1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঘাসজমি বাঁচাতে অভিনব অভিযোগ

১৬ আগস্ট ২০১৭

পরিবেশ দূষণ নিয়ে সবাই চিন্তিত৷ বনজঙ্গল ও মহাসাগরে দূষণ সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতনতা থাকলেও প্রেইরি, স্টেপ ও অন্যান্য অঞ্চলের ঘাসজমির ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে তেমন মাথাব্যথা দেখা যায় না৷ এক আলোকচিত্রী সেই উদ্যোগই নিচ্ছেন৷

ছবি: Imago/blickwinkel

পরিবেশ দূষণ রোধ করবে আলোকচিত্রী?

04:18

This browser does not support the video element.

ঘাসজমির অনাদি অনন্ত জগতে বিচরণের অসাধারণ অভিজ্ঞতা৷ প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ইংগো আর্ন্ট গত ২৫ বছর ধরে সারা বিশ্ব চষে বেড়াচ্ছেন৷ এখনো পর্যন্ত তাঁর সবচেয়ে বড় প্রকল্পের নাম ‘গ্রাস-আর্ট'৷ ঘাসজমির বিপদ সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা তাঁর জন্য অত্যন্ত জরুরি৷ ইংগো আর্ন্ট বলেন, ‘‘ঘাসজমির গুরুত্ব সীমাহীনভাবে অবহেলা করা হয়৷ অথচ বনজঙ্গল ও মহাসাগরের পাশাপাশি ঘাসজমি প্রধান তিন ইকোসিস্টেমের অন্যতম৷ গাছ কাটলে, সমুদ্র দুষিত হলে হইচই শুরু হয়ে যায়৷ কিন্তু ঘাসজমির ক্ষতি হলে তা নিয়ে কেউ তেমন উচ্চবাচ্য করে না৷ এটা সত্যি দুঃখের বিষয়৷ কারণ ঘাসজমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, প্রাণী ও গাছপালার বাসস্থান৷''

রয়েটলিঙেন শহরের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে চলছে ‘গ্রাস-আর্ট' প্রদর্শনী৷ ইংগো আর্ন্ট উত্তর অ্যামেরিকার প্রেইরি ঘাসজমিতে তোলা ছবি দেখাচ্ছেন৷ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘাসজমির মধ্যে এটি অন্যতম৷ অথচ এককালে ‘গ্রেট প্লেনস' নামের যে বিশাল ঘাসজমি ছিল, তার মাত্র ৪ শতাংশ অবশিষ্ট আছে৷ ইংগো আর্ন্ট বলেন, ‘‘মোষের পালের এমন ছবি তুলতে সেখানে গিয়েছিলাম৷ ধনী অ্যামেরিকানদের প্রেইরিকে নিজেদের বাগান করে রাখার সামর্থ্য রয়েছে৷ মোষগুলিও তাদের৷ ‘গ্রাস-আর্ট' প্রকল্পের মাধ্যমে আমি বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ঘাসজমি সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে চাই৷ এই এলাকাগুলি যাতে ভবিষ্যতে আরও ভালোভাবে সুরক্ষিত রাখা হয়, সেই লক্ষ্যে আমি হয়তো সামান্য অবদান রাখতে পারি৷''

বিস্ময়কর বিষয় হলো, বাঁশঝাড়ও আসলে ঘাসজমি৷ বাঁশ হলো মিষ্টি ঘাস৷ ইংগো আর্ন্ট বলেন, ‘‘আমি বাঁশের খুব কাছে গেছি৷ অর্থাৎ কয়েক সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের ছবি তুলেছি৷ তারপর বিভিন্ন বয়সের বাঁশের সারফেসের ছবি তোলার চেষ্টা করেছি৷ শুরুতে এক ধরনের ছত্রাক বাঁশকে সুরক্ষা দেয়৷ তারপর সেই ছত্রাকের ত্বক ভেঙে তাজা বাঁশ বেরিয়ে আসে৷ কচি সবুজ রং দেখা যায়৷ কয়েক বছর পর পরিণত অবস্থায় ছত্রাক ও শেওলা গজায়৷''

দেখতে সাধারণ মনে হলেও ঘাস আসলে প্রকৃতির শিল্পকর্ম৷ ইংগো আর্ন্ট তার খুঁটিনাটি বিষয়গুলির ছবি তুলেছেন৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যে এভারগ্লেড জলাভূমিতে কীভাবে অ্যালিগেটরের ছবি তোলা যায়? ইংগো আর্ন্ট বলেন, বিপদের আশঙ্কায় আমি নিজে ক্যামেরার পেছনে থাকতে না পেরে ভাবলাম, নিজেই ৫ মিটার দীর্ঘ এক লাঠি তৈরি করে পানির নীচে কাঠামোর সঙ্গে লাগিয়ে রাখি৷ অ্যালিগেটাররা আমার উপস্থিতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেবে৷ দুই সপ্তাহ পর আমি তাদের খুব কাছে যেতে পারলাম এবং ক্যামেরার লেন্স অর্ধেকটা পানির নীচে, অর্ধেকটা উপরে রেখে ছবি তুললাম৷''

মঙ্গোলিয়ার স্টেপ অঞ্চলের বিশাল ঘাসজমিও মনে বিস্ময় জাগায়৷ ইংগো আর্ন্ট বলেন, ‘‘পাঁচ সপ্তাহ স্টেপ অঞ্চল চষে বেড়িয়ে দেখেছি, দিনের পর দিন সম্পূর্ণ মানববিহীন ঘাসজমির মধ্য দিয়ে যাওয়া যায়৷ সভ্যতা থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন সেই এলাকা৷ স্টেপ অঞ্চলে সম্পূর্ণ অক্ষত ঘাসজমি দেখা যায়৷''

‘গ্রাস-আর্ট' নৈসর্গ ও প্রকৃতিকে এক সার্বিক শিল্পকর্ম হিসেবে তুলে ধরছে৷ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের অসাধারণ সব ছবি দেখা যাচ্ছে এই প্রদর্শনীতে৷

উরসুলা ব্যোম/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ