1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রিস-ম্যাসিডোনিয়া সীমান্তে বিক্ষোভ

মারিয়ানা কারাকুলাকি/এসিবি১ মার্চ ২০১৬

বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন গ্রিস আর ম্যাসিডোনিয়ার মাঝখানে আটকে পড়া শরণার্থীরা৷ শনিবার থেকে চলছে তাঁদের বিক্ষোভ, প্রতিবাদ৷ শরণার্থীরা বলছেন, ম্যাসিডোনিয়ায় প্রবেশের জন্য তাঁদের অপেক্ষা সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছে৷

Grenze Griechenland Mazedonien Flüchtlinge
ছবি: L. Gouliamaki/AFP/Getty Images

ম্যাসিডোনিয়া আর গ্রিসের মাঝখানের ইডোমেনিতে আটকে পড়ে দুর্বিষহ জীবনযাপনে বাধ্য হচ্ছেন প্রায় ৭ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী৷ ম্যাসিডোনিয়ায় প্রবেশ করতে চান তাঁরা৷ সেখান থেকে জার্মানিতে প্রবেশের উদ্দেশ্য নিয়েই নিজেদের দেশ ছেড়ে এসেছেন৷ কেউ এসেছেন ট্যাক্সিতে চড়ে, কেউ বা পায়ে হেঁটে৷

বলা হয়েছিল, প্রতিদিন গড়ে ৫০০ জনকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে৷ কিন্তু আদতে তা হচ্ছে না৷ খুব কম মানুষই পাচ্ছেন এ সুযোগ৷ সোমবার মাত্র ৫০ জনকে সীমান্ত অতিক্রম করতে দেয়া হয়েছে৷

অথচ প্রতিদিন অন্তত দেড়শ নতুন অভিবাসনপ্রত্যাশী আসছেন সিরিয়া, ইরাক বা মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার কয়েকটি দেশ থেকে৷ ফলে যে জায়গায় ৩ হাজার মানুষের স্থান সংকুলান হয়, সেখানে এখন ৭ হাজার মানুষের ভিড়৷

গন্তব্য জার্মানি হলেও গ্রিসে এসেই হাল ছাড়তে হচ্ছে শরণার্থীদেরছবি: DW/D. Tosidis

শনিবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ, প্রতিবাদ৷ বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁদের ম্যাসিডোনিয়ায় প্রবেশ করতে দিতে হবে৷ দাবি মেনে না নেয়ায় সীমান্তরক্ষীদের প্রতি প্রথমে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়, তারপর ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টাও করেন তারা৷ পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়ে তাদের নিরস্ত করে৷

জার্মানি ও মরক্কোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী – টোমাস দেমেজিয়ের ও মোহামেদ হাসাদছবি: picture-alliance/AP Photo/J. Bounhar

এদিকে সিরিয়ার পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অন্যান্য দেশ থেকে যাঁরা জার্মানিতে এসেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে জার্মান সরকার৷ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে মরক্কো থেকে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ৷ অভিবাসন এবং শরণার্থী বিষয়ক কার্যালয় বিএএমএফ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে মরক্কো থেকে জার্মানিতে এসেছে অন্তত ১০ হাজার মানুষ৷ তাঁদের অনেকেই জার্মানিতে প্রবেশ করে পাসপোর্ট ফেলে দিয়ে নিজেদের সিরীয় হিসেবে দাবি করেন৷

তাঁদের মাত্র শতকরা ৩ দশমিক ৭ ভাগ এ পর্যন্ত রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুমতি পেয়েছেন৷ বাকিদের মরক্কোয় ফেরত পাঠানোর উদ্যোগে সম্মতি জানিয়েছে মরক্কো৷ রাজধানী রাবাতে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস দেমেজিয়েরের সঙ্গে বৈঠকে মরক্কো সরকারের পক্ষ থেকে এ সম্মতির কথা জানান সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহামেদ হাসাদ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ