1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঘুষ ও গুলির সাহায্যে ক্ষমতায় থাকার মরিয়া প্রচেষ্টা গদ্দাফির

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১

প্রথমে বিক্ষোভ থামাতে হিংসাত্মক দমন নীতি, তারপর তর্জন-গর্জন৷ এবার লিবিয়ার জনগণকে কার্যত ঘুষ দিয়ে বিক্ষোভ থামাতে চাইছে গদ্দাফি প্রশাসন৷ ত্রিপোলিতে আক্রান্ত বিক্ষোভকারীরা৷

গদ্দাফিছবি: dapd

উত্তপ্ত পরিস্থিতি

এতদিন কথায় ও কাজে শুধু কড়া মনোভাব দেখানোর পর মরিয়া হয়ে গদ্দাফি প্রশাসন বেতন ও খাবারে ভর্তুকি বাড়ানো সহ প্রত্যেক পরিবারকে ৪০০ ডলার করে দেয়ার ঘোষণা করেছে৷ কিন্তু তাতে কোনো ফল হচ্ছে না৷ গোটা দেশ থেকে বিক্ষোভের খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ রাজধানী ত্রিপোলির একাধিক এলাকায় গদ্দাফির বাহিনী বিক্ষোভকারীদের দিকে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে৷ এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, শুধু জানজুর এলাকায় কমপক্ষে ৫ জন নিহত হয়েছে৷ আসলে লিবিয়ার বিক্ষোভকারীরাও শুক্রবার দিনটিকে ঘিরে আশার আলো খুঁজছে৷ কারণ টিউনিশিয়ার বেন আলি ও মিশরের মুবারকও শুক্রবারই ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন৷ গদ্দাফিও তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন, এমনটাই তাদের আশা৷ গদ্দাফি এখনো সেই আশা পূরণ না করলেও শুক্রবার লিবিয়ার বিক্ষোভকারীদের শক্তি আরও বেড়ে গেছে৷ দেশের পূর্বাংশের নিয়ন্ত্রণ কার্যত তাদের হাতে চলে আসছে৷ এবার আজাবিয়া শহরে পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে৷ এদিকে ফ্রান্স ও ইউনেস্কোয় লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত পদত্যাগ করেছেন৷ ফলে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের একটা বড় অংশই গদ্দাফির সঙ্গ ত্যাগ করেছেন৷

লিবিয়া ছাড়ছেন বিদেশিরাছবি: picture-alliance/dpa

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গদ্দাফি প্রশাসনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের প্রস্তুতি চলছে৷ জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ন্যাটো শুক্রবার এবিষয়ে আলোচনা করছে৷ নিরাপত্তা পরিষদে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব আনার উদ্যোগ নিচ্ছে ফ্রান্স ও ব্রিটেন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো জরুরি বৈঠকে বসছে৷ তারা লিবিয়ার আকাশে বিমান চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করার উদ্যোগ নিচ্ছে৷ গদ্দাফি প্রশাসনের সদস্যদের বিচারের কথাও বলছে ফ্রান্সের মতো দেশ৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলেও লিবিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন৷ বার্লিনে মরক্কোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর তিনি জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যায়ে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্তের উপর জোর দেন৷

বিদেশি নাগরিকদের উদ্ধার তৎপরতা


মার্কিন নাগরিকদের নিয়ে একটি ফেরি মাল্টার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে৷ জার্মানি কিছু সৈন্য সহ ৩টি জাহাজ পাঠাচ্ছে৷ ব্রিটেন একটি রণতরী পাঠাচ্ছে৷ ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধার করতে ভারত সরকার বিমান পাঠানোর বিশেষ অনুমতি পেয়েছে৷ উল্লেখ্য, প্রায় ১৮,০০০ ভারতীয় লিবিয়ায় বসবাস করেন৷ ভারত যাত্রীবাহী জাহাজের পাশাপাশি ৩টি রণতরীও পাঠানোর কথা ভাবছে৷ বাকি দেশগুলিও নানা পথে নিজেদের নাগরিকদের উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ