সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না৷ ৩১ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধির কিছু শর্ত মেনে খুলছে অফিস৷ শুরুতে গণপরিবহণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানালেও পরে মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে সীমিত আকারে সেটাও খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি আদেশে জারি করা হয় বলে জানায় বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷ আদেশে বলা হয়, ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সময়ে গণপরিবহণগুলো কীভাবে চলবে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে৷
গণপরিবহণ বন্ধ, তবুও থেমে নেই বাড়ি ফেরা
বাস চলছে না, ছাড়ছে না ট্রেন কিংবা লঞ্চও৷ গণপরিবহণ বন্ধ, তবুও অনেক মানুষ ঢাকা থেকে ছুটছেন বাড়িতে৷ প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন কিংবা প্রয়োজনের তাগিদে নানা উপায়ে তারা শহর ছাড়ছেন৷
ছবি: DW/S. Hossain
অলস কমলাপুর
এই সময়টায় ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে কোলাহলমুখর থাকার কথা৷ সেখানে এখন যাত্রীদের ব্যস্ততা নেই৷ অলস পড়ে আছে শুধু ট্রেনগুলো৷
ছবি: DW/S. Hossain
নীরব সদরঘাট
এখন হয়তো সদরঘাটে পা রাখাটাই দায় হত যদি সময়টা ভিন্ন হত৷ অথচ ঈদের একদিন আগেও সেখানে মানুষের ছুটোছুটি নেই, ঘাট ছাড়ার জন্য লঞ্চের তাড়া নেই৷
ছবি: DW/S. Hossain
বাস আছে, যাত্রী নেই
ঈদের সময় মহাসড়কে জ্যামের কারণে টার্মিনালগুলোতে বাস সংকট আর যাত্রীদের অপেক্ষার দৃশ্যই চিরচেনা৷ কিন্তু গাবতলীতে এখন হাজারো বাস থাকলেও যাত্রীরা অপেক্ষায় নেই৷
ছবি: DW/S. Hossain
ফাঁকা টিকেট ঘর
ঢাকায় দূরপাল্লার বাসের টিকেট কাউন্টারগুলো ঈদের আগে এমন ফাঁকা কি কল্পনা করা যায়! বাস যেহেতু ছাড়ছে না, তাই টিকেট ঘর খোলার প্রশ্নও আসছে না৷
ছবি: DW/S. Hossain
ডাবলডেকার যাবে না
সাধারণত রাজধানীতে চলাচল করলেও ঈদের সময় যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লায় পাড়ি দিতে দেখা যায় বিআরটিসির দ্বিতল বাসগুলোকে৷ সেগুলো এখন অকেজো পড়ে আছে ডিপোতে৷
ছবি: DW/S. Hossain
ট্যাক্সিক্যাবের কল নেই
মানুষকে বাস, ট্রেন বা লঞ্চ স্টেশনে কিংবা স্বল্পদূরত্বে পৌঁছে দিতে পারে টেক্সিক্যাবগুলোও৷ ব্যক্তিগত যান ছাড়া সব গণপরিবহন বন্ধ এমন ঘোষণায় তাদেরও গ্যারেজ ছেড়ে বেরুনোর উপায় নেই৷
ছবি: DW/S. Hossain
তবুও আশা
এরপরও অনেকে ঘর থেকে বেরিয়েছেন ঢাকা ছাড়ার পথগুলোর উদ্দেশ্যে৷ সেখান থেকে যদি কোনো বাহন মিলে৷
ছবি: DW/S. Hossain
পায়ে হাঁটা
গাবতলীতে কোন বাহন মিলেনি৷ পায়ে হেঁটেই তাই যাত্রা শুরু করেছে এই পরিবার৷
ছবি: DW/S. Hossain
রোগী নন যাত্রী
রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে বাধা নেই৷ কাজেই রোগীর বাহনটিও অনেকের জন্য এখন বাড়ি ফেরার অবলম্বন৷
ছবি: DW/S. Hossain
পুলিশের চেকপোস্ট
শুরুতে ঢাকায় ঢোকা এবং বাহির হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক জায়গায় পুলিশের চেকপোস্ট ছিল৷ তবে এখন তা অনেকটাই শিথীল৷
ছবি: DW/S. Hossain
ব্যক্তিগত যান
গণপরিবহণ বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত যানে ঢাকা ছাড়তে কোন বাধা নেই৷ এমন সিদ্ধান্তের পরে রাস্তায় কার, মাইক্রোবাসের সংখ্যা বেড়েছে৷
ছবি: DW/S. Hossain
ভাড়ায় প্রাইভেট কার
কিন্তু প্রাইভেট কারে শুধু মালিকরা যাচ্ছেন না৷ অনেক রেন্ট এ কার বা ভাড়ায় খাটা প্রাইভেট কার এই সুযোগে নেমে পড়েছে যাত্রী পরিবহনে৷
ছবি: DW/S. Hossain
জনপ্রতি ৫০০ টাকা
মাইক্রোবাস বা কারে গাবতলী থেকে যাওয়া যাচ্ছে পাটুরিয়া ঘাটে৷ তবে গুণতে হবে জনপ্রতি ৫০০ টাকা৷
ছবি: DW/S. Hossain
মোটরসাইকেলও ভরসা
প্রাইভেট কার না হলে মোটরসাইকেলও আছে৷ রাইড শেয়ারিংয়ে চালানো বাইকাররা স্বল্প দূরত্বে যাত্রীদের পৌঁছে দিচ্ছে৷
ছবি: DW/S. Hossain
সিএনজি অটোরিক্সা
কেউ কেউ সেএনজি চালিত অটোরিক্সাতেও রওনা হয়েছেন৷ তবে কতটুকুই আর যেতে পারবেন!
ছবি: DW/S. Hossain
লোকারণ্য ফেরিঘাট
যারা কষ্ট করে পৌঁছাতে পেরেছেন মাওয়া ফেরিঘাটে তাদের চিত্রটা ছিল এমন৷ হাজারো মানুষের এই ভিড়ে সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কোন তাড়না বা উপায় নেই৷
ছবি: DW/S. Hossain
ফাঁকা রাজধানী
তবে ঢাকার রাস্তাগুলো ঠিকই ঈদের পুরনো রূপই ফিরে পেয়েছে৷
ছবি: DW/S. Hossain
17 ছবি1 | 17
‘‘উক্ত সময়ে সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত বিধি নিশ্চিত করে গণপরিবহণ, যাত্রীবাহী নৌযান ও রেল চলাচল করতে পারবে৷ তবে সব অবস্থায় মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে৷'' বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত নিজ ব্যবস্থাপনায় বিমান চলাচলের বিষয়টি বিবেচনা করবে বলেও ওই আদেশে জানানো হয়৷
বৈশ্বিক মহামারী রূপ নেওয়া মারাত্মক সংক্রামক রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশের অফিস-আদালত বন্ধ; তখন থেকে গণপরিবহণও বন্ধ রয়েছে৷
ঘরবন্দি থাকার এই সময়ে কিছু বিধি-নিষেধ শিথিলের পর যখন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বাড়ছে; তখন ঈদ কাটিয়ে অফিস ও গণপরিবহণ চালু হতে যাচ্ছে৷ বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মত একদিনে রোগী শনাক্তের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে৷ এদিন ২ হাজার ২৯ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে৷ দেশে মোট শনাক্ত রোগী ৪০ হাজার ৩২১ জন৷ মোট মৃত্যু ৫৫৯৷
করোনার ভ্যাকসিন না পাওয়া গেলে?
04:30
অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে দেশকে রক্ষা করতে সীমিত পরিসরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপাতত খুলছে না; চলাফেরায় বিধি-নিষেধও আগের মতো থাকছে৷
এছাড়া, এই সময়ে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে৷ প্রতিটি জেলার প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে চেক পোস্টের ব্যবস্থা থাকবে৷ জেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় এটা বাস্তবায়ন করবে৷