গ্রিস আরো উদ্বাস্তুদের তুরস্কে ফেরত পাঠাচ্ছে
৮ এপ্রিল ২০১৬![Slowenisch-österreichische Grenze Flüchtlinge](https://static.dw.com/image/19052894_800.webp)
অন্তত দু'জন আন্দোলনকারী ফেরিটির কাছে জলে ঝাঁপ দিয়ে নোঙরের শেকল থেকে ঝুলে থাকেন৷ গ্রিক উপকূলরক্ষীরা তাদের পানি থেকে তুলে আনেন৷
গত সোমবার প্রথম উদ্বাস্তুদের গ্রিস থেকে তুরস্কে ফেরত পাঠানো শুরু হয়; ২০২ জনের এই দলে ছিলেন প্রধানত পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আগত উদ্বাস্তুরা৷ তাদের লেসবস ও কিওস, এই দুটি দ্বীপ থেকে নিয়ে যাওয়া হয়৷ তারপর শরণার্থীদের মধ্যে গ্রিসে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন দাখিল করার হিড়িক পড়ে যায়, ফলে স্থানান্তর কাজ দিন দুয়েকের জন্য বন্ধ রাখতে হয়৷ অবশ্য যাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে, তুরস্কে তাদের ভাগ্যে কি আছে, তা বলা শক্ত৷ যেমন যে হাজার হাজার আফগান শরণার্থী তুরস্কে এসে পৌঁছেছেন ও কোনোমতে জীবনধারণ করছেন, তারাও এখানে কোনো ধরনের ভবিষ্যৎ দেখেন না - এক ইউরোপে যাবার চেষ্টা করা ছাড়া৷
ইতিমধ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান হুমকি দিয়েছেন যে, ব্রাসেলস চুক্তি অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের করণীয় না করলে, তুরস্কও চুক্তি বাস্তবায়িত করবে না৷ ওদিকে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বৃহস্পতিবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ-এর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতে উদ্বাস্তুর স্রোত হ্রাস পাওয়ার ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন৷ শুক্রবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী জার্মানিতে এ-বছরের প্রথম তিন মাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন জমা পড়েছে মোট এক লক্ষ আশি হাজার, এমনকি মার্চ মাসেও ষাট হাজার, যদিও তথাকথিত বলকান রুট বন্ধ হওয়ার পর শরণার্থীদের স্রোত প্রায় থেমে এসেছে৷ আসলে জার্মানির বিভিন্ন উদ্বাস্তু শিবিরে যে হাজার হাজার উদ্বাস্তু অবস্থান করছেন, তাদের আবেদন জমা হয়ে এই আকার নিয়েছে৷
বলকান রুট বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার উত্তর আফ্রিকার দিকে নজর ফিরেছে, কেননা লিবিয়ায় নাকি লাখ দুয়েক আফ্রিকান শরণার্থী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে আসার পথ খুঁজছেন৷ কাজেই ম্যার্কেল ও ওলঁদ লিবিয়াকে স্থিতিশীল করার আহ্বান জানিয়েছেন৷ গ্রিস ও বলকান দেশগুলি হয়ে মধ্য ইউরোপ অভিমুখে উদ্বাস্তুরা যখন যাচ্ছেন, তখনও ইউরোপ অভিমুখে অপরাপর অভিবাসনের পথ বন্ধ হয়ে যায়নি৷
সব সত্ত্বেও ম্যার্কেলের মতে ইউরোপ উদ্বাস্তু সংকটের মোকাবিলার জন্য ‘‘ঠিক পথে'' চলেছে৷ এখন জরুরি হল গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে সামুদ্রিক সীমান্তের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা, কেননা এই সীমান্ত ‘‘চোরাচালানকারী ও মানুষ পাচারকারীদের নিয়ন্ত্রণে৷''
এসি/জেডএইচ (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)