বাড়িতে কেউ নেই৷ সুযোগ বুঝে ঢুকে পড়ল চোর৷ সব দামি জিনিস ব্যাগে ঢোকানো শেষ৷ শুধু ঘর থেকে বের হলেই কাজ শেষ৷ কিন্তু তখনই বড্ড ঘুম পেয়ে গেল চোরের৷ ঘটনাটি ঘটেছে জার্মানিতে৷
মধ্য জার্মানির এয়ারফুর্টে যা ঘটে গেল, তাতে অনেকেই চিন্তায় পড়ছেন, অনেকে আবার মজা পেয়ে হাসছেন৷ সেই রবিবারে বাড়িতে কেউ না থাকায় চোর যে নির্বিঘ্নে ঢুকে পড়ল, তাতে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তিত হয়েছেন অনেকে৷ ‘‘আজ ওই বাড়িতে ঢুকেছে, কাল তো আমার বাড়িতেও ঢুকে পড়তে পারে’’- এই ভেবে শঙ্কিত তাঁরা৷ তবে অন্যরা হাসছেন চোরের কাণ্ড দেখে৷
সেই রাতে বাড়ির লোকজন পার্টি থেকে ফিরে যোগ ব্যায়ামের রুমে গিয়েই আঁৎকে ওঠে৷ একি, সোফায় শুয়ে কে ঘুমাচ্ছে!
ব্যাগভর্তি দামি জিনিসপত্র দেখে বুঝতে অসুবিধে হলো না যে ঘুমন্ত ব্যাটা আদতে একটা চোর৷
সেই চোর এখন হাজতে৷ পুলিশ বলছে, ৪০ বছর বয়সি লোকটি চুরি করে এবং খুব নেশাও করে৷ সেদিন একটু বেশি নেশা করার কারণেই নাকি অসময়ে ঘুম পেয়েছিল তার৷
নাটালি ম্যুলার/এসিবি
আলোচিত কয়েকটি জেল পলায়নের কথা
জেলে থাকতে কে চায় বলুন? তাই সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে থাকেন অনেক কয়েদি৷ সবসময় যে সফল হন তা নয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
দ্বিতীয়বার
২০১৫ সালের জুলাই মাসে আবার জেল থেকে পালিয়েছেন মেক্সিকোর মাদক সম্রাট গুসমান৷ গত ১৪ বছরে দ্বিতীয়বার এই কাণ্ড করলেন তিনি৷ এবার জেলখানায় নিজের সেলের গোসলখানার নীচে টানেল তৈরি করে পালিয়েছেন তিনি৷ তাকে কিন্তু মেক্সিকোর সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবিশিষ্ট আলতিপ্লানো কারাগারে রাখা হয়েছিল৷
ছবি: Reuters/PGR/Attorney General's Office
ভাল চেষ্টা, কিন্তু..
ছবি দেখেই বুঝতে পারছেন তিনি কীভাবে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পারেননি৷ ব্যাগের মধ্যে থাকা মেক্সিকোর এই আসামির নাম হুয়ান রামিরেস তিহেরিনা৷ অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে তার সাজা হয়েছিল৷ ২০১১ সালে তার স্ত্রী কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় এই ব্যাগ নিয়ে গিয়েছিলেন৷ পরে স্বামীকে ব্যাগে করে বেরিয়ে আসার সময় ধরা পড়ে যান৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Sspqr
বন্দুক আর ছুরি দিয়ে
ইউরোপের সবচেয়ে কড়া নিরাপত্তাবিশিষ্ট জেলখানাগুলোর মধ্যে একটি আয়ারল্যান্ডের দ্য মেজ৷ ১৯৮৩ সালে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হন স্বাধীন আয়ারল্যান্ডের স্বপ্ন দেখা আইরিশ রিপাবলিকান আর্মির ৩৮ সদস্য৷ গোপনে সংগ্রহ করা বন্দুক আর ছুরি দিয়ে তারা জেলের নিরাপত্তা কর্মীদের পরাস্ত করে পালিয়ে যান৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Mcerlane
ব্যাংক ডাকাতের পালানো
১৯৬২ সালে সান ফ্রান্সিসকো বে-র জেল থেকে পালিয়েছিলেন তিন ব্যাংক ডাকাত৷ ধারালো চামচ আর ড্রিল দিয়ে তারা নিজেদের সেলে গর্ত খুঁড়ে পালিয়ে যান৷ নিরাপত্তা কর্মীদের বোকা বানাতে তারা তাদের বিছানায় নকল মাথা বসিয়ে রেখেছিলেন!
ছবি: imago/Kai Koehler
হেলিকপ্টারে করে পলায়ন
মনে হবে যেন কোনো হলিউড ব্লকবাস্টার মুভির কাহিনি৷ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামি পাসকাল পায়ে ফ্রান্সের একটি গ্রামের কারাগার থেকে অপহরণ করা হেলিকপ্টারে করে একবার নয়, দুবার পালিয়ে যান৷ প্রথমবার ২০০১ সালে, পরের বার ২০০৭ সালে৷ শুধু তাই নয়, জেলখানায় নিজের সঙ্গে থাকা তিন কয়েদিকেও একবার হেলিকপ্টারে করে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছিলেন তিনি৷
ছবি: Getty Images/AFP/B. Horvat
ওজন কমিয়ে পলায়ন!
১৯৭৪ থেকে ১৯৭৮ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক নারী খুন করে আলোড়ন তুলেছিলেন থিওডোর রবার্ট বান্ডি৷ প্রথমবার জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ার পর দ্বিতীয়বার কলোরাডোর একটি জেল থেকে পালানোর জন্য নিজের ওজন ১৩.৫ কেজি কমিয়েছিলেন তিনি! সেলের উপর দেয়ালে লাইট বসানোর জন্য তৈরি করা গর্তের মধ্যে নিজের দেহ ঢোকাতে এই পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি৷ সফলও হয়েছিলেন৷ পরে অবশ্য আবারও ধরা পড়ে গিয়েছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/AP
ইস্টারের ডিমের জন্য!
১৯৮১ সালে সুইজারল্যান্ডের কয়েদি ভাল্টার স্টুয়র্ম করাত দিয়ে নিজের সেলের জানালা কেটে নীচে নেমে তারপর মই দিয়ে কারাগারের সীমানা পেরিয়ে যান৷ পালানোর আগে তিনি তার সেলে একটি নোট লিখে যান৷ তাতে লিখা ছিল, ‘ইস্টারের ডিম নিতে যাচ্ছি!’