1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঘুরে দাঁড়াল দেশের রপ্তানি আয়

৬ জুলাই ২০২১

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো- ইপিবি সর্বশেষ অর্থবছরের রপ্তানি আয়ে মহামারীর সঙ্কটের মধ্যেও বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর তথ্য দেখা গেছে৷ এক বিলিয়নের মাইলফলক অতিক্রম করা খাতগুলোর মধ্যে হোম টেক্সটাইলের প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি৷

ফাইল ফটোছবি: picture alliance/ZUMA Press

ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহামারীর মধ্যেও সদ্য সমাপ্ত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধিসহ কয়েকটি ইতিবাচক সূচকের দেখা মিলেছে৷ যদিও সামগ্রিক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এখনও সাড়ে ৫ শতাংশ পিছিয়ে৷ বাংলাদেশ গত ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরে মোট তিন হাজার ৮৭৫ কোটি ৮৩ লাখ ডলারের (৩৮ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন) পণ্য রপ্তানি করেছে৷ আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি৷

সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে চার হাজার ১০০ কোটি ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও সার্বিক চিত্র দেখে অনেকটা আশান্বিত হওয়ার কথা জানান শিল্প মালিক ও রপ্তানিকারকরা৷ বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "২০১৯-২০২০ অর্থবছরের এপ্রিলে যখন মহামারী হানা দেয় তখন আমরা কারখানা লম্বা সময় বন্ধ রেখেছিলাম৷ তবে এবার আরও খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও মালিক-শ্রমিকেরা সাহস করে উৎপাদন প্রক্রিয়া চালু রেখেছেন৷

"সরকারও এ বিষয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে৷ এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি মহামারীতে ঘুরে দাঁড়ানোর সূচক৷ পোশাক খাত গত কয়েক মাসে অনেকটা ‘কাভার' করেছে গত বছরের চেয়ে সাড়ে ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রয়েছে৷ তবে মহামারী শুরুর আগের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করলে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে এখনও ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ পিছিয়ে আছি৷''

নিট পোশাক ইতোমধ্যে প্রি-কভিড অবস্থায় ফিরেছে জানিয়ে তিনি বলেন, "২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের তুলনায় দশমিক ৪৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে৷ ওভেনে এখনও ১৬ শতাংশের মত পিছিয়ে আছি৷ আমরা অর্ডার পাচ্ছি, ইউরোপ-আমেরিকাতে সব মার্কেট খুলে গেছে৷

ইপিবির সবর্শেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোট রপ্তানি আয়ের ৮১ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে৷ এছাড়া পাট ও পাটপণ্য, চামড়া ও চামড়াপণ্য, হোম টেক্সটাইল, প্লাস্টিক পণ্য, কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয় ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে৷

গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩ হাজার ১৪৫ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের পোশাক পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি৷ গেল অর্থবছরে ১১৬ কোটি ১৯ লাখ ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা এর আগের অর্থ বছরের চেয়ে ৩১ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি৷

এ ছাড়া ১১৩ কোটি ২০ লাখ ডলারের হোম টেক্সটাইল রপ্তানির পর এই খাতে ৪৯ দশমিক ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে৷ এক বিলিয়নের মাইলফলক অতিক্রম করা খাতগুলোর মধ্যে হোম টেক্সটাইলের প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি৷

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান সার্বিক রপ্তানি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলেন, লেদার আগের চেয়ে ভালো করেছে৷ পাট, কৃষিপণ্য এবং হোম টেক্সটাইল এক বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ক্রস করেছে৷'' ভবিষ্যতে ফার্মাসিউটিক্যালটাও আরও ভালো করবে বলে আশা করেন তিনি৷

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ