1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঘূর্ণিঝড় আমফান: ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

২০ মে ২০২০

১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জাগিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে আমফান৷ ঝড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিচু এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে৷

ভোলায় এক নারীকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছেছবি: AFP/District Administration of Bhola

স্থানীয় সময় বুধবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা নাগাদ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এ ‘সুপার সাইক্লোন’ ভূখণ্ডে উঠে আসবে৷

বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত উপকূলীয় জেলাগুলোর ১৩ লাখ ৬৪ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানায় বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷

লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার এ কাজ অব্যাহত আছে বলে জানান জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কেন্দ্রের উপসচিব কাজী তাসমীন আরা আজমিরী৷

তিনি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার যাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছিল রাতে ঝড় আসেনি বলে তাদের অনেকে বাড়ি চলে যায়৷ আবার তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হচ্ছে৷ লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে৷’’

আমফান দুর্গতদের আশ্রয় দিতে মোট ১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে৷ যেখানে ৫১ লাখ ৯০ হাজার ১৪৪ জন মানুষকে আশ্রয় দেওয়া যেতে৷

কিন্তু দেশে এখন কোভিড-১৯ মহামারির বিস্তার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ যে কারণে ২০ থেকে ২২ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান৷

দুর্গতদের আশ্রয়ের জন্য উপকূলীয় এলাকার স্কুল-কলেজ ভবন খুলে দেওয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে৷ বাগেরহাট জেলা প্রশাসন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নজরদারি করছে৷ স্থানীয় প্রশাসন ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি আশ্রয়কেন্দ্রের এসব মানুষদের খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও মোমবাতি সরবরাহ করেছে৷ এছাড়া গবাদি পশুও আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে৷

বুধবার স্থানীয় সকাল ৯টায় আবহওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় আমফান এগিয়ে এসে বাংলাদেশ উপকূলের ৩৫০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করছে৷ এ সময় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরেও ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস৷

বুধবার বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের কাছ দিয়ে অতি প্রবল এ ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে৷ তখন এর বাতাসের শক্তি থাকতে পারে ঘণ্টায় প্রায় দেড়শ কিলোমিটার বা তার বেশি৷

ঝড়ের সময় উপকূলীয় জেলার দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০-১৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে৷

গত ১৬ মে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া আমফান ধাপে ধাপে শক্তি বাড়িয়ে সুপার সাইক্লোনের রূপ নেয়৷ তবে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার পথে কিছুটা শক্তি হারিয়ে এটি এখন অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকারে রয়েছে৷

ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করার সময় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে৷ সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে৷

এসএনএল/কেএম(বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ