1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
পরিবেশঅস্ট্রেলিয়া

গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ রক্ষার চেষ্টা

২৩ আগস্ট ২০২৩

অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ৷ কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সেখানে সাত বছরে চারবার কোরাল ব্লিচিং হয়েছে৷ সে কারণে তার বিশ্ব ঐতিহ্যের খেতাব কেড়ে নেয়ার হুমকি দিয়েছে ইউনেস্কো৷

DW Sendung Projekt Great Barrier Reef
ছবি: ZDF

বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই কোরাল রিফের আকার প্রায় সাড়ে তিন লাখ বর্গকিলোমিটার- প্রায় জার্মানির সমান৷

রিফ পুরোপুরি নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষায় কাজ করছে অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট ফর মেরিন সায়েন্স, এআইএমএস৷

মেরিন বায়োলজিস্ট আনিকা ল্যাম্ব তার কাজের ব্যাপারে খুব আগ্রহী৷ তিনি বলছেন, ‘‘রিফ যে হুমকির মুখে আছে সেটা আমি প্রতিদিন দেখতে পাই৷ তবে আমি মনে করি না যে, এটা আশা হারানোর কোনো কারণ৷ আমি এখনও গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ দেখতে পারি৷ এখনও অনেক এলাকা অক্ষত আছে, সুন্দর আছে৷ এখনও এত বৈচিত্র্য আছে, যেগুলো রক্ষা করা উচিত৷''

গবেষণাগারে ট্যাঙ্কে রিফের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে৷ কোরালেরা সংবেদনশীল৷ পানির গুণাগুণ, আলো, তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে তারা বেঁচে থাকে৷ আনিকা ল্যাম্ব বলেন, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে লড়তে পারে এমন কোরাল তৈরি করতে কী করা যায়, তা আমরা দেখছি৷ এমন কোরাল তৈরি করে সেগুলো রিফে ছাড়ার পরিকল্পনা আমাদের৷ এভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে ইকোসিস্টেম রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে৷''

তাদের সবচেয়ে বড় আশঙ্কা, কোরাল অ্যালজি হারিয়ে সাদা হয়ে যেতে পারে- যাকে ব্লিচিং বলে৷ গত কয়েক বছরে এমনটা হয়েছে৷ পানির তাপমাত্রা অনেক বেড়ে গেলে কোবাল অ্যালজিদের ছেড়ে দেয়৷ এই অ্যালজি শুধু কোরালকে সুন্দর রং-ই দেয় না, কোরালের পুষ্টিরও ব্যবস্থা করে৷ অ্যালজি হারিয়ে গেলে কোরাল মরে যায়৷

অস্ট্রেলিয়ার ভূমি ও সাগরে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দেখা যাচ্ছে৷ অত্যধিক গরম, খরা, শুষ্কতা, ফলন কম হওয়া ইত্যাদি৷

গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ রক্ষায় জলবায়ু সহনশীল কোরাল

04:30

This browser does not support the video element.

পরিবেশকর্মী ক্রিস্টাল ফাল্কনাউ মনে করছেন, শঙ্কিত হওয়ার কারণ আছে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, সময় যত যাচ্ছে বার্তাটা স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হচ্ছে৷ এবং এটা খুব দুঃখজনক যে, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে কয়েকজন অস্ট্রেলিয়ানের চোখ খুলে দিতে এই পর্যায় পর্যন্ত আসতে হয়েছে৷''

গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের চেয়ে আর কোথাও জলবায়ু পরিবর্তনের এত বেশি প্রভাব দেখা যায় না৷ সাত বছরের মধ্যে চারবার কোরাল ব্লিচিং রিফের এত ক্ষতি করেছে যে, ইউনেস্কো এর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্ট্যাটাস বাতিলের হুমকি দিয়েছে৷

অস্ট্রেলিয়ার সুনাম আর অনেক অর্থ এখন ঝুঁকির মুখে৷ কারণ রিফ আর্থিকভাবে মূল্যবান একটি সম্পদও বটে৷ সেখানে পর্যটনখাতে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ কাজ করেন৷

ডাইভিং ইনস্ট্রাক্টর নাডিন হুট নয় বছর আগে জার্মানি থেকে সেখানে যান৷ গবেষণার কাজেও যুক্ত আছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি বিভিন্ন গভীরতায় স্নরকেলিং করি৷ কোরালেরা কেমন আছে সেটা পর্যবেক্ষণ করি৷ কত ধরনের কোরাল আছে? কতগুলো মারা গেছে? কত অ্যালজি আছে? কোরাল ব্লিচিং আছে কিনা?''

এসব তথ্য তারা এআইএমএস ইনস্টিটিউটকে দিয়ে থাকেন৷ এর মাধ্যমে তারা অনন্য এই ইকোসিস্টেম রক্ষায় ভূমিকা রাখছেন৷

নরমেন ওডেনথাল/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ