অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের আলোচিত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট৷ তার সাথে গ্রেপ্তার হয়েছেন সহ সভাপতি এনামুল হক আরমানও৷ দুইজনকেই দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
ক্যাসিনো অভিযান শুরুর পর আলোচনায় আসে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের নাম৷ মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্রের ভেতরে মেলে তার বিশাল ছবি৷ এই ক্লাবটির ক্যাসিনো তিনি চালাতেন বলে খবর বের হয়৷ মতিঝিলের ক্লাবপাড়ার ক্যাসিনোগুলো থেকে তিনি চাঁদা আদায় করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে ৷
গত ১৮ সেপ্টেম্বরের র্যাবের ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরুর পরই আত্মগোপনে যান সম্রাট৷ যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূইয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর রাতভর সদলবলে কাকরাইলে সংগঠনের কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছেন বলেও খবর বের হয়৷ সে সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করেনি৷ পরবর্তীতে আত্মগোপনে যান তিনি৷ অবশেষে আরেক যুবলীগ নেতা আরমানসহ তাকে কুমিলার চৌদ্দগ্রাম থানা থেকে গ্রেপ্তার করল র্যাব৷ আরমানও দীর্ঘদিন ধরে ক্যাসিনো ব্যবসার সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে৷
অভিযানে আলোচনায় ক্যাসিনো
বাংলাদেশে ক্যাসিনোয় মদ, জুয়া চলছে অনেক দিন ধরে৷ তবে বুধবার যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হবার পর ক্যাসিনোই হয়ে গেছে ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’৷ বাংলাদেশে ক্যাসিনোের বিস্তারের ইতিহাস নিয়েই এই ছবিঘর...
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
ক্লাবে ক্লাবে মদ, জুয়া
আয়ের উৎস হিসেবে বাংলাদেশের অনেক ফুটবল ক্লাবে ‘হাউজি’ খেলা শুরু হয় আশির দশকের দিকে৷ তবে নব্বইয়ের দশকে জুয়ার আসরও জমে ওঠে৷ গত কয়েক বছরে তা আরো ভয়াবহ মাত্রা পায়৷ ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের অনেক ক্লাবেই গড়ে ওঠে ক্যাসিনো৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
প্রতিবেদনে ক্যাসিনো
জাতীয় দৈনিকে ক্যাসিনো নিয়ে প্রথম উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন নজরে আসে ২০১৩ সালে৷ প্রথম আলো-র সেই প্রতিবেদনে তখন বলা হয়, ‘‘বছরের পর বছর ধরে ক্লাবগুলোতে নিপুণ, চড়চড়ি, ডায়েস, ওয়ান-টেন, ওয়ান-এইট, তিন তাস, নয় তাস, রেমি, ফ্ল্যাসসহ বিভিন্ন ধরনের তাস খেলা বা কথিত ‘ইনডোর গেমস’-এর নামে জুয়া খেলা চলছে৷’’
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
এগিয়ে থাকা ঢাকার কিছু ক্লাব
ছয় বছর আগে প্রথম আলো’র সেই প্রতিবেদনে ঢাকার ক্লাবগুলোর মধ্যে ফকিরেরপুল ইয়ংমেনস ক্লাব, ক্লাব প্যাভিলিয়ন ফকিরাপুল, আরামবাগ ক্লাব, দিলকুশা ক্লাব, ডিটিএস ক্লাব, আজাদ বয়েজ ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব, বিজি প্রেস স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাব, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটি ক্রীড়াচক্র বিমানবন্দর কমান্ড-এর নাম এসেছিল৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
ঢাকার বাইরেও...
বগুড়ার রহমান নগর ক্রিকেট ক্লাব, নোয়াখালীর শহীদ শাহ আলম স্মৃতি সংসদ হলরুম, সোনাইমুড়ী, চাঁদপুরের মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাব, ফ্রিডম ফাইটার (৫ নম্বর গুপ্তি ইউনিয়ন পরিষদ), নারায়ণগঞ্জের সানারপাড় বর্ণালী সংসদ, বরিশালের সেতুবন্ধন ক্লাব ও লাইব্রেরি, চট্টগ্রামের মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদেও তখন থেকেই নিয়মিত জুয়ার আড্ডা বসছে বলে জানা যায়৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
আরো প্রতিবেদন
২০১৭ সালে দৈনিক বণিক বার্তা ‘অবৈধ তবু বড় হচ্ছে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷ তাতে তুলে ধরা হয় ক্লাবভিত্তিক রেস্টুরেন্টগুলোতেও পশ্চিমা ধাঁচের অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা জমে ওঠার তথ্য৷ বলা হয়, প্রশিক্ষিত জুয়াড়ি আনা হচ্ছে বিদেশ থেকে, তাঁদের কাজে লাগিয়ে ক্লাবগুলোতে প্রতি রাতে বসানো হচ্ছে জুয়ার আসর৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
বিচ্ছিন্ন অভিযান
এরপর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনি দু-একটি ক্লাবে অভিযান চালালেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি, বরং ক্যাসিনোর বিস্তার আরো বেড়েছে৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এক বৈঠকে দলের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের নেতাদের কঠোর সমালোচনা করেন৷ আওয়ামী লীগ নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবলীগের ঢাকা মহানগরের একজন নেতা যা ইচ্ছে করে বেড়াচ্ছে, চাঁদাবাজি করছে৷ আরেকজন এখন দিনের বেলায় প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে চলেন৷ এসব বন্ধ না করলে যেভাবে জঙ্গি দমন করা হয়েছে, একইভাবে তাদেরকেও দমন করা হবে৷
ছবি: DW
যুবলীগের ৬০টি ক্যাসিনো?
প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পর যুবলীগ নেতারা ৬০টি জুয়ার আখড়া বা ক্যাসিনো চালাচ্ছেন বলে কয়েকটি সংবাদপত্র জানায়৷ এরপরই ক্যাসিনোতে অভিযান শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনি৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
যুবলীগ নেতা আটক
ঢাকার ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে বুধবার যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব৷ গুলশান ২ নম্বরের ৫৯ নম্বর সড়কের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ একই দিনে ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালিয়ে দুই নারীকর্মীসহ ১৪২ জনকে আটক ও ২৪ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
অভিযান চলছে
শুক্রবার যুবলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে ঠিকাদারি চালিয়ে আসা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, অস্ত্র ও মদ উদ্ধার করে র্যাব৷ বুধবার ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবের পাশাপাশি ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, বঙ্গবন্ধু এভিনিউর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র এবং বনানীর আহমেদ টাওয়ারের একটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র্যাব৷ এ পর্যন্ত ১৮২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
মোহামেডান, ভিক্টোরিয়াতেও ক্যাসিনো!
রোববার ঢাকার মতিঝিলে চারটি ক্লাবে অভিযান চালায় পুলিশ৷ ভিক্টোরিয়া ক্লাব থেকে জুয়া খেলার নয়টি বোর্ড, এক লাখ টাকা, জুয়ায় ব্যবহৃত চিপস ও মদ পাওয়া গেছে। দুটো রুলেট টেবিল, নয়টি বোর্ড, বিপুল পরিমান কার্ড পাওয়া গেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে৷ এছাড়া আরামবাগ ও দিলকুশা ক্লাবেও বাকারা ও রুলেট টেবিলসহ বিভিন্ন জুয়ার সরঞ্জাম পেয়েছে পুলিশ। এর আগে শনিবার চট্টগ্রামে ক্লাবগুলোতে অভিযান চালিয়েছে র্যাব৷
ছবি: bdnews24.com
ক্যাসিনোতে রাজনীতির প্রভাব
ক্যাসিনো প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ও অন্য দলের নেতাদের নামও উঠে এসেছে৷ ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা এবং ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন আর মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী সাব্বির সাধারণ সম্পাদক৷ রাশেদ খান মেননের দাবি, ক্লাবে যে ক্যাসিনো চলছে তা তিনি জানতেন না৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
12 ছবি1 | 12
ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, শনিবার গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাট ও আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷
আলকরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক হেলাল বিডিনিউজ টোয়েন্টফোরের কুমিল্লা প্রতিনিধিকে জানান, ‘‘কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামের যে বাড়ি থেকে সম্রাট ও আরমানকে ধরা হয়েছে, সেটি স্টার লাইন পরিবহনের মালিক আলাউদ্দীনের ভগ্নিপতি মনিরের বাড়ি৷ শনিবার সন্ধ্যা থেকেই বাড়িটি ঘিরে রেখেছিল র্যাব৷'' মনির কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত কীনা সে বিষয়ে অবশ্য কিছু জানা যায়নি৷
এদিকে গ্রেপ্তারের পর সম্রাট ও আরমান দুইজনকেই দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু৷
উল্লেখ্য চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শোভন ও সাধারণ সম্পাদক রাব্বানীর পদত্যাগের পরপরই প্রধানমন্ত্রী এক বৈঠকে যুবলীগ নেতাদের চাঁদাবাজি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ আওয়ামী লীগ নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবলীগের ঢাকা মহানগরের একজন নেতা যা ইচ্ছে করে বেড়াচ্ছে, চাঁদাবাজি করছে৷ আরেকজন এখন দিনের বেলায় প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে চলেন৷ এসব বন্ধ না করলে যেভাবে জঙ্গি দমন করা হয়েছে, একইভাবে তাদেরকেও দমন করা হবে৷ এরপরই শুরু হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান৷
১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব৷ পরদিন কলাবাগান ক্লাব থেকে গ্রেপ্তার হন কৃষক লীগের নেতা শফিকুল আলম ফিরোজ৷ পাশাপাশি ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, বঙ্গবন্ধু এভিনিউর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র এবং বনানীর আহমেদ টাওয়ারের একটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র্যাব৷ পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনোর বিভিন্ন সরঞ্জাম আটক করা হয় মতিঝিলের আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব থেকেও৷
র্যাবের এসব অভিযানের ক্যাসিনো কারবারির মূল হোতা হিসেবে বারবারই সম্রাটের নাম উঠে এসেছিল৷
এদিকে গ্রেপ্তারের পর সম্রাট ও আরমানকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় যুবলীগ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে৷ যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু বিষয়টি ডয়চে ভেলেকে নিশ্চিত করেন৷ তিনি বলেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ধরনের অভিযোগে যেই গ্রেপ্তার হবেন তাকেই দল থেকে বহিস্কার করা হবে৷
এফএস/এআই
তাদের ঘরে এত টাকা!
ঢাকার গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের দুই নেতার বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ, নগদ টাকা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছে র্যাব৷ মধ্যমসারির নেতাদের বাড়ি থেকে এসব উদ্ধারের ঘটনা সাড়া ফেলেছে৷ পুরো অভিযান দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
বিস্ময়কর
ঢাকার গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের নেতা দুই ভাই, তাদের এক কর্মচারী ও এক বন্ধুর বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা, আট কেজি সোনা এবং ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
কড়া অভিযান
থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বাসায় মঙ্গলবার অভিযান চালায় র্যাব৷ এসময় তাদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা যায়৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
এত সোনা!
এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে ৭২০ ভরি সোনার গয়না উদ্ধার করা হয়েছে৷ র্যাব বলছে, টাকা রাখার জায়গা হতো না বলে টাকার একটি অংশ সোনায় রূপান্তর করেন তারা৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
টাকা আর টাকা
আওয়ামী লীগের এই দুই নেতা, তাদের এক কর্মচারী ও এক বন্ধুর বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে র্যাব৷ এসব টাকা ক্যাসিনো থেকে আয় হতো বলে দাবি করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
আছে অস্ত্রও
এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার বাসা থেকে টাকা, স্বর্ণালংকারের পাশাপাশি দুটি পিস্তল, দুটি এয়ারগান এবং একটি শটগানও উদ্ধার করা হয়েছে৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
টাকা আসে ক্যাসিনো থেকে
গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বাসায় অভিযান শেষে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সফিউল্লাহ বুলবুল জানান, ক্যাসিনো থেকে আয়ের টাকা এনামুল বাসায় সিন্দুকে ভরে রাখতেন৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
টাকা রাখতে নতুন সিন্দুক
এনামুলের ভাই রুপন ইংলিশ রোড থেকে পাঁচটি সিন্দুক কিনেছেন এমন খবর পেয়ে দুই ভাইয়ের বিষয়ে খোঁজ শুরু করে র্যাব৷ তাদের বাসায় অভিযান চালিয়ে পাওয়া যায় তিনটি সিন্দুক৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
বস্তাভর্তি টাকা
গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনুর কর্মচারী আবুল কালামের নারিন্দার বাসা থেকে জব্দ করা টাকা বস্তায় ভরে নিয়ে যায় র্যাব৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
তার বাড়িতেও এত টাকা!
গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনুর কর্মচারী আবুল কালামের নারিন্দার বাসার সিন্দুকে পাওয়া যায় ২ কোটি টাকা ও একটি পিস্তল৷
ছবি: bdnews24.com/A. Al Momin
পালিয়েছেন তারা
র্যাব বলছে, এনামুল সপ্তাহ খানেক আগে থাইল্যান্ডে চলে গেছেন৷ তার ভাই রুপনেরও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি৷ পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তাদের অন্তত ১৫টি বাড়ি রয়েছে৷