1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রিস নিয়ে বৈঠকের পর বৈঠক

ব্যার্ন্ড রিগার্ট/এসি২৩ জুন ২০১৫

এটা কি পরিকল্পিত, না অক্ষমতার প্রকাশ? গ্রিস নিয়ে আলাপ-আলোচনা আবার কেন ব্যর্থ হল, তা বলা শক্ত৷ ব্যার্ন্ড রিগার্ট বেশি আশা দেখেন না৷

Belgien Angela Merkel Krisengipfel Eurogruppe Griechenland in Brüssel
ছবি: Getty Images/AFP/E. Dunand

গ্রিক সরকারের উগ্র বামপন্থি আদর্শবাদীদের মাথাতেও বাস্তববুদ্ধি চিড়িক দিয়েছে বলে মনে হয়৷ প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস দেশকে প্রায় দেউলিয়া হওয়ার মুখে ঠেলে দিয়েছেন; অর্থনীতি সংকুচিত হচ্ছে; ব্যাংকগুলো টালমাটাল; টুরিস্টরা বুকিং বাতিল করছে; এতো সব ঘটার পর এথেন্সের জুয়াড়িরা একটি আলোচনার উপযোগী প্রস্তাব পেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷

অথচ এই নাটকের কোনো প্রয়োজন ছিল না৷ এখন যে সমাধানের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, গ্রিক সরকার গত এপ্রিলেই সে চুক্তি করতে পারতেন৷ কিন্তু আলাপ-আলোচনায় নানা চাল ও বেচালের ফলে এথেন্স তার ইউরোপীয় সহযোগীবর্গ, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং অপরাপর বিদেশি বিনিয়োগকারীদের যাবতীয় আস্থা হারিয়েছে৷ অথচ সেই আস্থাই হল খনিজ সম্পদ বিহীন দেশটির আসল সম্পদ৷

ব্যার্ন্ড রিগার্ট

পরিস্থিতি হাস্যকর হয়ে উঠছে

এথেন্স তার প্রস্তাবসমূহ এতো দেরিতে পেশ করে সোমবারের শীর্ষ বৈঠকের সুবর্ণ সুযোগটাকেও হাতছাড়া করেছে – অথচ সোমবারেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহিত হবার কথা ছিল৷ প্রথমে ইউরো এলাকার অর্থমন্ত্রীরা মোটামুটি বোকা বনে এবং কোনোরকম কার্যকরী শলাপরামর্শ ছাড়াই বিদায় নিয়েছেন, কেননা শলাপরামর্শের ভিত্তি হবার মতো কোনো প্রস্তাব টেবিলে রাখা হয়নি৷

ফলে সোমবার রাষ্ট্র তথা সরকারপ্রধানদের ‘জরুরি' শীর্ষবৈঠক একটি অপেশাদারী ‘উপদেষ্টা শীর্ষ বৈঠকে' পরিণত হয় – নতুন নামকরণটি করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল স্বয়ং, বোধহয় লজ্জা ঢাকার জন্য৷ গ্রিস তথা ইউরো এলাকার এমন সমূহ বিপদ না হলে, হাসি পেতে পারতো৷

ইউরোপের সবচেয়ে দীর্ঘকাল ধরে ক্ষমতাসীন সরকারপ্রধান আঙ্গেলা ম্যার্কেল কিন্তু মুশকিল আসান হিসেবে নিজের সুনাম ঠিক বজায় রাখতে পারেননি৷ সাংবাদিকদের অনেক প্রশ্নে তাঁকে কিছুটা বিহ্বল মনে হয়েছে৷ আলেক্সিস সিপ্রাস তাঁর ইউরোপীয় সহযোগীদের পুনরায় অপেক্ষা করতে বাধ্য করেছেন, তারপর তাদের নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরিয়েছেন৷ সিপ্রাস ঠিক জানেন, ইউরোপীয় সহযোগীরা গ্রিসকে দেউলিয়া হতে দেবে না, কারণ ইউরো প্রকল্পের পক্ষে তার ফলশ্রুতি বিভীষণ হতে পারে৷ কাজেই আরো একটি শীর্ষবৈঠক, আগামী বৃহস্পতিবার৷

ছবি: Reuters/E. Durand

ওদিকে এগিয়ে আসছে শেষের সে দিন ভয়ঙ্কর: ত্রিশে জুন গ্রিস ইউরো থেকে বিদায় নিতে পারে৷ এবং সেটা এড়ানোর জন্য যে চলতি ত্রাণ কর্মসূচির মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন, দৃশ্যত গ্রিক সরকার সেটা উপলব্ধি করতে পেরেছেন৷ কিন্তু তার জন্য সময় থাকছে আরো ৪৮ ঘণ্টা – আগামী বৃহস্পতিবার অবধি৷ তার মধ্যে ঐকমত্য অর্জিত হওয়া চাই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ