শুক্রবার সকাল৷ চীনের হাফেই ওয়াইল্ড লাইফ পার্ক৷ নিজের খাঁচা খুলে বেরিয়ে পড়েছে শিম্পাঞ্জি৷
বিজ্ঞাপন
পুরো পার্ক জুড়ে উত্তেজনা৷ দর্শনার্থীদের চিৎকার চেঁচামেচি৷ তড়িঘড়ি করে খোলা হলো মূল গেট৷ নিরাপদে সরে যাচ্ছিলেন দর্শনার্থীরা৷
এর মধ্যে ইয়াং ইয়াং নামের ওই শিম্পাঞ্জীকে দেখা যায় মূল গেটের দিকে যেতে৷শিম্পাঞ্জি যাতে গেট পার হতে না পারে, ঠেকানোর চেষ্টা করছিলেন এক কর্মী৷ কিন্তু জেনেটিক এই আত্মীয়ের সাথে পেরে উঠলেন না তিনি৷ কর্মীটিকে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে শিম্পাঞ্জিটি৷
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ডাকা হয় পুলিশ৷ কোনোভাবে বাগে আনা যাচ্ছিল না প্রাণীটিকে৷ একপর্যায়ে শিম্পাঞ্জি উঠে বসে পার্কটির এক টিনের ছাদে৷ দূর থেকে তার শরীরে ছোঁড়া হয় চেতনা নাশক ওষুধ৷ নেতিয়ে আসে ১২ বছরের ইয়াং ইয়াং৷ তারপর নিজ খাঁচায় নিজে যাওয়া হয় তাকে৷
আশার কথা, বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি৷ জানা গেছে, একটি পতিত বাঁশ পেয়ে, সেটি বেয়ে উঠেই নিজেকে কারা মুক্ত করেছিল শিম্পাঞ্জি৷
পুরো ঘটনার ভিডিওটি সম্পাদনা করে ইন্টারনেটে প্রকাশ করেছে সিজিটিএন৷ ভিডিওটি ভাইরাল হতে সময় লাগেনি৷ ঝাঁপিয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা৷ তবে, দুঃখের বিষয় হলেও সত্য৷ নেটিজেনরা বেশি মজা পেয়েছেন চিড়িয়াখানারটির কর্মীকে লাথি মারার দৃশ্যে৷
টিএম/কেএম (এনডিটিভি)
বেচারা ওরাংউটান
ইন্দোনেশিয়ায় বনভূমি উধাও আর দাবানলের শিকার শুধু মানুষই হচ্ছে না, ওরাংউটানরাও পড়েছে বিপদে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Fully Handoko
সংখ্যা কমছে
২০০৮ সালের হিসেবে বোর্নিও ওরাংউটানের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৬ হাজার৷ কিন্তু সেই সংখ্যাটা কমে ৩০ থেকে ৪০ হাজার হয়েছে বলে ধারণা করা হয়৷ অবৈধভাবে গাছ কেটে বনভূমির এলাকা কমিয়ে ফেলা ও দাবানল – এই দুটি অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা ও বোর্নিওতেই মূলত ওরাংউটানদের বাস৷
ছবি: picture alliance/dpa
দাবানলের শিকার
সাম্প্রতিক সময়ে ইন্দোনেশিয়ার বনাঞ্চলগুলোতে দাবানলের সংখ্যা বেড়ে গেছে৷ ফলে সেখানকার পরিবেশ প্রায়ই কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে৷ ‘বোর্নিও ওরাংউটান সার্ভাইভ্যাল ফাউন্ডেশন’ (বিওএসএফ) বলছে, বিরূপ পরিবেশের কারণে অন্তত ১৬টি শিশু ওরাংউটানের স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ তবে কতটি ওরাংউটান মারা গেছে সেই সংখ্যা জানাতে পারেনি সংস্থাটি৷
ছবি: Reuters/FB Anggoro/Antara Foto
বেশি ঘুমাচ্ছে
কুয়াশাচ্ছন বনের কারণে ওরাংউটানদের ঘুমের সময়ে পরিবর্তন হয়েছে৷ সাধারণ সময়ে তারা বিকাল ৫টায় ঘুমিয়ে ভোর সাড়ে চারটা থেকে ৫টার মধ্যে উঠে গেলেও এখন তারা দুপুর আড়াইটা-তিনটায় ঘুমিয় পরদিন সকাল ৬টার দিকে ঘুম থেকে উঠছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Burgi
বাসা বানানোতেও পরিবর্তন
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ওরাংউটানদের অনেক কিছুই পাল্টেছে৷ আগের চেয়ে একটু নীচু করে অর্থাৎ ভূমির কাছাকাছি বাসা তৈরি করছে তারা৷ এছাড়া খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন এসেছে৷
ছবি: picture-alliance/WILDLIFE
মানুষের এলাকায় ঢুকে পড়ছে
ওরাংউটানরা সাধারণত লাজুক স্বভাবের হয়ে থাকে৷ মানুষের সংস্পর্শে আসতে চায়না তারা৷ কিন্তু দিন দিন বাসস্থানের এলাকা কমে যাওয়ায় খাদ্য ও বাসস্থানের খোঁজে তারা প্রায়ই মনুষ্য অঞ্চলে ঢুকে পড়ছে৷