠনগুলো৷ তাদের দাবি, এসব কিছু করতে হবে শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধা অক্ষুন্ন রেখে৷ আর তাই, ইইউ প্রতিনিধিদের গ্রিস সফরের দিনেই এই ধর্মঘট৷
প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়