‘গ্রেনেড হামলায় জড়িত বিএনপির সাবেক মন্ত্রী এবং প্রভাবশালী ব্যক্তি'
২১ আগস্ট ২০১০![](https://static.dw.com/image/1346905_800.webp)
আহত হয়ে শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগ নেত্রী এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন৷ আহত হন প্রায় দু'শ৷ আহতদের অনেকেই চিরদিনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছেন৷
বিএনপি-জামায়েত জোট সরকারের আমলে এই হামলার ঘটনায় যে মামলা হয়েছিল, তার তদন্ত নিয়ে হয় নানা নাটক৷ জজ মিয়া নামে এক ব্যক্তির কথিত জবানবন্দি আদায় করে প্রকারান্তরে আওয়ামী লীগের সমাবেশে হামলায় আওয়ামী লীগই জড়িত – এমন তথ্য প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা করা হয়েছিল৷ কিন্তু সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের জবানবন্দিতে মামলার তদন্তে নাটকীয় অগ্রগতি হয়৷ তখন বিএনপির সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ও হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করে মামলার চার্জশিট দেয়া হয়৷
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলার অধিকতর তদন্ত শুরু হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ নতুন ৪জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ অন্য ৩ জন হলেন হরকাতুল জিহাদ নেতা আব্দুস সালাম, ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুর রহমান এবং ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নাগরিক ইউসুফ বাট৷ ইউসুফ বাটের মাধ্যমেই হামলার জন্য গ্রেনেড আনা হয়েছিল৷ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি'র এ্যাডিশনাল এসপি আবদুল কাহহার আখন্দ ডয়চে ভেলেকে জানান, হাওয়া ভবনে এই হামলার পরিকল্পনা বৈঠক হয়৷ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরো কয়েকজন প্রভাবশালীর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে৷
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ২২শে নভেম্বরের মধ্যে এই মামলার সম্পূরক চার্জশিট দেয়া হবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন