ঘৃণার রাজনীতির ইতি ঘটবে আশা দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধী নেতার
১০ জানুয়ারি ২০২৪
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান বিরোধী দলের নেতা লি জায় মিউং বুধবার বলেছেন, তার ছুরিকাহত হওয়ার ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশটিতে ঘৃণার রাজনীতির ইতি ঘটবে বলে তিনি আশা করছেন৷
বিজ্ঞাপন
হামলার সন্দেহে আটক ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন লি যাতে প্রেসিডেন্ট হতে না পারেন সেজন্যই এই ঘটনাটি তিনি ঘটিয়েছেন৷
গত সপ্তাহে বুসানে হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন লি জায়ে মিউং৷ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি সবাইকে হতবাক করে দেয়া এই ঘটনা ঘৃণার রাজনীতির অবসানে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে৷''
এপ্রিলের সাধারণ নির্বাচনকে ঘিরে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিতে ব্যাপক মেরুকরণ ঘটেছে৷ উত্তেজনা চলছে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়েওলের রক্ষণশীল দল ও লির ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মধ্যে৷
গ্রেপ্তারকৃত সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়েছে৷ তিনি নিজের রাজনৈতিক বিশ্বাসে তাড়িত হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে তদন্তকারীদের জানিয়েছেন৷
৬৭ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি৷ পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, লি যাতে প্রেসিডেন্ট হতে না পারেন এবং তার দল যাতে নির্বাচনে জিততে না পারে সেজন্য তিনি হামলা চালিয়েছেন৷ লির বিরুদ্ধে ঘুসের মামলা যেভাবে সামলানো হয়েছে তা নিয়েও অসন্তুষ্ট ঐ ব্যক্তি৷ তবে ঘুস নেয়ার অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করে এসেছেন লি৷
এদিকে এই হামলাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইয়ন সুক৷ এই ঘটনা গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন সরকারি ও বিরোধী উভয় দলের নেতারা৷
এফএস/এসিবি (রয়টার্স)
স্মরণে কোরিয়ার ‘তিন-এক’ আন্দোলন
পয়লা মার্চ, ১৯১৯৷ হাজার হাজার কোরীয় সেদিন উপত্যকায় প্রাণ দেন স্বাধীনতার আন্দোলনের মিছিলে৷ জাপানি ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে তাদের এই লড়াইকে স্মরণ করেছেন কোরিয়ার মানুষ৷
ছবি: Kim Hong-Ji/REUTERS
দিবস উদযাপন
কোরিয়ায় জাপানি ঔপনিবেশিকতার প্রতীক পয়লা মার্চ৷ কোরিয়ার স্বাধীনতা দিবসের আন্দোলনের দিনটি উপলক্ষে কোরীয়ার জনগণ শতবছর আগের প্রতিরোধকে একইভাবে ব্যানার নিয়ে মশাল জ্বালিয়ে তুলে ধরেন৷
ছবি: Kim Hong-Ji/REUTERS
বিশাল পতাকা
কোরিয়ার বিশাল পতাকা নিয়ে দিবস উদযাপনে আসেন অংশগ্রহণকারীরা৷
ছবি: Kim Hong-Ji/REUTERS
আলোর মশাল
আলোর মশাল জ্বালিয়ে শিশু থেকে বয়স্ক সব বয়সি মানুষ অংশ নেন মানুষ৷
ছবি: Kim Hong-Ji/REUTERS
শিশুদের পারফর্ম্যান্স
শত বছর আগের দিনটি স্মরণে শিশুরা তাদের পারফরম্যান্স তুলে ধরে৷ মনে করিয়ে দেয় কোরীয় প্রতিরোধের দিনটির কথা৷
ছবি: Kim Hong-Ji/REUTERS
পয়লা মার্চ আন্দোলন
পয়লা মার্চ আন্দোলনকে ‘সাম-ইল’ বা ‘তিন-এক’ আন্দোলন বলা হয়৷ জাপানি ঔপনিবেশিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কোরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলন দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হয়৷ ১৯১৯ সালের এই দিন সোল ছাড়াও কোরিয়ার বিভিন্ন শহরে এক হাজারেরও বেশি বিক্ষোভ হয়৷ ছাত্র-শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তাতে অংশ নেন৷
ছবি: Kim Hong-Ji/REUTERS
কঠোর হাতে দমন
জাপানি ঔপনিবেশিক সরকার বিক্ষোভ কঠোর হাতে দমন করে৷ এতে সাড়ে সাত হাজার বিক্ষোভকারী মারা যান৷ ১৬ হাজার আহত হন এবং ৪৬ হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়৷
ছবি: Kim Hong-Ji/REUTERS
জাপানি উপনিবেশ
জাপান ১৯১০ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত কোরিয়া শাসন করে৷ এ সময়ে কোরিয়ার জাপানিকরণের চেষ্টা করা হয়, এবং দেশটির জনগণের স্বাধীকারের আন্দোলনকে দমন করা হয়৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে কোরিয়া স্বাধীন হয়৷
ছবি: Kim Hong-Ji/REUTERS
বদলে গেছে দিন
আজ জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক মৈত্রির৷ ভূরাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনে তারা আজ যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সঙ্গে মিলে কাজ করছে৷ দিবসটি উপলক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়ল বলেন, ‘‘জাপান অতীতের সামরিক আগ্রাসী থেকে আজ অংশীদারে পরিণত হয়েছে৷’’
ছবি: The Yomiuri Shimbun via AP Images/picture alliance