1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঘরে বসেই কনসার্টের আনন্দ

ইয়ুর্গেন শ্নাইডার/এসি১৮ জানুয়ারি ২০১৪

হিজ মাস্টার্স ভয়েসের সেই প্রভুভক্ত কুকুর-কে মনে আছে তো? যে গ্রামোফোনের চোঙার সামনে বসে থাকে? সেই চোঙার নীতি অনুসরণ করেই জার্মানির এক প্রযুক্তবিদ বহুমূল্য হর্ন লাউডস্পিকার তৈরি করে থাকেন৷

Symbolbild Studenten Leben
ছবি: Fotolia/DWP

সংগীতরসিক ভ্যার্নার আডেল্সব্যার্গার তাঁর হর্ন লাউডস্পিকারগুলোর জন্যে এক লাখ ইউরোর বেশি দাম দিয়েছেন! এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বললেন, ‘‘গান শোনা আর সংগীতের অভিজ্ঞতার মধ্যে তফাৎ করতে হবে৷ প্রতিটি সাউন্ড সিস্টেম দিয়েই মিউজিক শোনা যায়৷ কিন্তু সংগীতের অভিজ্ঞতা হল লাইভ মিউজিক শোনার অনুভূতির মতন, লাইভ কনসার্টে যেমন হয়৷ এটা শুধু হর্ন লাউডস্পিকার দিয়ে সম্ভব৷ হর্ন লাউডস্পিকার যেন শ্রোতাকে গ্রাস করে নেয়৷ এক রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা৷''

লাউডস্পিকারগুলো ওডেনভাল্ড-এর একটি কারখানায় তৈরি হয়৷ কারখানায় মোট দু'শো জন কর্মী৷ লাউডস্পিকারগুলো কেনেন ধনী ব্যক্তিরা, হয় নিজের প্রমোদতরী, নয়ত নিজের বসতবাড়ির জন্য৷ উচ্চ প্রযুক্তি বটে, কিন্তু আবার সুনিপুণ হাতের কাজও বটে৷ প্রণালীটির মধ্যমণি হলো গাড়ির হর্ন কিংবা পুরনো গ্রামোফোনের চোঙার মতো দেখতে লাউডস্পিকার৷

আভঁগার্দ অ্যাকুস্টিক-এর প্রধান হল্গার ফ্রমে শব্দকে জোরদার করার সেই পুরনো পদ্ধতির আরো বিকাশ ঘটিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘লাউডস্পিকারে শব্দতরঙ্গ সৃষ্টি হয় একটি পর্দা সংগীতের তালে তালে কাঁপে বলে৷ পর্দাটি যত বড় হবে, ততই সেটা ভারি হবে এবং সংগীতের স্বাভাবিক ও প্রকৃতিদত্ত ধারা অনুসরণ করতে ব্যর্থ হবে৷ সেই কারণে আমরা চোঙা ব্যবহার করি, কেননা মানুষের কানের প্রযুক্তিও ঠিক ঐরকম৷''

ছবি: Fotolia/nikkytok

তা থেকে একটি বিশ্বব্যাপী ব্যবসা গড়ে উঠেছে, যা শুরু হয়েছিল ২৫ বছর আগে৷ হল্গার বলেন, ‘‘আমি একবার একটি রক কনসার্টে একটা হর্ন লাউডস্পিকার শুনেছিলাম৷ সেটা আমাকে এমন চমৎকৃত করেছিল যে, আমি তাই নিয়ে পড়াশুনো শুরু করি, সে আমলের জিডিআর-এ থেকেই৷ এক বছর পরে আমি আমার নিজের হর্ন লাউডস্পিকার তৈরি করি প্লাস্টার অফ প্যারিস দিয়ে৷ বিষয়টা আমাকে এমনভাবে আকৃষ্ট করেছিল যে, আমি কোনোদিন তা ছাড়তে পারিনি এবং শেষমেষ সেই নেশাই আমার পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷''

চোঙাগুলো কিন্তু সাউন্ড সিস্টেমের একটিমাত্র অংশ৷ বাকি অংশগুলো নিয়েও কাজ চলে: কোথাও রাঙঝাল, কোথাও স্ক্রু বসানো, কোথাও চেক করে দেখা৷ কোম্পানির প্রতিনিধি মাটিয়াস রুফ বলেন, ‘‘অনেকটা ফর্মুলা ওয়ান মোটর রেসিং-এর মতো৷ সেখানেও গিয়ার দেওয়া গাড়ি চালানো হয়, অটোম্যাটিক নয়, কেননা সেভাবে আরো জোরে চালানো যায়৷ সবচেয়ে অনুকূল ফলাফল পেতে গেলে সেটিং-গুলোও অপটিমাল হওয়া চাই৷''

বাড়ির ছোট ওয়ার্কশপ থেকে শুরু করে শেষে একটা সফল, সমৃদ্ধ ব্যবসা৷ হল্গার ফ্রমের কোম্পানির তৈরি সবচেয়ে ছোট হর্ন লাউডস্পিকারটার দামই পনেরো হাজার ইউরো৷ এই লাউডস্পিকারগুলো খুব বিক্রি হয় এশিয়ায়৷ হল্গার বলেন, ‘‘অঞ্চল অনুযায়ী কিছু কিছু পার্থক্য থাকে – যেমন জাপানের বাজারের জন্য তৈরি এই মডেলটি, যা আকারে ছোট বলে সহজেই ছোট ছোট ফ্ল্যাটবাড়িতে বসানো চলে৷''

কোম্পানির অডিটোরিয়ামে রাখা রয়েছে হল্গার ফ্রমের বৃহত্তম মডেল – যার দামও সেইরকম৷ কিন্তু দাম যাই হোক না কেন, তার আওয়াজ? যেন গানের জলসায় প্রথম সারিতে বসে আছেন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ