1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রিস তথা ইউরো এলাকার সংকট মোকাবিলায় নতুন দিশা

২৭ অক্টোবর ২০১১

বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত আলোচনা করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেতারা ইউরো সংকটের মোকাবিলা করতে ঐক্যমতে পৌঁছলেন৷ কিন্তু তার পরেও রয়ে গেছে নানা প্রশ্ন৷

Bundeskanzlerin Angela Merkel (CDU) laechelt am Donnerstag (27.10.11) in Bruessel in Belgien auf einer Pressekonferenz nach dem EU-Gipfel zur Euro-Rettung. Durchbruch im Morgengrauen: Die Eurozone und die Banken haben sich in der Nacht zum Donnerstag auf einen Schuldenschnitt von 50 Prozent fuer Griechenland geeinigt, der den Hellenen wieder auf die Beine helfen soll. In die Gipfelerklaerung wurde das Ziel festgeschrieben, dass die Schuldenlast Athens bis 2020 auf ertraegliche 120 Prozent der Wirtschaftskraft zurueckgefahren wird. (zu dapd-Text) Foto: Geert Vanden Wijngaert/AP/dapd
জার্মান সংসদের সমর্থন নিয়ে ব্রাসেলস গিয়েছিলেন ম্যার্কেলছবি: dapd

নেতাদের দৃঢ় মনোভাব

এতকাল ইইউ নেতাদের আচরণের বিরুদ্ধে তুমুল সমালোচনার ঝড় উঠছিল৷ অভিযোগ উঠছিল, সংকট দেখা দিলেই তারা জনগণের অর্থ ব্যয় করে ব্যাংকগুলিকে বাঁচিয়ে আসেন, সংকট কেটে গেলে ব্যাংকগুলি মুনাফা নিজেদের কাছেই রেখে দেয়, রাষ্ট্র তথা জনগণকে তা ফেরত দেয় না৷ তাছাড়া গোটা সমস্যার মূলে আঘাত না করে শুধু ছোট ছোট পদক্ষেপ নিয়েই তারা ক্ষান্ত৷ যাই হোক, এবারের সম্মেলনে নেতারা এই প্রথম বেসরকারি ব্যাংকগুলির কাছ থেকে বড় ছাড় আদায় করতে পেরেছেন৷ মূলত জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জোরালো দর কষাকষি করে অবশেষে তাদেরকে রাজি করাতে পেরেছেন৷

ম্যার্কেল ও সার্কোজি মিলে ব্যাংকিং জগতের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেনছবি: picture alliance/dpa

গ্রিসের ঋণ সংকট কাটানোর পথ

এর আওতায় ব্যাংকগুলি গ্রিসকে দেওয়া ঋণের ৫০ শতাংশ ফেরত চাইবে না, তাদের এই লোকসান মেনে নিতে হবে৷ ফলে এক ধাক্কায় গ্রিসের ঋণভার ১০,০০০ কোটি ইউরো কমে যাবে৷ এক্ষেত্রেও সরকারি পর্যায়ে তাদের জন্য কিছু সুবিধা দেওয়া হচ্ছে৷ অর্থাৎ এর মধ্যে ৩,০০০ কোটি ইউরোর গ্যারেন্টি নেবে রাষ্ট্রগুলি৷ তবে শুধু এই একটি ওষুধে কাজ হবে না৷ ২০১২ সালের শেষের মধ্যে গ্রিসের দ্বিতীয় দফার আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন হবে, যার অঙ্ক হবে ১৩,০০০ কোটি ইউরো৷ সেখানেও বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির অংশগ্রহণের প্রয়োজন৷ উদ্দেশ্য, গ্রিসকে ধাপে ধাপে ঋণ সংকট থেকে পুরোপুরি বাইরে নিয়ে আসা, যাতে ২০২০ সালের মধ্যে সেদেশের ঋণের বোঝা মোট জাতীয় উৎপাদনের ১২০ শতাংশে নেমে যায়৷

দীর্ঘমেয়িদী সমাধানসূত্র খোঁজার উদ্যোগ নিচ্ছেন ইইউ নেতারাছবি: dapd

ইউরো এলাকার দীর্ঘমেয়াদী সংকটের দাওয়াই

এমন সংকটের জন্য ইএফএসএফ নামে যে জরুরি তহবিল ও কাঠামো রয়েছে, তার অঙ্ক বাড়িয়ে এক লক্ষ কোটি ইউরোয় আনতে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন উপস্থিত নেতারা৷ তবে এটাকে শুধু একটা কাঠামো হিসেবেই দেখতে হবে, যার মধ্যে সত্যি কিছু অর্থ জমা থাকবে, বাকিটা বিভিন্ন ধরণের গ্যারেন্টি হিসেবে প্রতীকি ভূমিকা রাখবে৷ আন্তর্জাতিক বাজারও এই কাঠামোয় অংশ নিতে পারবে৷ এছাড়া ব্যাংকগুলি যাতে বার বার সংকট সৃষ্টি করে সরকারের কাছে হাত পাততে না পারে, সেই লক্ষ্যে সব ব্যাংককে কমপক্ষে ৯ শতাংশ মূলধন জরুরি অবস্থার জন্য সরিয়ে রাখতে হবে৷ উদ্দেশ্য, সংকট দেখা দিলে তারা নিজেদেরই তা সামলে নিতে পারবে, করদাতাদের অর্থের উপর নির্ভর করতে হবে না৷

গ্রিসের পর আপাতত সবার নজর ইটালির দিকে৷ ঋণভার কমাতে সেদেশ কিছু নির্দিষ্ট পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইটালি সত্যি সেগুলি কার্যকর করতে পারলে ইউরো এলাকার উপর ঝড়ের মাত্রা অনেক কমে যাবে৷ তারপর ইইউ চুক্তিতে রদবদল ঘটিয়ে গোটা কাঠামোকে ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলার জন্য আরও বেশি প্রস্তুত করতে হবে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ